গত ১৩ ও ১৪ নভেম্বর ২০২৪ যথাক্রমে শ্রীমৎ স্বামী সুবোধানন্দজী মহারাজ ও শ্রীমৎ স্বামী বিজ্ঞানানন্দজী
‘তীর্থস্বামী’ ছদ্মনামে লেখক সমাধি গ্রন্থে পাতঞ্জল দর্শনের সমাধি ও অদ্বৈতবেদান্তের
ষাটের দশকে আমার পিতৃদেব স্বর্গত ফটিকচন্দ্র মজুমদারের কর্মস্থল ছিল যথাক্রমে মাইথন
ঊনবিংশ শতকে ইংরেজদের হাত ধরে ভারতে ছাপাখানার পত্তন ঘটে এবং কাগজে
গত ১৭ মার্চ ২০২৪ বিশেষ পূজা, পাঠ, শোভাযাত্রা, কীর্তন, ভক্তিগীতি, গীতি-আলেখ্য, শিক্ষাবৃত্তি প্রদান,
গত ২ অক্টোবর ২০২৪ শ্রীমৎ স্বামী অখণ্ডানন্দজী মহারাজের আবির্ভাবতিথিতে তাঁর জীবনী
শ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের একটি নতুন শাখাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এই কেন্দ্রের ঠিকানা
ভ্রূণাবস্থা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নারীজীবন অনেক সময়ই যেন অনিশ্চয়তায় ঘেরা থাকে। অথচ সমাজে নারী
জগজ্জননী শ্রীমা সারদাদেবী মর্তলীলা শেষ করার পর, তাঁর সন্তানেরা অনুভব করেছিলেন অনাগত কালের
মানুষের দুর্লভ জন্ম প্রসঙ্গে শঙ্করাচার্য-কথিত মনুষ্যত্ব, মুমুক্ষত্ব ও মহাপুরুষের আশ্রয়গ্রহণ বাস্তবিক
উদ্বোধন পত্রিকার কোনো সংশাপত্র ভাষায় দেওয়া সম্ভব নয়। স্বয়ং স্বামীজী যার উদ্বোধক, তার সম্পর্কে
গত ৪ অগস্ট ‘স্বামী ব্রহ্মানন্দ স্মারক বক্তৃতা’ প্রদান করেন স্বামী তত্ত্বসারানন্দ।
বিদ্যালয়ের উচ্চমাধ্যমিক বিভাগের উদ্বোধন করেন রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের
অতুলপ্রসাদ সেন বাঙালির আবেগ। তাঁর গান সর্বকালীন, আবেগ সর্বজনের। এই মানুষটির বহুমাত্রিক প্রতিভাকে
শিব্রাম চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে পালিয়ে পঞ্চাশ-ষাটের দশকে বাঙালি কিশোরের মনে এক অনুরণন
উদ্বোধন পত্রিকার গত আষাঢ় ১৪৩১ সংখ্যাতে শ্রদ্ধেয় শান্তনু ভট্টাচার্য ‘শ্রীচৈতন্যের
‘সামাজিক বাস্তুতন্ত্র’, এককথায়, বাস্তুতন্ত্রের এক নতুন সংযোজন। জীববিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ
স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর শিষ্য শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তীকে হৃদয়ে বলসঞ্চারের পথনির্দেশকালে
শ্রীমৎ স্বামী রামকৃষ্ণানন্দজী মহারাজ ও শ্রীমৎ স্বামী নিরঞ্জনানন্দজী মহারাজের
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ পরম পূজ্যপাদ শ্রীমৎ স্বামী গৌতমানন্দজী মহারাজ।
বাংলায় লোকসংস্কৃতিচর্চার অন্যতম একটি প্ল্যাটফর্ম অভিযাত্রী ফেরী। এই ‘ফেরী’র ৩৪তম সংখ্যাটি
দুর্গাপুজো ও বাঙালি যেন সমার্থক, একটিকে বাদ দিয়ে অন্যের সত্তা কল্পনা করা যায় না। এ এমন এক
শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত-এ দেখা যায়, শ্রীরামকৃষ্ণ বিভিন্ন আধ্যাত্মিক প্রসঙ্গের সূত্র ধরে বিভিন্ন সময়ে
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বিশেষ পূজা, পাঠ, যুবসম্মেলন, পুরস্কার বিতরণ, নৃত্যানুষ্ঠান, পদাবলি কীর্তন,
গত ১৪ ও ২৮ জুলাই ২০২৪ যথাক্রমে শ্রীশ্রীমায়ের প্রসঙ্গ ও শ্রীশ্রীমায়ের কথা পাঠ ও আলোচনা করেন যথাক্রমে
গত ১ মে ২০২৪ রামকৃষ্ণ মিশনের ১২৮তম প্রতিষ্ঠাদিবস পালিত হয়। রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের
প্রশান্তকুমার পালের রবিজীবনীর নবম খণ্ডটির (যা লেখকের জীবনকালের সর্বশেষ
দুর্গাপূজায় কোথাও কোথাও মুণ্ডমালাতন্ত্র-এর একটি মন্ত্র উচ্চারিত হতে শোনা যায়।
কাশীর বাঙালিটোলার মদনপুরা অঞ্চলে থাকতেন বিখ্যাত সেতার-বাদক
রাজকীয় ভোজসভা। খাদ্য-পানীয়ের বিপুল আয়োজন। বোহেমিয়ার সম্রাট দ্বিতীয় রুডল্ফ স্বয়ং
কখনো কখনো কাজের অবসরে চোখ চলে যায় কাজের টেবিলের দিকে। বাড়িতে যে ঘরে, যে টেবিলের ওপর ল্যাপটপ
গিরিশচন্দ্র সম্পর্কে পত্রিকা-সম্পাদক ও প্রাবন্ধিক প্রফুল্লকুমার সরকারের নিরীক্ষা—“গিরিশচন্দ্র ঘোষের
যেন বা নদী ‘হাটুয়া’ ভাষায় অনর্গল কথা বলতে বলতে বয়ে চলেছে তিরতির করে।মহা প্রাচীন নদী সুবর্ণরেখা।
পাশ্চাত্যের বহু দার্শনিক বলছেন, উপনিষদ হলো প্রাচীনতম শাস্ত্র। এমনকী এই যে খ্রিস্টপূর্ব এবং খ্রিস্টাব্দ ধরে
শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছেন, যাদের হৃদয়ে ঈশ্বরকে পাওয়ার জন্য তীব্র ব্যাকুলতা হয়, ঈশ্বর
বই পড়া’ নিয়ে এতভাবে লেখা হয়েছে আর এতভাবে লেখা যায় যে, তাই নিয়ে একটা অতি শুষ্ক ও বিরক্তিকর
ছোটবেলা থেকে হিমালয়ের তপস্বী সাধুদের প্রতি একটা আকর্ষণ ও কৌতূহল ছিল—তাঁরা কীভাবে নিরালম্ব
১০ জুন ২০২৪ বেদ ও শ্রীশ্রীচণ্ডী পাঠ, ভজন, সানাইবাদন, বিশেষ পূজা প্রভৃতির মাধ্যমে
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখণ্ডের রাজ্যপাল মাননীয় গুরমিত সিং
তন্ত্র গৌড়ীয় সাধন-বিজ্ঞান। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর উৎপত্তি, ক্রমবিকাশ ও বিবর্তন
শ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবর্ষে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করতেই
গীতার বাণী ও শ্রীরামকৃষ্ণের জীবনের আলোকে মানবজীবনের নানা সমস্যার বিশ্লেষণ
রম পূজ্যপাদ শ্রীমৎ স্বামী বিজ্ঞানানন্দজী মহারাজ শ্রীরামকৃষ্ণের অন্যতম শিষ্য
আমি দুবার গিয়ে যা দেখে এসেছি তারই কথা এখানে প্রকাশ করলাম।
ব্রজধাম—অচিনকাল হতে আশ্চর্য কিশোরের বেণু-ধ্বনি-লালিত আনন্দধাম। সে মুখরিত সুর কালের
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ শেষ হইয়াছে। শ্রীকৃষ্ণ একে একে সকলের নিকট বিদায় লইতেছেন। কুন্তীর সহিত
শ্রীরামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ ভাবাদর্শ আশ্রম, বহিচার্ড, পূর্ব মেদিনীপুর : গত ১২ জানুয়ারি ২০২৪ সংগীত,
গত ১২ ও ২৩ মে ২০২৪ যথাক্রমে শ্রীশঙ্করাচার্য ও শ্রীবুদ্ধদেবের আবির্ভাবতিথিতে তাঁদের জীবনী ও বাণী পাঠ ও
৭ এপ্রিল ২০২৪ রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের ষোড়শ অধ্যক্ষ পূজনীয় শ্রীমৎ স্বামী স্মরণানন্দজী
বর্তমান প্রযুক্তি-নির্ভর যুগেও পত্রিকার প্রকাশে যে সৃষ্টিশীল ভাবনা দেখা যায় তা খুবই
করোনা মহামারী মানব-সভ্যতাকে যখন এক জিজ্ঞাসার সামনে দাঁড় করিয়েছিল, তখন স্বামী প্রিয়ব্রতানন্দ
শঙ্কর লাহিড়ী রচিত স্বামী বিবেকানন্দের শ্রীরামকৃষ্ণ-ভাবনা পুস্তকটির দশটি রচনাতে ঠাঁই পেয়েছে শ্রীরামকৃষ্ণ ও
উদ্বোধন পত্রিকার গত ফাল্গুন ১৪৩০ সংখ্যাটি অবিমুক্তক্ষেত্র কাশীর ওপর আলোকপাত করে প্রকাশিত হয়েছে।
মীরা মুখোপাধ্যায়ের ভাস্কর্য বোঝার কাজটি খুব জটিল নয়; দেখে ভাল লাগতে পারে, নাও লাগতে পারে কিন্তু
রথের অগ্রগামিতা সভ্যতার শিশুকালে সামাজিক বিকাশের এক বীরভোগ্য সূচনা। যে-বীর রথের আবিষ্কারকে একদিন
কোনো একটি উদ্দেশ্যকে সম্মুখে রাখিয়া সাফল্য লাভ করিতে হইলে প্রয়োজন বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের যে-শক্তি
গত ১ জানুয়ারি ২০২৪ বিশেষ পূজা, পাঠ ও আলোচনা, সংগীত, পদাবলি-কীর্তন প্রভৃতির মাধ্যমে কল্পতরু উৎসব পালিত হয়।
গত ১৪, ২১ ও ২৮ এপ্রিল ২০২৪ যথাক্রমে শ্রীমদ্ভাগবত, শ্রীশ্রীমায়ের কথা ও স্বামি-শিষ্য-সংবাদ পাঠ
গত ২৪ এপ্রিল ২০২৪ পূজনীয় শ্রীমৎ স্বামী দিব্যানন্দজী মহারাজ এবং পূজনীয় শ্রীমৎ স্বামী বিমলাত্মানন্দজী মহারাজ রামকৃষ্ণ মঠ ও
মানবসেবা ও সমাজকল্যাণে ব্রতী পণ্ডিতপ্রবর জ্যোতির্ময় নন্দের ২৫তম প্রয়াণদিবসে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছ জ্যোতির্ময় স্মারক
যেকোনো বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের ইতিহাসের মধ্যে লুকিয়ে থাকে তার স্বপ্ন, নির্মাণ ও বিবর্তনের কাহিনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র
শ্রীরামকৃষ্ণ, শ্রীমা এবং স্বামী বিবেকানন্দের জীবনকথা নিয়ে ইতিপূর্বে একাধিক
অবতারবরিষ্ঠ শ্রীরামকৃষ্ণ অনন্ত ভাবসমুদ্রে ডুবে থাকতেন অহরহ। তাঁর মুখে ঈশ্বর ছাড়া কথা ছিল না। আশীর্বাদ করেছেন
আমার বাবা ইন্দুভূষণ সেনগুপ্ত রাঁচি এ. জি. অফিসে কর্মরত ছিলেন। সেই সুবাদে আমরা ডোরেন্ডায় সরকারি আবাসনে থাকতাম।
বিখ্যাত আমেরিকান লেখক মার্ক টোয়েন বলেছেন : “ভারতভূমি হলো মনুষ্যজাতির অগ্রগতির
রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষের পদে অধিষ্ঠিত হলেন শ্রীমৎ স্বামী গৌতমানন্দজী মহারাজ।
দুর্গাপুজো সর্বজনীন বিস্তৃতি লাভ করার আগে ছিল একান্ত পারিবারিক এক উৎসব।
সময় ১৮৩৬। ভারতবর্ষে শিক্ষাবিস্তারের লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় হুগলি মহসিন কলেজ।
বাংলার ঐতিহ্যমণ্ডিত প্রাচীন লোক-উৎসব গাজন। এর আচার, ধর্মীয় রীতি স্থানভেদে
উনিশ শতকের ধর্মীয়-সামাজিক প্রেক্ষিতে শ্রীরামকৃষ্ণ নামের পরিব্যাপ্তি শুধুই
পূজনীয় স্বামী গৌরীশ্বরানন্দজী (রামময় মহারাজ) ছিলেন শ্রীশ্রীমায়ের মন্ত্রশিষ্য।
গ্রীষ্মের প্রখর তাপে প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত, ঠিক তখনি আগমন ঘটে বর্ষার। প্রাণদায়ী ঋতুরানির ব্যাপ্তি বিশাল।
উদ্বোধন পত্রিকার ১২৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গত ৩ মার্চ ২০২৪ গিরিশ মঞ্চে
বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধ থেকে এখনো পর্যন্ত সারা পৃথিবী জুড়ে প্লাস্টিকের ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।
শ্যামলিমার বুকে লাল মেঠো পথ আনমনা শুয়ে রয়েছে একাকী। যেন হাতছানির সুর ধরেছে সে আপন মনে। বৃন্দাবনি
সত্তর দশকের কথা। ইতালি হইতে একদল ভদ্রলোক জাম্বিয়াতে গিয়াছেন কৃষি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিবার জন্য।
রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের ষোড়শ অধ্যক্ষ পূজনীয় শ্রীমৎ স্বামী স্মরণানন্দজী মহারাজ
বাংলার প্রত্ন-উপাদান অনুসন্ধানের নতুন পত্রিকা রক্তমৃত্তিকা। ‘রক্তমৃত্তিকা’
বইপ্রিয় বাঙালির প্রিয় বইমেলার শুভ সূচনা হয় ১৯৬৩ সালে মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গীপুরে
স্বামী জ্ঞানলোকানন্দ রচিত সুভাষিতে জীবনগড়া গ্রন্থটির উদ্দেশ্য ও বিষয়বস্তু
প্রতিবারের ন্যায় উদ্বোধন পত্রিকার গত শারদীয়া সংখ্যাটিও (২০২৩) পাঁচ ফুলে
উদ্বোধন-এর গত পৌষ ১৪৩০ সংখ্যায় পূজ্যপাদ স্বামী সুবীরানন্দজীর লেখা
পুরুলিয়া জেলার অন্তর্গত বাগদা নামক এক নিতান্ত সাধারণ গ্রাম কী করে শ্রীরামকৃষ্ণ-ভাবসমুদ্রের ক্ষুদ্র
আনুমানিক ৬০ লক্ষ বছর আগে আফ্রিকার সাভানা তৃণভূমির কোনো এক প্রান্তরে মানুষের পূর্বপুরুষ যখন প্রথম
ঊনবিংশ শতক নারীজাগরণের ঊষাকাল। নারী-শিক্ষা, নারীমুক্তির আন্দোলন শুরু হলো। এই আন্দোলনের ইতিহাস
নদীর গতিটা খানিক জীবনের মতো। আটপৌরে ছন্দে তার কেটে যায় সারাটি বেলা। আকাশের পানে আধো চোখে সে
বর্ষ শেষ করিয়া চৈত্র বিদায় লয়, আসে বৈশাখ। বৈশাখ প্রস্তুতির মাস, প্রত্যাশার মাস। পল্লি-প্রকৃতিতে বর্ণগন্ধভরা শুভ্রসুন্দর,
গত ৩ জানুয়ারি ২০২৪ বৈদিক স্তোত্রাদি পাঠ, ভজন, জপযজ্ঞ, সানাইবাদন, বিশেষ পূজা,
গত ২১—৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পশ্চিম ত্রিপুরার ডিস্ট্রিক্ট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির
শ্রীরামকৃষ্ণ সারদা সঙ্ঘের বেলগাছিয়া শাখা গত শতাব্দীর ষাটের দশকের শুরুতে প্রকাশ করেছিলেন তাঁদের
উনিশ শতকের মহারাষ্ট্রের অন্যতম বিখ্যাত সমাজসংস্কারক সাবিত্রীবাই ফুলে। নিম্নবর্ণের ওপর
প্রাচীন ঐতিহ্যমণ্ডিত বন্দর-শহর ঘাটাল। ১৯০৯ সালে ভয়াবহ বন্যার পর ‘শিবজ্ঞানে জীবসেবা’র লক্ষ্যে
শ্রীরামকৃষ্ণ সারদা সঙ্ঘের অধ্যক্ষা প্রব্রাজিকা দিব্যমাতাজীর ভ্রমণ-আলেখ্যের সংকলন নিভৃত নীল পদ্ম লাগি।
ইতিহাস, ভূগোল, পুরাতত্ত্ব, ভাষাতত্ত্ব সবদিকেই অবাধ বলিষ্ঠ বিচরণ ছিল রাজেন্দ্রলাল মিত্রের। তাঁর সারস্বতচর্চার
কুঁড়ি থেকে গোলাপ যেমন ধীরে ধীরে প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে এবং তার সৌরভ ছড়ায়, লেখক তেমনই শুরু থেকে এক-একটা পাপড়ি খুলে বাংলা
যেখানে মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়ায় পরম ভালবাসায়, কেন যেন মনে হয়, সেখানে বিবেকানন্দের প্রকাশ। নিঃস্বার্থ সেবার কাজে নিজেকে
প্রতিটি খেলার পটভূমি রয়েছে। দাবা ব্যতিক্রম নয়, বরং ধাপে ধাপে ঘটনাবলি প্রমাণ করে—দাবা
ঈশ্বরের প্রতি প্রেমে কতখানি একাকার হওয়া যায় তা নিজ জীবনে দেখিয়েছেন শ্রীচৈতন্য। সেই অতি বিশুদ্ধ প্রেমে
গত ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ শ্রীমৎ স্বামী প্রেমানন্দজী মহারাজের আবির্ভাবতিথিতে তাঁর জীবনী ও বাণী পাঠ ও আলোচনা
গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ বিকাল সাড়ে তিনটায় রামকৃষ্ণ মিশনের ১১৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা বেলুড় মঠে অনুষ্ঠিত হয়।
বারাণসী, অবিমুক্তক্ষেত্র, রুদ্রাবাস, মহাশ্মশান, আনন্দকানন, স্বর্গভূমি—কাশীর কতই নাম! কিন্তু ভক্ত হনুমানের
কাশী বা বারাণসী এক আনন্দময় স্থান। বারাণসীর আরেক নাম বা আদি নাম—‘আনন্দকানন’ যে-স্থানে আনন্দের
জন্মের পর জীব আপন প্রকৃতির বশে কর্তব্যপথ চয়ন করে নেয়। শ্রীরামকৃষ্ণ আপামরে শিখিয়েছেন দেহধারণের সার্থকতা কোথায়।
গত ১৫ জুলাই ২০২৩ শ্রীমৎ স্বামী রামকৃষ্ণানন্দজী মহারাজের পুণ্য জন্মতিথিতে বিশেষ পূজা, সংগীত প্রভৃতির মাধ্যমে আশ্রমের প্রতিষ্ঠাদিবস পালন
গত ২৪ ও ২৬ নভেম্বর ২০২৩ যথাক্রমে শ্রীমৎ স্বামী সুবোধানন্দজী মহারাজ ও শ্রীমৎ স্বামী বিজ্ঞানানন্দজী মহারাজের জন্মতিথিতে
গত ২৭ অগস্ট ২০২৩ কর্মরতা মহিলাদের জন্য একটি আবাসের দ্বারোদ্ঘাটন করেন রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের
বর্ণময় প্রবন্ধমালার আয়োজনে প্রকাশিত হয়েছে নবদ্বীপ পুরাতত্ত্ব পরিষদের বার্ষিক পত্রিকার যুগ্ম (২০২১-২০২২) সংখ্যা। সেখানে ইতিহাস,
অমলেশ মিশ্র, ভারতবর্ষের শিক্ষার ইতিহাস সম্পর্কে এক সামগ্রিক ধারণা দেওয়ার প্রয়াসে রচনা করেছেন— ভারতবর্ষের চার হাজার বছরের
উদ্বোধন-এর গত শারদ সংখ্যা এককথায় অসাধারণ। সৌরীন ভট্টাচার্যের ‘রক্তকরবী’ নাটক নিয়ে আলোচনাটি ভালই হয়েছে। এটি রবীন্দ্রনাথের
উদ্বোধন-এর ভাদ্র ১৪৩০ সংখ্যাটি অন্যান্য সংখ্যার মতোই অনবদ্য। শ্রীদীপ ভট্টাচার্য ‘মুেঠাফোন-মগ্নতা ও সহজলভ্য সব সরলীকরণ’
একটা বেপথু হাওয়া এসে হঠাৎ মনের জানলায় আলগোছে যখনি দোলা দেয়, মনটা তখনি নেচে ওঠে ভ্রমণের হাতছানিতে। ভ্রমণপিপাসু
সুন্দরবনের একটি উপেক্ষিত দ্বীপ রাক্ষসখালি। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার
কাল তোমার পত্র পাইয়াছি। তোমার সর্দ্দি ও একটু জ্বর ভাব হইয়াছে জানিয়া দুঃখিত হইলাম। একটা
মহাভারতের শান্তিপর্বে সাতজন নিবৃত্তিমার্গীয় ব্রহ্মর্ষির উল্লেখ রয়েছে। তাঁদের নাম : সন, সনৎ-সুজাত, সনক, সনন্দন,
গত ৮ অক্টোবর ২০২৩ প্রভাতফেরি, বিশেষ পূজা, চণ্ডীপাঠ, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, ধর্মসভা, পুরস্কার ও প্রসাদ
গত ৮ ও ১৪ অক্টোবর ২০২৩ যথাক্রমে শ্রীমৎ স্বামী অভেদানন্দজী মহারাজ ও শ্রীমৎ স্বামী অখণ্ডানন্দজী মহারাজের জন্মতিথিতে তাঁদের
গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পুণ্য জন্মাষ্টমী তিথিতে একটি চিকিৎসাভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ
বঙ্গজননীর মাতৃক্রোড় সুজলা-সুফলা-শস্যশ্যামলা হলেও সর্বত্র তা নয়। মূলত পশ্চিমাঞ্চলের বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার
সুকুমার সেন শ্রেষ্ঠ দুজন বাঙালি হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন চৈতন্যদেব ও রবীন্দ্রনাথকে। চৈতন্যদেবের আবির্ভাব বাংলার
হুগলি জেলার পাণ্ডুয়ার কাছে পোলবা অঞ্চলের মহানাদে ব্রহ্মময়ী কালীমন্দির স্থাপিত হয়েছিল ১৮৩০ সালে। প্রতিষ্ঠা করেন
জনীয় স্বামী শিবপ্রদানন্দের লেখা ‘মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর অনাবৃত চেতন-পরিসর’ (আশ্বিন ১৪৩০) লেখাটি পড়ে
আমি সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুত্র। সম্প্রতি ডাকযোগে উদ্বোধন-এর শারদ সংখ্যা ১৪৩০-এর একটি কপি
প্রকৃতির বিশালতা অন্তর্লোকে ব্যাপ্তির প্রতিধ্বনি তোলে। হেমন্তের মজে যাওয়া বিকেল জাগতিক নশ্বরতায় চেয়ে থাকে উন্মনা। আবার রৌদ্রস্নাত শীতের সোনালি সকাল প্রাণের উষ্ণতায় ভরপুর।
গত ৪ জুন ২০২৩ পুনর্নির্মিত মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করেন স্বামী বিমলাত্মানন্দ। এই উপলক্ষে ৩ ও ৪ তারিখ বাস্তুযাগ, অধিবাস, শ্রীশ্রীচণ্ডীপাঠ,
গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ভজন, সংগীত, শ্রীশ্রীশ্যামনাম-সংকীর্তন প্রভৃতির মাধ্যমে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাবতিথি পালিত হয়। তাঁর জীবনী
গত ১৫ জুলাই ২০২৩ শ্রীমৎ স্বামী রামকৃষ্ণানন্দজী মহারাজের জন্মতিথিতে মুবত্তুপুঝা উপকেন্দ্রে সংস্কারের পর প্রার্থনাগৃহ ও সাধুনিবাসের
‘বসুমতী সাহিত্য মন্দির’ বললে আমাদের মনে আসে ঊনবিংশ শতাব্দীর কলকাতার বটতলার কথা, যেখানে উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় নামে এক সাধারণ
শ্রীরামকৃষ্ণ কোনোদিনই তথাকথিত ‘সেলিব্রিটি’ হতে চাননি। তবুও দ্য ইন্ডিয়ান মিরর পত্রিকা তাদের ২৮ মার্চ ১৮৭৫ তারিখের সংখ্যায়
বাংলার মন্দির-স্থাপত্য বাংলার একটি উপেক্ষিত ঐশ্বর্য। আমাদের গ্রামে গঞ্জে শহরে মফস্সলে কত যে মন্দির ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে তার খবর
আন্তর্জালিক মাধ্যমে মুগ্ধ সমাজ অপার বিশ্বজনীন বিস্তৃতিকে আপন মুষ্টিমধ্যে সংযুক্ত করেছে। ব্যক্তিগত হর্ষ ও অমর্ষ অনায়াসেই অপরের
শ্রীরামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ ভাবাদর্শ আশ্রম, বহিচাড়, পূর্ব মেদিনীপুর : গত ২৩ জুলাই ২০২৩ শান্তিমন্ত্র পাঠ, ভাষণ,
আবির্ভাবতিথি পালন : গত ৩১ অগস্ট ২০২৩ শ্রীমৎ স্বামী নিরঞ্জনানন্দজী মহারাজের আবির্ভাবতিথিতে
রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ এডুকেশনাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বেলুড় : গত ৪ জুলাই ২০২৩ ইনস্টিটিউটের বার্ষিক
কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘ফুল ফুটুক, তবেই বসন্ত’—এই বিশ্বাসের বিপরীতে প্রথম জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন পদাতিকের কবি পদাতিকের কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়।
স্বামীজী সমস্ত বেদ ও উপনিষদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ও একমাত্র প্রামাণিক টীকাগ্রন্থ হিসাবে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতাকে চিহ্নিত করেছিলেন। বস্তুতপক্ষে এই মহাগ্রন্থখানি ভারতীয়
উদ্বোধন-এর ১২৫তম বর্ষের প্রথম সংখ্যাটি হাতে নিয়ে যখন পড়তে শুরু করলাম, তখন যেন ফিরে গেলাম ১২৪ বছর আগে! যেকোনো
উদ্বোধন-এর গত শ্রাবণ ও ভাদ্র ১৪৩০ সংখ্যায় অপূর্ব পালের ‘যে নদী মরুপথে হারাল ধারা’ লেখাটি পড়লাম। খুব তথ্যভিত্তিক লেখা। বেদের সময়
উদ্বোধন-এর গত জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ সংখ্যায় প্রসেনজিৎ সাহার লেখা ‘গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্ম ও অর্থনীতি : একটি ক্ষেত্রসমীক্ষা-
অসুখ-বিসুখ আমাদের চিরায়ত সমস্যা। তার সাথে জুড়ে আছে বিভিন্ন পরিসংখ্যান। সেই পরিসংখ্যানে যদি ধরা পড়ে খাদ্যাভ্যাস
২০০১ সালের ১২ মে দীর্ঘ ২৩৭ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে হৃষীকেশ থেকে বদরীনাথ যাওয়ার ভোরের বাস পড়ন্ত বিকেলে আমাদের হেলাঙে
প্রকৃতি-লালিত বঙ্গজীবন উৎসব-মেদুর ছন্দে দোলায়িত হয় অনিমেষ। সেখানে ঋতুর আনাগোনা নিসর্গের ক্যানভাসে যেমন যেমন
রামকৃষ্ণ সংঘের যদাদ্রি ভুবনগিরি আশ্রমটি রামকৃষ্ণ সংঘের ত্রয়োদশ অধ্যক্ষ স্বামী রঙ্গনাথানন্দ
অনেক কাল আগের কথা। তখন ভারতবর্ষে রাজা-মহারাজাদের শাসনকাল। একবার এক বটবৃক্ষের নিচে বসিয়া একজন অন্ধ,
গত ১৫ এপ্রিল ২০২৩ পাঠ, ভাষণ, প্রশ্নোত্তর-পর্ব, সংগীত প্রভৃতির মাধ্যমে ভক্তসম্মেলন ও পূজনীয় শ্রীমৎ স্বামী প্রভানন্দজী মহারাজের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১৫ জুলাই ২০২৩ শ্রীমৎ স্বামী রামকৃষ্ণানন্দজী মহারাজের আবির্ভাবতিথিতে তাঁর জীবনী পাঠ করেন স্বামী বিশ্বাধিপানন্দ।
গত ২০ এপ্রিল ও ৫ মে ২০২৩ যথাক্রমে কুণ্ডলা আদিবাসী উন্নয়নকেন্দ্রে চিকিৎসা ভবন এবং আশ্রমের মূল প্রাঙ্গণে ইন্ডোর স্টেডিয়ামের দ্বারোদ্ঘাটন করা হয়।
“আসলে আমার দ্বিধা যা নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে তা হল আমার ভবিষ্যৎ ঠিকানাকে কেন্দ্র করে। ইংল্যান্ড না ভারতবর্ষ? আমি কি আবার এখানে ফিরে
উদ্বোধন পত্রিকার গত মাঘ ১৪২৯ অর্থাৎ ১২৫ বছরের প্রথম সংখ্যাটি পড়ে কিছু বলতে ইচ্ছে হলো। ১২৫ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রকাশের গৌরব
কলকাতার বেশ কিছু প্রাচীন ও বনেদি পরিবার আছে, যারা এখনো সাবেকি ঐতিহ্য বজায় রেখে প্রতি বছর দুর্গাপুজোর আয়োজন করে। মধ্য
কলকাতা থেকে যখন পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়্যারশ এয়ারপোর্টে পৌঁছাই, সেই থেকেই এক বিস্ময় কাজ করছিল। পৃথিবীর নানা প্রান্তের বিমানবন্দর
ডঃ নীহাররঞ্জন রায় ইতিহাস রচনার পদ্ধতি সম্পর্কে বলেছেন : “ইতিহাস রচনায় একটি পদ্ধতি হচ্ছে, প্রায়-কুয়াসাচ্ছন্ন, অস্পষ্ট অতীত থেকে সময়ের
মনস্তত্ত্ববিদ আব্রাহাম ম্যাসলো একটি পিরামিডের আকারে মানুষের চাহিদাগুলির বর্ণনা করেছেন। সবচেয়ে নিচের স্তরে হলো খাওয়া-পরা, বাসযোগ্য
সমস্ত পৃথিবী জুড়ে পারস্পরিক যোগাযোগের এক বা একাধিক যে-সেতু তৈরি হয়েছে, বৈজ্ঞানিক সাফল্যে তার অন্যতম সূত্র হলো রেডিও। আমাদের
না, ভূত বিশ্বাস করি না। আজকের যুগে ওসব সেকেলে বাজে কথা কি বিশ্বাস করা যায়? যা চোখে দেখা যায় না তাকে বিশ্বাসও করা চলে না। এমন কথা
কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে নৈতিকতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মূল ধারার অর্থনীতি থেকে দীর্ঘদিন নৈতিকতা
‘রক্তকরবী’ নাটকের নাট্যপরিচয় দিতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ গোড়াতেই বলেছিলেন : “এই নাটকটি সত্যমূলক। এই ঘটনাটি কোথাও ঘটেছে কিনা
শ্রীরামকৃষ্ণ, শ্রীমা সারদাদেবী, স্বামী বিবেকানন্দ প্রমুখের সম্পূর্ণ বিস্তারিত জীবনী এবং রামকৃষ্ণ সংঘের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস এখনো রচিত হয়নি।
আলোচ্য প্রবন্ধের পরিসীমায় দুই জার্মান বৈজ্ঞানিক Arnold Sommerfeld (1868—1951) এবং Karl Warner Heisenberg (1901—1976)-এর সঙ্গে
বারাসত বিবেকানন্দ রুরাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, কলকাতা : গত ১২ মার্চ ২০২৩ সংগীত, আবৃত্তি, নৃত্য প্রভৃতির মাধ্যমে
সাপ্তাহিক পাঠ ও আলোচনা : গত ১১, ১৮ ও ২৫ জুন ২০২৩ যথাক্রমে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা, শ্রীমদ্ভাগবত ও শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণলীলাপ্রসঙ্গ পাঠ ও
রামকৃষ্ণ মঠ, বেলুড় মঠ : গত ২ জুন ২০২৩ ভারতে বুলগেরিয়ার রাষ্ট্রদূত মাননীয়া এলিওনোরা দিমিত্রোভা,
“তিনিই গুরু যিনি মানুষের সর্বপ্রকার বন্ধন ছিন্ন করে চিরকালের মতো তাকে মুক্তি
ডাঃ অনন্যা দাস লিখিত মা নর্মদার তটে প্রাচীন তীর্থাবলী গ্রন্থে পবিত্র নর্মদা ও তার পার্শ্ববর্তী তীর্থক্ষেত্রসমূহের বিবরণ লিপিবদ্ধ হয়েছে।
শ্রীরামকৃষ্ণ সম্বন্ধে স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন—তিনি ‘ভাবরাজ্যের সম্রাট’, তাঁর অনন্ত ভাবের কোনো ইয়ত্তা করা যায় না। তাই শ্রীরামকৃষ্ণের
বিগত পঞ্চাশ বছর ধরে আমি উদ্বোধন-এর গ্রাহক এবং এই কারণে গত ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ গিরিশ মঞ্চে এই অনন্য পত্রিকার ১২৫তম বর্ষে পদার্পণের
ধন পত্রিকার গত জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ সংখ্যার ‘প্রাসঙ্গিকী’ বিভাগে চিত্রা মল্লিকের ‘আমি বসুমতী মাকে দেখেছি’ শিরোনােমর পত্র প্রসঙ্গে জানাই,
উদ্বোধন-এর বৈশাখ ১৪৩০ সংখ্যায় কিঞ্জল বোসের লেখা ‘বাংলার পাঁচ পঞ্চবিংশতিরত্ন মন্দির’ প্রবন্ধটির জন্য ধন্যবাদ জানাই। পশ্চিমবঙ্গে ২৫ চূড়াবিশিষ্ট মন্দির ৬টি আছে,
স্বাধীনতা হলো এমন এক সূক্ষ্ম সীমারেখা যেখানে শাসন অনাদর নয়, আবার আদরও যথেচ্ছাচার নয়। সেখানে সবটুকুই বড় ছন্দোবদ্ধ। সমাজ যতক্ষণ নিজের নিয়ন্ত্রণে থেকে তার নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যকে
কলকাতা ময়দানে ফুটবল মরশুম শুরু হয় পয়লা বৈশাখ থেকে। এই প্রথা বহুকালের। তবে এখনকার তুলনায় আগে এদিন ময়দানে বারপুজোর অনুষ্ঠান হতো
রাতের গভীর নিদ্রায় মগ্ন গ্রাম-শহরের লোকজন। আগের দিনের পরিশ্রমের ক্লান্তি। হঠাৎ প্রবল ঝাঁকুনি। দুলে উঠল বাড়ি। জোরে, খুব জোরে। দুলতেই থাকল।
আমরা এক অদ্ভুত এবং অকল্পনীয় বিবর্তনের মধ্যে আছি, যা নজিরবিহীন। ইন্টারনেট-মোবাইল-ডিজিটাল-এর ত্রয়ী সম্মেলনে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে
১৯ আশ্বিন ১২৮২, সোমপ্রকাশ পত্রিকা : “আজি সোমপ্রকাশ একটী দারুণ শোকসংবাদ লইয়া পাঠকগণের সমক্ষে উপনীত হইতেছে। বাবু প্যারীচরণ সরকার ১৬ই আশ্বিন দেহত্যাগ করিয়াছেন। বঙ্গদেশ আর একটী রত্নহারা হইলেন
ভারতের শাস্ত্রীয় সংগীতে সুরসৃষ্টিকারী যে-যন্ত্রগুলো আছে তাদের মধ্যে নবীনতম বলা যেতে পারে এসরাজকে। এই যন্ত্রটির উৎপত্তি আনুমানিকভাবে আজ থেকে প্রায় আড়াইশো বছর আগে। ছড়ি দিয়ে বাজানো যায় এমন যে-দুটি যন্ত্রের উল্লেখ প্রাচীন ভারতীয় সংগীতে আমরা পাই, সেগুলো হলো মন্দ্রবাহার এবং তাউস বা ময়ূরীবীণা।
বাগবাজারে মায়ের বাড়ীতে একদিন শ্রীশ্রীমা বিছানায় শুয়ে ভক্ত মহিলাদের সঙ্গে কথা বলছেন। একটি ভক্ত মেয়ে বলে উঠল : “আজ কত ছেলেমেয়ে ‘মা মা’ বলে এসে আপনাকে এত বিরক্ত করছে! আমরাও তো আপনার পেটে হইনি, তা বলে কি আমরা আপনার ছেলেমেয়ে নই?”
আমি থিয়েটার-চর্চার পাশাপাশি রুজির জন্য সিনেমার নেপথ্যে নানা কর্মব্যস্ততার মধ্যেও সাহিত্যচর্চা, পড়াশোনা ও লেখালেখি চালিয়ে যাই। হঠাৎই উদ্বোধন পত্রিকার গত বৈশাখ ১৪৩০ সংখ্যা হাতে আসায় লেখাগুলো পড়তে গিয়ে বিশেষ করে ফণিভূষণ মণ্ডলের ‘আধুনিক খনপালা বিষয়ক প্রস্তাব’
উদ্বোধন ১২৫তম বর্ষের প্রথম সংখ্যা হাতে পেয়েই আনন্দে চোখে জল এসে গেল। শুধু স্মৃতিচারণার লেখাগুলিই নয়, মহারাজদের শুভেচ্ছাবাণীগুলিও
উদ্বোধন ১২৫তম বর্ষের প্রথম সংখ্যা হাতে পেয়েই আনন্দে চোখে জল এসে গেল। শুধু স্মৃতিচারণার লেখাগুলিই নয়, মহারাজদের শুভেচ্ছাবাণীগুলিও
আশিস খাস্তগীর সম্পাদিত দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর : আত্মজীবনী (প্রথম প্রকাশ : জানুয়ারি ২০২০) ও দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর : চিঠিপত্র (প্রথম প্রকাশ : জানুয়ারি ২০২২) বই-দুটি প্রায় সমসাময়িক।
রামকৃষ্ণ মঠ, কোচি : গত ১২—১৪ মে ২০২৩ শ্রীরামকৃষ্ণভাগবত পারায়ণম্, ভজন, নারায়ণসেবা, জনসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতির মাধ্যমে প্ল্যাটিনাম জুবিলি উদ্যাপিত হয়।
লিটল ম্যাগাজিন নামে লিটল হলেও গ্রেট’—একথা বলতেন সদ্য প্রয়াত ‘লিটল ম্যাগাজিন গ্রন্থাগার ও সংগ্রহশালা’র প্রতিষ্ঠাতা সন্দীপ দত্ত (১৯৫১—২০২৩)। বাংলা ভাষা সংস্কৃতির প্রতি নিঃসীম ভালবাসা থেকেই এই প্রতিস্পর্ধার জন্ম।
শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ সেবাসংঘ, কল্যাণী, নদিয়া : গত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শোভাযাত্রা, বিশেষ পূজা, পাঠ, ভক্তিগীতি প্রভৃতির মাধ্যমে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের আবির্ভাব-তিথি ও বার্ষিক উৎসব পালিত হয়।
আবির্ভাবতিথি পালন : গত ৫ মে ২০২৩ বুদ্ধদেবের আবির্ভাবতিথিতে তাঁর জীবনী ও বাণী পাঠ ও আলোচনা করেন স্বামী ত্র্যম্বকেশানন্দ।
শ্রীশ্রীমায়ের শুভ পদার্পণ উৎসব : গত ২৩ মে ২০২৩ বেদ ও শ্রীশ্রীচণ্ডী পাঠ, ভজন, সানাইবাদন, বিশেষ পূজা, সংগীত প্রভৃতির মাধ্যমে
১৯ আশ্বিন ১২৮২, সোমপ্রকাশ পত্রিকা : “আজি সোমপ্রকাশ একটী দারুণ শোকসংবাদ লইয়া পাঠকগণের সমক্ষে উপনীত হইতেছে। বাবু প্যারীচরণ সরকার ১৬ই আশ্বিন দেহত্যাগ করিয়াছেন। বঙ্গদেশ আর একটী রত্নহারা হইলেন
রামগিরির বিরহবাদল অলকাপুরীর ধূসর প্রতীক্ষার বুকে আজ অবধি প্রেম ঝরিয়েছে অনিবার; আর পাষাণপথের শ্যামলিমাকে তারুণ্যের শৃঙ্গার দিয়ে এসেছে প্রতি বর্ষায়। শাখা ছাপিয়ে হেসে খেলে উঠেছে পত্র-পুষ্প-ফলের সম্ভার। দৃষ্টিপথের পার্বত্য-বিশালতা সবুজে সবুজে অভিনন্দিত হয়েছে।
শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্ঘ, ভাঙ্গড়, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : গত ১ জানুয়ারি ২০২৩ বিশেষ পূজা, পাঠ ও আলোচনা, পদাবলি কীর্তন, সংগীত, প্রদর্শনী প্রভৃতির মাধ্যমে কল্পতরু উৎসব পালিত হয়। ভাষণ দেন স্বামী বেদ্যানন্দ, স্বামী মাধবেশানন্দ ও স্বামী দিব্যরূপানন্দ। প্রায় ২১০০০ ভক্ত বসে এবং ২০০০ ভক্ত হাতে হাতে প্রসাদ পান।
আবির্ভাবতিথি পালন : গত ২৫ এপ্রিল ২০২৩ শ্রীশঙ্করাচার্যের আবির্ভাবতিথিতে তাঁর জীবনী ও বাণী পাঠ করেন স্বামী বিশ্বাধিপানন্দ।
রামকৃষ্ণ মঠ, চেন্নাই : গত ৮ এপ্রিল ২০২৩ আশ্রমের ১২৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘বিবেকানন্দ হাউস’ প্রাঙ্গণে একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে যোগদান করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মাননীয় নরেন্দ্র মোদি, তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল মাননীয় আর. এন. রবি, কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ও
বাংলার নবজাগরণের যুগে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় প্রমুখ সবিশেষ জোর দিয়েছিলেন বাংলা ভাষায় বিশ্বজনীন জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চাকে জাগ্রত রাখতে। কিন্তু সেই চর্চা আজ সত্যিই পিছিয়ে পড়ছে; বাংলা ভাষায় বিশ্বজনীন বিজ্ঞানের চর্চা এখন নিম্নগামী!
অধ্যাপক অচিন্ত্য বিশ্বাসের চার দশকের তথ্য সন্ধান, সঞ্চয়, পঞ্জীকরণ আর পুঁথিনির্ভর সম্পাদনার ফসল লোচনদাসের শ্রীচৈতন্যমঙ্গল ও পদাবলী সমগ্র গ্রন্থটি।
বাংলা সাহিত্য-প্রবাহের মুদ্রণপূর্ব যুগের ধারাবাহিকতার চিহ্ন বহন করে আছে বাংলা পুঁথি। আর এই পুঁথি-সাহিত্য থেকেই মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের ধারণাটি প্রতিষ্ঠিতও হয়েছে। এই বইটি লেখকের ‘দুই দশকের উপর পুথি-চর্চার নির্যাস’।
মহর্ষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস রচিত শ্রীমদ্ভাগবত গ্রন্থটি দ্বাদশ স্কন্ধে এবং তিনশো পঁয়ত্রিশ অধ্যায়ে দেবনাগরী ভাষায় প্রায় আঠারো হাজার শ্লোকের সমন্বয়ে লিখিত। মনে শান্তি পেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের কাছে শ্রীমদ্ভাগবত গ্রন্থটি পরম আশ্রয়স্বরূপ।
উদ্বোধন-এর গত ফাল্গুন ১৪২৯ সংখ্যায় অগ্নিভ ঘোষের ‘বাংলা অভিধানের অভিমুখ’ পড়ে সমৃদ্ধ হলাম। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রণীত বাংলা অভিধান বিষয়ে তিনি লিখেছেন :
সিদ্ধার্থ মুখার্জির সাম্প্রতিকতম বই The Song of the Cell–এ তিনি এমন একটি বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করেছেন যা আপাতদৃষ্টিতে ক্ষুদ্র হলেও প্রাণপ্রবাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ একক।
বিগত কয়েক বছর যাবৎ আমাদের দেশ ভারতবর্ষে শীতকাল স্বাভাবিক হচ্ছে না। শীত বেশিদিন স্থায়ী হচ্ছে না। কিছুদিন আমেজ থাকতে থাকতে শীত চলে যাচ্ছে, আবার কয়েক দিন পর জাঁকিয়ে আসছে।
যা পূর্ণ, তাকে আর ভরিয়ে তোলা যায় না, তাকে প্লাবিত করা চলে। বর্ষার সঘন অভিসার ভরা আষাঢ়কে ভাসিয়ে নিয়ে চলে নদীর কূলে কূলে। জলভারক্লান্ত মেঘেরা দুরুদুরু আলাপে নিজেদের বাঁধন ভেঙে নেমে আসে মাটির বুকেতে।
সব লেখাই সমান মাপের আর সব লেখার জন্যই একজন লেখক পাঠকের কাছে স্মরণীয়—এমনটা প্রায় ঘটে না। একজন লেখকের সঙ্গে ওতপ্রোত হয়ে যায় বিশেষ কয়েকটি লেখা।
বিশিষ্ট সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় রাধা গ্রন্থে লিখেছেন—ভগবান বিষ্ণুর দ্বাদশ ‘যাত্রা’র মধ্যে শ্রেষ্ঠ যাত্রা হলো রথযাত্রা।১ ওড়িশা ও বাংলার বুকে বৈষ্ণবীয় পরিমণ্ডলে অনুষ্ঠিত এই রথযাত্রা অনুষ্ঠান প্রকৃত অর্থেই উল্লেখযোগ্য।
রথযাত্রা প্রাথমিকভাবে ওড়িশা, বিশেষ করে পুরী অঞ্চলের প্রধান উৎসব হিসাবে স্বীকৃত হলেও কমবেশি সারা ভারত জুড়েই এর প্রচলন রয়েছে। বিষ্ণুর উপাসক তথা বৈষ্ণবদের ধর্মতত্ত্ব অনুসারে জগন্নাথদেবই স্বয়ং বিষ্ণু এবং বলরাম হলেন বিষ্ণুর অবতার।
রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সহাধ্যক্ষ পূজ্যপাদ শ্রীমৎ স্বামী প্রভানন্দজী (বরুণ মহারাজ) গত ১ এপ্রিল ২০২৩, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন সেবাপ্রতিষ্ঠানে মহাসমাধিতে লীন হন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
শ্রীরামকৃষ্ণ পাঠচক্র, দক্ষিণ হারাধনপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : গত ১ জানুয়ারি ২০২৩ শোভাযাত্রা, বিশেষ পূজা, বসে অাঁকো প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ প্রভৃতির মাধ্যমে কল্পতরু উৎসব পালিত হয়। ভাষণ দেন স্বামী স্তবপ্রিয়ানন্দ ও শান্তনু গায়েন। প্রায় ৫০০ ভক্ত বসে প্রসাদ পান।
গত ৭ ও ১১ মার্চ ২০২৩ যথাক্রমে শ্রীচৈতন্যদেব ও শ্রীমৎ স্বামী যোগানন্দজী মহারাজের আবির্ভাবতিথি উপলক্ষে তাঁদের জীবন ও বাণী বিষয়ে পাঠ ও আলোচনা করেন স্বামী ধ্যানপ্রিয়ানন্দ ও স্বামী কৃষ্ণনাথানন্দ।
রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম, সরিষা : গত ৩—৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহাসমারোহে বর্ষব্যাপী শতবর্ষ-জয়ন্তী উৎসবের সমাপ্তিপর্ব উদ্যাপিত হয়। তিনদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দজী মহারাজ।
স্থির অবস্থা থেকে যখন পরিবর্তনের দিকে সমাজ অগ্রসর হয় তখন পরিবর্তনকামী এবং পরিবর্তন-বিরোধী শক্তিসমূহের মধ্যে সংঘাতের সৃষ্টি হয় এবং জন্ম নেয় দ্বন্দ্ব। আর এই দ্বন্দ্ব-সংঘাত অথবা যেকোনো
বিবেক-দ্যুতিতে উদ্ভাসিত সুভাষচন্দ্র গ্রন্থটি স্বামী বিবেকানন্দের ভাবশিষ্য হিসাবে সুভাষচন্দ্র বসুকে তুলে ধরার তাগিদ থেকেই পরিকল্পনা। ৯৩২ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থে প্রবন্ধ আছে মোট ৪৬টি। কলম ধরেছেন বাংলার বিভিন্ন ক্ষেত্রের কৃতী মানুষেরা।
বাংলার রাঢ়ভূমিতে জন্মগ্রহণ করে শ্রীমা সারদাদেবী পবিত্র করেছিলেন এই ধরাভূমিকে। রাঢ়ভূমি বা রাঢ়বঙ্গ বলতে জঙ্গলমহল—বাঁকুড়ার মালভূমি, পুরুলিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল বোঝায়।
আমরা যারা কলকাতার বাসিন্দা এবং শ্রীশ্রীঠাকুর, শ্রীশ্রীমা ও স্বামীজীর অনুরাগী, তারা সাধারণত বেলুড় মঠে ঠাকুরের জন্মতিথি উৎসবে যোগদান করে আনন্দ উপভোগ করি।
যুগপুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণ এবং যুগজননী সারদা বই দুটিতে ঠাকুর ও মায়ের পালিতা কন্যা ভবতারিণী দেবী বা বসুমতী-মার আত্মস্মৃতি পড়ে বড়ই আনন্দ পেলাম। আমার পরম সৌভাগ্য যে, তাঁর পুণ্যদর্শন পেয়েছি এবং এখনো তাঁর স্মৃতি আমার নব্বই-উত্তীর্ণ জীবনে সমুজ্জ্বল।
ধর্ম ভারতীয় সমাজ ও সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান অঙ্গ। অতীন্দ্রিয় সত্তা, ঈশ্বর-অনুসন্ধানের পথ হিসাবে ধর্মকে বিবেচনা করা হলেও এর মূলত তিনটি দিক আমরা লক্ষ্য করে থাকি—পৌরাণিকতা (Mythology), দর্শন (Philosophy) এবং আচার (Rituals)।
সাল ১৭৫৭। পলাশীর যুদ্ধ শেষ। নবাব সিরাজউদ্দৌলা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির লর্ড ক্লাইভের কাছে পরাজিত। শুরু হয়েছে ইংরেজ শাসন, আর সেই সূত্রেই আমাদের চোখের সামনে ধীরে ধীরে খুলে যাচ্ছে একটা নতুন দুনিয়া।
বসুন্ধরা যেমন বীরের উপভোগ্যা, বীরত্বে তেমনই বসুন্ধরার শ্রী। কিন্তু বীরত্বের প্রাপ্তি পেলব নয়, ভীষণ ঊষর। জ্যৈষ্ঠপ্রকৃতির দারুণ নিদাঘ যেভাবে
শ্রীরামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ ভাবাদর্শ আশ্রম, বহিচাড়, পূর্ব মেদিনীপুর : গত ২৬—২৮ ডিসেম্বর ২০২২ বিশেষ পূজা, পাঠ প্রভৃতির মাধ্যমে বার্ষিক উৎসব পালিত হয়। ভাষণ দেন স্বামী একরূপানন্দ ও স্বামী বিনিশ্চয়ানন্দ। প্রায় ৩০০০ ভক্ত প্রসাদ পান।
শ্রীরামকৃষ্ণদেবের আবির্ভাবতিথি পালন : গত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বৈদিক মন্ত্রপাঠ, বিশেষ পূজা, ভজন প্রভৃতির মাধ্যমে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের আবির্ভাবতিথি পালিত হয়।
রামকৃষ্ণ মঠ, বেলুড় : গত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, মঙ্গলবার বিশেষ পূজা, ভক্তিগীতি প্রভৃতির মাধ্যমে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের আবির্ভাবতিথি পালিত হয়। এই উপলক্ষে আয়োজিত বৈকালিক জনসভায় সভাপতিত্ব করেন রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ
বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব সাহিত্যের সঙ্গে যিনি প্রথম সংযোগ স্থাপন করেছিলেন তিনি হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাঙালির প্রাণের আবেগ, মনের আনন্দ আর আত্মবিস্তারের নিঃসীম সীমানা হলেন তিনি। তাঁকে যতই খোঁজা হোক, তিনি থেকে যাবেন অচেনা।
বাঙালি হিন্দুর জীবনে মৃত্যুর পর দেহকে ঘিরে যে ঘটনা ঘটে তার ইতিহাস রচনা বিশেষ প্রয়োজন। অলোক সরকারের শ্মশান : মিথ পুরাণ ইতিহাস বইটি সেই প্রয়োজনের একটা বড় অংশকেই পূরণ করেছে, নতুন দিশা দেখিয়েছে।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে গোটা জাতি যখন ঔপনিবেশিকতার দাসত্বে মাথা নুইয়ে সেলাম ঠুকতে ব্যস্ত, সেই সময়ে অপরাজেয় মহীরুহের মতো একা দাঁড়িয়েছিলেন মহামহিম বিদ্যাসাগর।
ছোটবেলায় আমি থাকতাম হাওড়া জেলার বলুহাটি গ্রামে। আমাদের গ্রামের বাড়ি থেকে বেলুড় মঠের দূরত্ব খুব বেশি হলে ছয়/সাত কিলোমিটার।
হুগলি জেলার আরামবাগ থানার অন্তর্গত গৌরহাটি গ্রামে ছিল শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ভগিনী সর্বমঙ্গলাদেবীর শ্বশুরালয়। কোনো এক চৈত্র মাসে আমবারুণীর সময় শ্রীরামকৃষ্ণ আরামবাগের ডিহিবয়রা, কানপুরে অনুষ্ঠিত রঞ্জিত রায়ের দিঘির মেলা দেখতে আসেন।
রাষ্ট্রীয় বিকাশের দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের ইতিহাসে পঞ্চদশ-ষোড়শ শতক ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া
বাংলায় বহু মন্দির আছে যা শ্রেণিবিভাগ করলে প্রধানত চারটি শৈলীতে বিভক্ত করা যায়—চালা, রত্ন, শিখর ও দালান। প্রত্যেকটিকে আবার উপবিভাগে ভাগ করা যায়।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পরিবর্তন যেমন ঘটেছে, তেমনি বিলুপ্তও হয়েছে অনেক আবেগ, সংস্কার। নগর সভ্যতায় সেসব সংস্কারের মৃদু আলোটুকুও তেমন আর দেখা যায় না, গ্রাম-গঞ্জে এখনো তার কিছু কিছু লক্ষ্য করা যায়।
জীবনের নিয়ত সংগ্রামে মানুষ নব অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ হয়; পরিচিত জগৎ নবীন আঙ্গিকে নয়নপথে ভেসে ওঠে। পূর্বের অনভিজ্ঞ যত পদক্ষেপকে
ইছাপুর আনন্দমঠ শ্রীরামকৃষ্ণ সারদা সংঘ, উত্তর ২৪ পরগনা : গত ১৭—১৯ ও ২৬—২৮ ডিসেম্বর ২০২২ বিশেষ সেবা, পাঠ, আবৃত্তি ও অঙ্কন প্রতিযোগিতা, নরনারায়ণ সেবা, শোভাযাত্রা, প্রসাদ ও বস্ত্র বিতরণ,
স্বামী বিবেকানন্দের আবির্ভাবতিথি পালন : গত ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ বিশেষ পূজা, ভজন প্রভৃতির মাধ্যমে স্বামী বিবেকানন্দের আবির্ভাবতিথি পালিত হয়। সংগীত পরিবেশন করেন কল্যাণ চট্টোপাধ্যায় ও ভার্গব লাহিড়ী।
রামকৃষ্ণ মঠ, বেলুড় : গত ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ বিশেষ পূজা, ভজন, সংগীত প্রভৃতির মাধ্যমে স্বামী বিবেকানন্দের আবির্ভাবতিথি পালিত হয়।
বর্তমান সময়ে বাংলা পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে চর্চা কমই চোখে পড়ে। প্রযুক্তির এই বিশাল বিস্ফোরণের যুগে আমাদের প্রতিটি সময় ব্যয় হয় কোনো না কোনো যন্ত্রের মাধ্যমে।
পৃথিবীর সর্বকালের ইতিহাসে প্রথম সারির অন্যতম বিপ্লবী হলেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো তাঁর দর্শন-মনন-কর্মকাণ্ডের যে-মাত্রায় চর্চা হওয়া উচিত ছিল তা হয়নি।
দান্ত আমাদের প্রত্যেকের প্রাত্যহিক জীবনের চর্চার বিষয়। শ্রীসারদা মঠের পূর্বতন সহাধ্যক্ষা প্রব্রাজিকা অজয়াপ্রাণা মাতাজী রচিত Vedanta in Practice : Spiritual Unfoldment গ্রন্থটি আমাদের সেই পথেই চালিত করে।
গড়ুরপুরাণ-এ বলা হয়েছে—সর্বপ্রকার তীর্থজলের মধ্যে গঙ্গাজলই পবিত্র। গঙ্গা মরণান্তিক পাপ নাশ করে। ভারতবর্ষের আত্মা ও দর্পণস্বরূপ এই গঙ্গাকে নিয়ে সাহিত্যিক টুটুল মুখার্জী রচনা করেছেন গঙ্গৈব পরমাগতিঃ।
ত্য নবায়মান উদ্বোধন পত্রিকা আমাদের অভিসিঞ্চিত করে চলেছে। পাঠকের মন বিবিধ সম্পদে পরিপূর্ণ হয়ে উঠছে। ভাদ্র ১৪২৯ সংখ্যার ‘প্রাসঙ্গিকী’তে ঊর্মিলা সরকারের লেখায় আমার মনের কথা অনেকখানি প্রকাশ পেয়েছে। সাধুবাদ জানাই তাঁকে
১৯৫৪ সালে শ্রীশ্রীমায়ের জন্মশতবার্ষিকী উৎসব উদ্যাপন উপলক্ষে জয়রামবাটী গ্রামে দেশ ও বিদেশের ভক্তসমাগমের সম্ভাবনার কথা ভেবে বাঁকুড়ার তৎকালীন ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট এম. এ. টি. আয়েঙ্গার আমার বাবাকে ঐ গ্রামে ও আশপাশে ভক্তমণ্ডলীর সুবিধার জন্য সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে বলেছিলেন।
দোলপূর্ণিমা আগত। বাংলার ঘরে, বিশেষ করে বৈষ্ণব ঘরানায় দোলযাত্রায় ‘বিদেশিনী’ নিবেদিতা কিভাবে গৃহীত হয়েছিলেন তার একটি অনবদ্য চিত্র পাই বিশিষ্ট লেখিকা সরলাবালা সরকারের (১৮৭৫—১৯৬১) লেখায়। তিনি পিতৃকুলের দিক থেকে ছিেলন বাংলা ভাষায় প্রথম আত্মজীবনী আমার
শ্রীরামকৃষ্ণের এবারের লীলা গোপনলীলা—অনাড়ম্বর লীলা। তিনি ধরায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন বাংলার এক নিভৃত পল্লীর গোপন অঞ্চলে। হুগলী জেলার তৎকালীন এক অখ্যাত গ্রাম—কামারপুকুরে। দক্ষিণেশ্বরে সিদ্ধিলাভের পর তাঁর এমনি অবস্থা—ভক্ত সঙ্গে বিলাস করার জন্য মথুরবাবুদের কুঠির ছাদের ওপরে গিয়ে ডেকে বলতেন—“ওরে তোরা কে কোথায় আছিস আয়, আমি যে একলা থাকতে পাচ্ছি না।” সে আহ্বান গিয়ে পৌঁছল বাংলার কয়েকটি অনাঘ্রাত কুসুমসম নির্মল চরিত্র যুবকের অন্তরে। শ্রীরামকৃষ্ণের আহ্বান মন্ত্র তাঁদের হৃদয় তন্ত্রে ধৃত হল। এ নিত্যকালের ডাক, যে ডাকে সাড়া দিয়েছিল রাখাল বালক আর গোপবাল্যগণ। সে আহ্বানে এগিয়ে এসেছিল রক্ষপুরীর মনুুষ্যেতর প্রাণী আর অরণ্যবাসী বানরগণ। সে আকর্ষণে এগিয়ে এল মরুবাসী সাধারণ মানুষ। আর অপরবারে সাড়া দিয়েছিল […]
আজ পর্যন্ত বিভিন্ন ভাষায় যতগুলি গ্রন্থ রচিত হয়েছে, মহাভারত তার মধ্যে সর্ববৃহৎ। হোমার রচিত ইলিয়াড ও ওডিসি মহাকাব্যের তুলনায় কয়েক গুণ বড়। এটি শুধু যে আয়তনেই বৃহৎ তাই নয়, সব ধরনের ভাবসমৃদ্ধও। আমরা সাধারণত ধর্মজীবন এবং সংসারজীবনের মধ্যে পার্থক্য করে থাকি।
ভারতবর্ষে মূল রামায়ণের যেসমস্ত পাঠ পাওয়া গেছে তার মধ্যে মহাকবি তুলসীদাসের রামচরিত মানস সবচেয়ে সমাদৃত। গীতায় ভগবান স্বকণ্ঠে বলেছেন, তিনি যুগে যুগে অবতাররূপে আবির্ভূত হন।
প্রতিদিনের দিনমালায় সময় বয়ে যায়। জগৎ মাঝারে হাসি-কান্নার রঙের মতো গ্রীষ্ম-শীতের ঋতুলীলা চলতে থাকে। বিশ্ব-সংসারের অপার লীলারহস্য আমাদের কাছে অধরা রয়ে যায়। প্রতিদিনের ওঠাপড়ায় প্রতিটি দিন যেমন এক থাকে না, তেমনি প্রতিটি ক্ষণও পালটে পালটে যায়। জগৎ মাঝারে
জীবনপথের প্রতি বাঁকে লুকাইয়া রহিয়াছে কত না অভিজ্ঞতার ঝাঁপি! আমাদের পথচলার শুরু হইতেই এই অভিজ্ঞতা, তাহার কোনো বিরাম নাই। কত অম্ল-মধুর, বেদনা-বিধুর, হাসি-কান্না, সহজ-কঠিন, সফল-বিফল ঘটনার ঘনঘটায় আগাইয়া চলিয়াছে এই জীবনের পথচলা। মনে মনে চলিতে থাকে কত চিন্তার জাল বুনন—কবি-কল্পনাও সেই রাজ্যকে সম্যক ধরিতে ছুঁইতে অপারগ।
দেউলপুর শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ সেবাব্রত সংঘ, হাওড়া : গত ১ ডিসেম্বর ২০২২ নবনির্মিত মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন ও শ্রীরামকৃষ্ণদেবের মর্মর বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা
শ্রীশ্রীমায়ের আবির্ভাবতিথি পালন : গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ বৈদিক স্তোত্রাদি পাঠ, ভজন, জপযজ্ঞ, সানাই বাদন, শোভাযাত্রা, বিশেষ পূজা, পাঠ ও
রামকৃষ্ণ মঠ, বেলুড় : গত ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ বেলুড় মঠ-প্রাঙ্গণে অবস্থিত চিকিৎসালয়ের বিপরীত দিকে ‘মা সারদা ভবন’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তনী সংসদ ‘পুনশ্চ বাংলা’ থেকে দীর্ঘ অপেক্ষার পর প্রকাশিত হলো পুনশ্চ বাংলা পত্রিকার
আলোচ্য গ্রন্থের ভূমিকায় (‘কিছু কথা’) লেখক জানিয়েছেন : “নদী তো সবার জন্য। নদীর বিজ্ঞানকে বোঝার অধিকার তো সাধারণ মানুষেরও আছে।”
লোনা জলের সাগর নয়, শ্রীরামকৃষ্ণ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে বলেছিলেন—‘ক্ষীরসমুদ্র’; সেই সমুদ্র থেকে এক আঁজলা পান করতে পারলে আমরা যেমন বলশালী হব,
উদ্বোধন-এর গত পৌষ ১৪২৯ সংখ্যায় মিতালী বিশ্বাসের লেখা ‘কপিলামঙ্গল কাব্যের অনুরণনে “সহরই” বা বাঁদনা পরব’ পড়ে সমৃদ্ধ হলাম।
স্বামী বিবেকানন্দ প্রবর্তিত উদ্বোধন পত্রিকার আমি অনুরাগী ও পাঠিকা। কম বয়স থেকেই সাংসারিক জীবনের ব্যস্ততার মধ্যে উদ্বোধন
উদ্বোধন-এর গত শারদীয়া ১৪২৯ সংখ্যায় স্বামী নিত্যমুক্তানন্দের ‘মধুময় স্মৃতি’ পড়ে আমার ৩৬ বছর আগেকার স্মৃতি উজ্জ্বল হয়ে উঠল।
“একলব্য”, শিল্পী: চিত্রনিভা চৌধুরী | “স্নেহময়ী”, শিল্পী: সুনয়নী দেবী | “উদার বারি বিন্দু”, শিল্পী: আশিস ঘোষ
ছোটদের নিয়ে আমি কিছু বলতে গেলেই হয়তো অনেকে হৈ-হৈ করে উঠতে পারেন—‘আপনার নিজের তো সংসার-সন্তানাদি নেই, আপনি আবার বাচ্চাদের বিষয়ে কথা বলার জন্য আদর্শ লোক হলেন কী করে, মহারাজ?’
ভাষার একটি সহজাত গুণ হল প্রবহমানতা। প্রবহমান ভাষার তাই পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।
চিন্তাশীল মনীষীদের আবেদন, নিবেদন ও সাবধানবাণীকে উপেক্ষা করে পৃথিবীতে বিভেদ ও অশান্তির বিষবৃক্ষ প্রোথিত হয়ে চলেছে গুণিতক নিয়মে।
নিজের প্রাপ্তিতে তুষ্ট থাকতে পারাই প্রকৃত সুখ। প্রিয় বিষয়কে মানুষ সংগোপনে সযতনে লালন করে চলে
ভাবিলে ভাবের উদয় হয়। শ্রীরামকৃষ্ণ ছিলেন ভাবুক। সামান্য উদ্দীপনেই টাহার ভাব হইত। তেমনি সকল ভাবের মধ্যেও ‘ভাবষট্কহীনরূপ-নিত্যসত্যমদ্বয়ম্’ অর্থাৎ তিনি
রামকৃষ্ণ পরমহংস জগতের কল্যাণের জন্য এসেছিলেন। তাঁকে মানুষ বল বা ঈশ্বর বল বা অবতার বল, আপনার আপনার ভাবে নাও।
রামকৃষ্ণ মিশনের 113তম বার্ষিক সাধারণ সভা রবিবার, 18 ডিসেম্বর 2022, বেলা 3.30টায় বেলুড় মঠে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে রামকৃষ্ণ মঠ এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ 202122 আর্থিক বছরে রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালনা সমিতির কাজের ওপর প্রতিবেদন (রিপোর্ট) উপস্থাপন করেন। প্রতিবেদনের একটি সারসংক্ষেপ এখানে দেওয়া হলো:
স্বামী বিবেকানন্দ শ্রীরামকৃষ্ণের করুণামুখর অবতরণের প্রেক্ষাপট অনুসন্ধানে বলেছেন: “প্রত্যেক পতনের পর পুনরুত্থিত সমাজ অন্তর্নিহিত সনাতন পূর্ণত্বকে সমধিক প্রকাশিত করিতেছেন এবং সর্বভূতান্তর্যামী প্রভুও প্রত্যেক অবতারে আত্মস্বরূপ সমধিক অভিব্যক্ত করিতেছেন।”
স্বামী ত্রিগুণাতীতানন্দ
১ম বর্ষ—৪র্থ বর্ষ
মাঘ ১৩০৫, জানুয়ারি ১৮৯৯
পৌষ ১৩০৯, ডিসেম্বর ১৯০২
উদ্বোধন পত্রিকা আগামী বছর ১২৫ বর্ষে পদার্পণ করতে চলেছে। স্বামী বিবেকানন্দ বাংলা ভাষায় একটি পত্রিকা প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা বোধ করেছিলেন
স্বামী বিবেকানন্দ শ্রীরামকৃষ্ণের করুণামুখর অবতরণের প্রেক্ষাপট অনুসন্ধানে বলেছেন: “প্রত্যেক পতনের পর পুনরুত্থিত সমাজ অন্তর্নিহিত সনাতন পূর্ণত্বকে সমধিক প্রকাশিত করিতেছেন এবং সর্বভূতান্তর্যামী প্রভুও প্রত্যেক অবতারে আত্মস্বরূপ সমধিক অভিব্যক্ত করিতেছেন।”
শ্রীরামকৃষ্ণের পূত চরিত্র ভারতবর্ষের সনাতন আত্মার অভিব্যক্তিতে শান্ত সমাহিত। তাঁহার ভালবাসার কোনো সীমা-পরিসীমা ছিল না। স্বামী বিবেকানন্দ বলিতেন, তাঁহার আবির্ভাবে জগতে এক আধ্যাত্মিক ভাবতরঙ্গের সূচনা হইয়াছে।
ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস, শ্রীমা সারদাদেবী ও স্বামী বিবেকানন্দের আশীর্বাদে উদ্বোধন পত্রিকা একশো পঁচিশ বছরে পদার্পণ করছে। যুগপুরুষ স্বামী বিবেকানন্দের মানসসঞ্জাত উদ্বোধন পত্রিকা কেবলমাত্র একটি সাময়িক পত্র নয়, ভারতের চিরন্তন বাণীর একটি সতত সঞ্চরণশীল প্রাণকেন্দ্রবিশেষ
বিষ্ণুপুর বিবেকানন্দ চিন্তন ও সেবা সমিতি, বাঁকুড়া : গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বার্ষিক যুবসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বিষ্ণুপুর বিবেকানন্দ চিন্তন ও সেবা সমিতি, বাঁকুড়া : গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বার্ষিক যুবসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব ও বার্ষিক পত্রিকা ‘বজ্র’ প্রকাশ করেন স্বামী কৃিত্তবাসানন্দ।
গত ৩ অক্টোবর ২০২২ মহাষ্টমী উপলক্ষে স্তবপাঠ, পূজা, হোম প্রভৃতি অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ১০০০ ভক্ত প্রসাদ পান।
গত ৩ অক্টোবর ২০২২ মহাষ্টমী উপলক্ষে স্তবপাঠ, পূজা, হোম প্রভৃতি অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ১০০০ ভক্ত প্রসাদ পান। গত ২৪ অক্টোবর স্তবপাঠ, সংগীত প্রভৃতির মাধ্যমে সারারাত্রিব্যাপী প্রতিমায় শ্রীশ্রীকালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৩৫০ জন ভক্ত প্রসাদ পান।
রামকৃষ্ণ মঠ, বেলুড় : গত ২—৫ অক্টোবর ২০২২ ভাবগম্ভীর ও আনন্দময় পরিবেশে প্রতিমায় শ্রীশ্রীদুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।
রামকৃষ্ণ মঠ, বেলুড় : গত ২—৫ অক্টোবর ২০২২ ভাবগম্ভীর ও আনন্দময় পরিবেশে প্রতিমায় শ্রীশ্রীদুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। মাঝে মাঝে বৃষ্টিপাত সত্ত্বেও হাজার হাজার ভক্ত জগন্মাতার দর্শন ও আশীর্বাদলাভের উদ্দেশ্যে এই চারদিনের পূজানুষ্ঠানে যোগদান করেন। মহাষ্টমীতে প্রায় ৫৫ হাজার এবং চারদিনে প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার ভক্ত প্রসাদ পান।
এবারের পুজোয় ‘হরপ্পা’ পত্রিকার বর্তমান সংখ্যায় বাঙালির উনিশ ও বিশ শতকের পুজোর বই ও পত্রিকার নানান প্রেক্ষিত ও প্রবণতাকে …
এবারের পুজোয় ‘হরপ্পা’ পত্রিকার বর্তমান সংখ্যায় বাঙালির উনিশ ও বিশ শতকের পুজোর বই ও পত্রিকার নানান প্রেক্ষিত ও প্রবণতাকে সামনে রেখে নির্মিত হয়েছে দুর্গাপুজোর একেবারে অন্য সাংস্কৃতিক ইতিহাসের রূপরেখা। এই ব্যতিক্রমী ভাবনার রূপায়ণ আপামর বাঙালি পাঠককে মুগ্ধ করবে।
তর্কপ্রিয় বাঙালির প্রধান অস্ত্র হলো তার তত্ত্ববোধ, যা কি না অস্পষ্ট, অগভীর ও বিতর্কিত! সাহিত্যেও তার ব্যতিক্রম নেই।
তর্কপ্রিয় বাঙালির প্রধান অস্ত্র হলো তার তত্ত্ববোধ, যা কি না অস্পষ্ট, অগভীর ও বিতর্কিত! সাহিত্যেও তার ব্যতিক্রম নেই। বাংলা লিটিল ম্যাগাজিন চর্চায় তত্ত্বের সুলুক সন্ধানের খোঁজ তাই সেভাবে চোখে পড়ে না। তবে লিটিল ম্যাগাজিন চর্চায় যেটা বারবার নজরে আসে তা হলো নতুন কিছু করার বা ভাবার প্রচেষ্টা।
বুদ্ধের সন্ধানে বইটিতে কুণাল চট্টোপাধ্যায় ছটি অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধধর্মের ঐতিহাসিক নিদর্শন সংগ্রহ ও ভারত-সংলগ্ন বিভিন্ন দেশে বৌদ্ধধর্ম প্রসারের ইতিহাস তুলে ধরেছেন।
বুদ্ধের সন্ধানে বইটিতে কুণাল চট্টোপাধ্যায় ছটি অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধধর্মের ঐতিহাসিক নিদর্শন সংগ্রহ ও ভারত-সংলগ্ন বিভিন্ন দেশে বৌদ্ধধর্ম প্রসারের ইতিহাস তুলে ধরেছেন। প্রথম অধ্যায়ে বৌদ্ধধর্ম ও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নিয়ে আলোচনা করেছেন। দ্বিতীয় অধ্যায়ে জর্জ টার্নার, ব্রায়ান হজসন ও জেমস প্রিন্সেপ অনুসন্ধানের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও উত্তরভারতে বৌদ্ধধর্ম বিস্তার সম্বন্ধীয় নানা তথ্য কীভাবে উদ্ধার করেছিলেন তার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস রয়েছে।
স্বামী ব্রহ্মানন্দজী সম্পর্কে আলোচ্য গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। বিবিধ বিষয় আলোচিত হয়েছে এখানে।
স্বামী ব্রহ্মানন্দজী সম্পর্কে আলোচ্য গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। বিবিধ বিষয় আলোচিত হয়েছে এখানে। যেমন স্বামী ব্রহ্মানন্দজী ও নেতাজী প্রসঙ্গটি। লেখক সবিস্তারে আলোচনা করে দেখিয়েছেন, স্বামী ব্রহ্মানন্দজীর দিব্যদৃষ্টিতে ধরা পড়েছিল—সুভাষের জন্য সন্ন্যাসজীবন নয়, দেশের কাজে তাঁকে আত্মোৎসর্গ করতে হবে। দিলীপকুমার রায়কে সুভাষচন্দ্র পরে বলেছিলেন, স্বামী ব্রহ্মানন্দজীর কৃপা এবং পরামর্শেই তাঁর জীবনের গতি বদলে গিয়েছে।
একদিন রাসবিহারী মহারাজ একজনের প্রসঙ্গে মাকে বলেছিলেন—‘তাঁর প্রাণটা তোমার জন্য কেমন ব্যাকুল হয়েছে তিন-চার মাস ধরে।’
একদিন রাসবিহারী মহারাজ একজনের প্রসঙ্গে মাকে বলেছিলেন—‘তাঁর প্রাণটা তোমার জন্য কেমন ব্যাকুল হয়েছে তিন-চার মাস ধরে।’ মা শুনে বলেন—‘সে কি! সাধু সব মায়া কাটাবে।… আমি ওসব ভালবাসি না।’ ইত্যাদি। আমি এবিষয়ে রাসবিহারী মহারাজকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি উত্তরে বললেন—“উনি মাঝে মাঝে আমার কাছে এসে বলতেন, তোমরা কত ভাগ্যবান! শ্রীশ্রীমার কত স্নেহ পাচ্ছ, কাছে থেকে সেবা করার সুযোগ পাচ্ছ ইত্যাদি, ইত্যাদি।”
এই সেই জয়রামবাটীর চন্দন-সমান মাটি, যেখানে মায়াপারনেত্রী মহামায়া মানবীয় কায়ায় ভূমিষ্ঠা হয়েছেন ও আপনার ছন্দে আপনি পরিভ্রমণ করেছেন। আর মাঝে মাঝে মৃদুস্বরে বলে উঠেছেন : “ছেলেরা, তোরা আয়।” সন্তানের জন্য তাঁর এই কাতর অপেক্ষায় দ্রবীভূত হয়ে গিয়েছে পল্লির শাঁওল নিসর্গ। শত শত জনের ত্রিতাপদহন নিমেষে কেমন করে শান্ত হয়ে গেছে, তার সাক্ষী থেকেছে এখানকার সোঁদা মাটির ঘ্রাণ।
এই সেই জয়রামবাটীর চন্দন-সমান মাটি, যেখানে মায়াপারনেত্রী মহামায়া মানবীয় কায়ায় ভূমিষ্ঠা হয়েছেন ও আপনার ছন্দে আপনি পরিভ্রমণ করেছেন। আর মাঝে মাঝে মৃদুস্বরে বলে উঠেছেন : “ছেলেরা, তোরা আয়।” সন্তানের জন্য তাঁর এই কাতর অপেক্ষায় দ্রবীভূত হয়ে গিয়েছে পল্লির শাঁওল নিসর্গ। শত শত জনের ত্রিতাপদহন নিমেষে কেমন করে শান্ত হয়ে গেছে, তার সাক্ষী থেকেছে এখানকার সোঁদা মাটির ঘ্রাণ।
“১৮৮৬ সালের অগস্ট মাসে শ্রীরামকৃষ্ণ দেহ ছেড়ে তাঁর সাধনোচিত ধামে যাত্রা করেন।” চিরাচরিত হিন্দু রীতি অনুসারে শ্রীমা তাঁর অলংকার ত্যাগ করে যখন হাতের …
“১৮৮৬ সালের অগস্ট মাসে শ্রীরামকৃষ্ণ দেহ ছেড়ে তাঁর সাধনোচিত ধামে যাত্রা করেন।” চিরাচরিত হিন্দু রীতি অনুসারে শ্রীমা তাঁর অলংকার ত্যাগ করে যখন হাতের বালাটি খুলবেন, তখন অভাবনীয়ভাবে শ্রীরামকৃষ্ণ জ্যোতির্ময়রূপে তাঁকে দর্শন দিয়ে তাঁর হাত ধরে বালা খুলতে নিষেধ করেন। ঠাকুর বলেন যে, তিনি পূর্বের মতোই বিদ্যমান এবং তাঁর বৈধব্যচিহ্ন গ্রহণের কোনো প্রয়োজন নেই।
বিভিন্ন শিক্ষা পর্ষদের অধীনে ২০২২ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রামকৃষ্ণ মিশনের বিদ্যালয় ও ছাত্রাবাসগুলির ফল নিম্নরূপ :
বিভিন্ন শিক্ষা পর্ষদের অধীনে ২০২২ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রামকৃষ্ণ মিশনের বিদ্যালয় ও ছাত্রাবাসগুলির ফল নিম্নরূপ :
ঘাটাল শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ সেবাশ্রম, পশ্চিম মেদিনীপুর : গত ২৬ জুন ২০২২ রামকৃষ্ণ মিশনের ১২৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে একটি ভক্তসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভাষণ দেন রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সহকারী সাধারণ সম্পাদক স্বামী বোধসারানন্দ, স্বামী সুপর্ণানন্দ, স্বামী সর্বলোকানন্দ, স্বামী শাস্ত্রজ্ঞানন্দ, ডঃ বন্দিতা ভট্টাচার্য ও গোপেন্দ্র চৌধুরী।
ঘাটাল শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ সেবাশ্রম, পশ্চিম মেদিনীপুর : গত ২৬ জুন ২০২২ রামকৃষ্ণ মিশনের ১২৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে একটি ভক্তসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভাষণ দেন রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সহকারী সাধারণ সম্পাদক স্বামী বোধসারানন্দ, স্বামী সুপর্ণানন্দ, স্বামী সর্বলোকানন্দ, স্বামী শাস্ত্রজ্ঞানন্দ, ডঃ বন্দিতা ভট্টাচার্য ও গোপেন্দ্র চৌধুরী।
‘উদ্বোধন’-এর গত শ্রাবণ ১৪২৯ সংখ্যায় ‘শ্রীরামকৃষ্ণের স্মৃতিধন্য ডাঃ চন্দ্রশেখর কালীর বাড়ি’র লেখক অরিন্দম দাসকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। শ্রীরামকৃষ্ণের পদধূলিধন্য এই বাড়িটির সন্ধান দেওয়ার জন্য যারপরনাই আনন্দিত হয়েছি।
‘উদ্বোধন’-এর গত শ্রাবণ ১৪২৯ সংখ্যায় ‘শ্রীরামকৃষ্ণের স্মৃতিধন্য ডাঃ চন্দ্রশেখর কালীর বাড়ি’র লেখক অরিন্দম দাসকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। শ্রীরামকৃষ্ণের পদধূলিধন্য এই বাড়িটির সন্ধান দেওয়ার জন্য যারপরনাই আনন্দিত হয়েছি।
‘উদ্বোধন’-এর গত ভাদ্র ১৪২৯ সংখ্যায় বঙ্কিমচন্দ্রের ‘কৃষ্ণচরিত্র’ বিষয়ে পার্থ সেনগুপ্তের রচনাটি শ্রীকৃষ্ণের চারিত্রিক বিশ্লেষণে এক মহামূল্যবান ধারাবিবরণীর সমতুল্য।
‘উদ্বোধন’-এর গত ভাদ্র ১৪২৯ সংখ্যায় বঙ্কিমচন্দ্রের ‘কৃষ্ণচরিত্র’ বিষয়ে পার্থ সেনগুপ্তের রচনাটি শ্রীকৃষ্ণের চারিত্রিক বিশ্লেষণে এক মহামূল্যবান ধারাবিবরণীর সমতুল্য।
‘উদ্বোধন’-এর গত আষাঢ় ১৪২৯ সংখ্যায় প্রকাশিত ‘উনিশ শতকে পত্র-পত্রিকার ছাপাখানা’ শীর্ষক তথ্যমূলক রচনাটি পড়ে ভাল লাগল। এপ্রসঙ্গে দু-একটি তথ্য সংযোজন করতে চাই।
‘উদ্বোধন’-এর গত আষাঢ় ১৪২৯ সংখ্যায় প্রকাশিত ‘উনিশ শতকে পত্র-পত্রিকার ছাপাখানা’ শীর্ষক তথ্যমূলক রচনাটি পড়ে ভাল লাগল। এপ্রসঙ্গে দু-একটি তথ্য সংযোজন করতে চাই।
‘উদ্বোধন’-এর গত শ্রাবণ ১৪২৯ সংখ্যায় ‘ভারতীয় মার্গসংগীতে বর্ষা’ পড়ে ভাল লাগল। আমার দেখা একটা ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল। সেটি এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করছি। সময়টা ১৯৭৩ সালের জুলাই মাস, আষাঢ়ের শেষ সপ্তাহ।
‘উদ্বোধন’-এর গত শ্রাবণ ১৪২৯ সংখ্যায় ‘ভারতীয় মার্গসংগীতে বর্ষা’ পড়ে ভাল লাগল। আমার দেখা একটা ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল। সেটি এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করছি। সময়টা ১৯৭৩ সালের জুলাই মাস, আষাঢ়ের শেষ সপ্তাহ।
আবির্ভাবতিথি পালন : গত ১৯ ও ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ যথাক্রমে শ্রীমৎ স্বামী অভেদানন্দজী মহারাজ ও শ্রীমৎ স্বামী অখণ্ডানন্দজী মহারাজের জন্মতিথিতে তাঁদের জীবন ও বাণী বিষয়ে পাঠ ও আলোচনা করেন স্বামী কৃষ্ণনাথানন্দ ও স্বামী বিশ্বাধিপানন্দ।
আবির্ভাবতিথি পালন : গত ১৯ ও ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ যথাক্রমে শ্রীমৎ স্বামী অভেদানন্দজী মহারাজ ও শ্রীমৎ স্বামী অখণ্ডানন্দজী মহারাজের জন্মতিথিতে তাঁদের জীবন ও বাণী বিষয়ে পাঠ ও আলোচনা করেন স্বামী কৃষ্ণনাথানন্দ ও স্বামী বিশ্বাধিপানন্দ।
২০০২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার জন্য ঝাড়গ্রামে একটি আবাসিক কো-এডুকেশন স্কুলের সূচনা করে, যেটির নাম ‘একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল’। ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি এক চুক্তি অনুসারে রামকৃষ্ণ মিশন এই বিদ্যালয়ের পরিচালনা এবং প্রশাসনের দায়িত্বভার গ্রহণ করে।
২০০২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার জন্য ঝাড়গ্রামে একটি আবাসিক কো-এডুকেশন স্কুলের সূচনা করে, যেটির নাম ‘একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল’। ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি এক চুক্তি অনুসারে রামকৃষ্ণ মিশন এই বিদ্যালয়ের পরিচালনা এবং প্রশাসনের দায়িত্বভার গ্রহণ করে।
আবহমান বাঙালি-মনের যে-রাগ কার্তিকের কুয়াশায় ফিকে হয়ে গিয়ে অঘ্রানের ধানে আবার সোনালি রঙে ফুটে ওঠে, তার নাম হেমন্ত। হেমন্তে গতি পায় বাংলার দৈনন্দিন স্বপ্নার্দ্র জীবন। মেদুর শিশিরকণার মন্দাক্রান্তা ছন্দে কার্তিকের সকাল আলসে চোখে চেয়ে থাকে।
আবহমান বাঙালি-মনের যে-রাগ কার্তিকের কুয়াশায় ফিকে হয়ে গিয়ে অঘ্রানের ধানে আবার সোনালি রঙে ফুটে ওঠে, তার নাম হেমন্ত। হেমন্তে গতি পায় বাংলার দৈনন্দিন স্বপ্নার্দ্র জীবন। মেদুর শিশিরকণার মন্দাক্রান্তা ছন্দে কার্তিকের সকাল আলসে চোখে চেয়ে থাকে।
প্রাচীনকালে ‘বাংলা’—এই নামে কোনো দেশ বা জনপদের অবস্থান ইতিহাসে পাওয়া যায় না। ভারতের প্রায় প্রতিটি প্রদেশের নাম ও সীমা কালক্রমে পরিবর্তিত হয়েছে। প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে এসমস্ত জনপদ বা অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসাবে মনে করা হয়—বিক্রমপুর, নাব্য (পূর্ববঙ্গের
প্রাচীনকালে ‘বাংলা’—এই নামে কোনো দেশ বা জনপদের অবস্থান ইতিহাসে পাওয়া যায় না। ভারতের প্রায় প্রতিটি প্রদেশের নাম ও সীমা কালক্রমে পরিবর্তিত হয়েছে। প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে এসমস্ত জনপদ বা অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসাবে মনে করা হয়—বিক্রমপুর, নাব্য (পূর্ববঙ্গের
“এলেম নতুন দেশে—
তলায় গেল ভগ্ন তরী, কূলে এলেম ভেসে।।”১
রবীন্দ্রনাথের কল্প-ছোঁয়ার ‘তাসের দেশ’ আবিষ্কারের মতো, ময়ূরপঙ্খি নাও নিয়ে উদ্দাম সাগরের উজানে পাড়ি দিয়ে নতুন দেশ খুঁজে পাওয়ার কত না রোমহর্ষক কাহিনি পড়েছি রূপকথার গল্পে! জেনেছি কলম্বাসের আমেরিকা ও ভাস্কো-দা-গামার সুদূর ইউরোপ থেকে পাড়ি দিয়ে আফ্রিকার ‘কেপ অব গুড হোপ’ পেরিয়ে ভারত আবিষ্কারের কথা।
“এলেম নতুন দেশে—
তলায় গেল ভগ্ন তরী, কূলে এলেম ভেসে।।”১
রবীন্দ্রনাথের কল্প-ছোঁয়ার ‘তাসের দেশ’ আবিষ্কারের মতো, ময়ূরপঙ্খি নাও নিয়ে উদ্দাম সাগরের উজানে পাড়ি দিয়ে নতুন দেশ খুঁজে পাওয়ার কত না রোমহর্ষক কাহিনি পড়েছি রূপকথার গল্পে! জেনেছি কলম্বাসের আমেরিকা ও ভাস্কো-দা-গামার সুদূর ইউরোপ থেকে পাড়ি দিয়ে আফ্রিকার ‘কেপ অব গুড হোপ’ পেরিয়ে ভারত আবিষ্কারের কথা।
এক ভীষণ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা বর্তমানে জীবন অতিবাহিত করছি। বেঁচে থাকার লড়াই করছি কমবেশি সকলেই। অপরদিকে যদি অসুখের এই প্রত্যক্ষতা থেকে মুখ তুলে সমাজের দিকে তাকানো যায় সামগ্রিকভাবে, দেখা যাবে ভয়ে, অবসাদে, উদ্বেগে নিমজ্জিত সে।
এক ভীষণ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা বর্তমানে জীবন অতিবাহিত করছি। বেঁচে থাকার লড়াই করছি কমবেশি সকলেই। অপরদিকে যদি অসুখের এই প্রত্যক্ষতা থেকে মুখ তুলে সমাজের দিকে তাকানো যায় সামগ্রিকভাবে, দেখা যাবে ভয়ে, অবসাদে, উদ্বেগে নিমজ্জিত সে।
স্বচ্ছতার দুই প্রতীক—জল ও কাচ। একটি তরল অপরটি কঠিন হলেও দুটিতে মিল অনেক। দুটিই অনিয়তাকার বা নির্দিষ্ট আকারশূন্য; পরিবেশ ও অবস্থা অনুযায়ী খাপ খাওয়ানোতে সক্ষম।
স্বচ্ছতার দুই প্রতীক—জল ও কাচ। একটি তরল অপরটি কঠিন হলেও দুটিতে মিল অনেক। দুটিই অনিয়তাকার বা নির্দিষ্ট আকারশূন্য; পরিবেশ ও অবস্থা অনুযায়ী খাপ খাওয়ানোতে সক্ষম।
জীবন আপাতপক্ষে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার সমাবেশমাত্র। ভাল আর মন্দের নিত্য দোলায় এই খেলা চলিতে থাকে। প্রতিদিনের হাসিকান্নায় জীবন ‘নদী’র মতো বহিয়া যায়। জীবনদেবতা যেন অগোচরে একের পর এক রাগের সমাবেশ ঘটান আমাদের জীবনে।
জীবন আপাতপক্ষে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার সমাবেশমাত্র। ভাল আর মন্দের নিত্য দোলায় এই খেলা চলিতে থাকে। প্রতিদিনের হাসিকান্নায় জীবন ‘নদী’র মতো বহিয়া যায়। জীবনদেবতা যেন অগোচরে একের পর এক রাগের সমাবেশ ঘটান আমাদের জীবনে।