আলোচ্য প্রবন্ধের পরিসীমায় দুই জার্মান বৈজ্ঞানিক Arnold Sommerfeld (1868—1951) এবং Karl Warner Heisenberg (1901—1976)-এর সঙ্গে

আলোচ্য প্রবন্ধের পরিসীমায় দুই জার্মান বৈজ্ঞানিক Arnold Sommerfeld (1868—1951) এবং Karl Warner Heisenberg (1901—1976)-এর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সা‌ক্ষাতের বিষয়টি প্রধান উপজীব্য। অপর জার্মান বৈজ্ঞানিক Albert Einestein (1879—1955)-এর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সা‌ক্ষাৎপর্ব বহুচর্চিত ও আলোচিত। প্রবন্ধের তাগিদে Einestein প্রসঙ্গটি তুল্যমূল্য বিচারের নিরিখে শুধুমাত্র উত্থাপিত হল এই কথাটা জানানোর জন্য যে, উক্ত তিনজনই প্রায় একই সময়ের প্রখ্যাত জার্মান পদার্থবিদ। পৃথক পৃথক ভাবে তিনজনের সঙ্গেই রবীন্দ্রনাথের সা‌ক্ষাৎ হয়। অথচ রবীন্দ্রনাথ ও Einestein পর্ব যতটা প্রচারিত হয়েছিল, অন্য সা‌ক্ষাৎপর্ব-দুটি যেন তার বিপরীত মেরুতে রয়ে গেল প্রায় উপে‌ক্ষিত অবস্থায়। ১৯২৬ সালে রবীন্দ্রনাথ এবং Einestein প্রথম সা‌ক্ষাৎটি ছিল সম্ভবত সৌজন্যমূলক, বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায় না। কিন্তু ১৯৩০ সালে প্রথমে জার্মানিতে এবং পরে আমেরিকায় তাঁদের মধ্যে দেখাসা‌ক্ষাৎ, ভাববিনিময়, কথোপকথন ইত্যাদির ইতিহাস বেশ দীর্ঘ। বিভিন্ন সময়ে উভয়ের একসঙ্গে গৃহীত একাধিক আলোকচিত্র পৃথিবীর অসংখ্য সংবাদপত্রে মুদ্রিত হয়। রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং Einestein-এর সঙ্গে বিদেশ-বিভুঁইয়ে দেখা করতে গেলেও অপর দুই বিজ্ঞানী Sommerfeld এবং Heisenberg এলেন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর স্বদেশভূমি ভারতবর্ষে। কিন্তু কোনো রবীন্দ্ররচনায় তা বর্ণিত হয়নি। শান্তিনিকেতনে গিয়ে দেখা করলেন Sommerfeld আর কলকাতার জোড়াসাঁকোর বাড়িতে এলেন Heisenberg। ১৯৩০ সালে রবীন্দ্রনাথ প্রায়-সত্তর এবং Einestein পঞ্চাশ-উত্তীর্ণ। অসমবয়সি কবি-বৈজ্ঞানিকের ভাববিনিময়ে কোনোকিছুই বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। ষাটোর্ধ্ব Sommerfeld মিলিত হলেন সাতষট্টি বছরের রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে। জ্যোৎস্নালোকিত রাতে উভয়ের আলোচনায় এসেছে Goethe, জার্মানি, ইংরেজশাসিত ভারতবর্ষের কথা প্রভৃতি প্রসঙ্গ। আলোচনার কোনো শ্রুতিলিপি র‌ক্ষিত হয়নি। উল্লেখ যা আছে তা Sommerfeld-এর স্মৃতিচারণায়। আবার সাতষট্টি-উত্তীর্ণ রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা করতে এলেন উনত্রিশ বছর বয়স্ক পূর্ণযুবক Heisenberg। সা‌ক্ষাতের বিষয়টি প্রথম উল্লিখিত হয়েছে বাবাকে লেখা Heisenberg-এর চিঠিতে। অনালোচিত, প্রায় উপে‌ক্ষিত ইতিবৃত্তে উক্ত যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিলেন জগদীশচন্দ্র বসুর ভাগনে দেবেন্দ্রমোহন বসু (১৮৮৫—১৯৭৫)। শেষোক্ত বিজ্ঞানীদ্বয়ের বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের নীরবতা কৌতূহলের সৃষ্টি করে, জন্ম নেয় নানা জিজ্ঞাসার। কোনো কোনো আলোচক উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন। ঈশোপনিষদ-এর “তদেজতি তন্নৈজতি তদ্দূরে তদ্বন্তিকে।/ তদন্তরস্য সর্বস্য তদু সর্বস্যাস্য বাহ্যতঃ।।”১ মন্ত্রটি সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের উপনিষদ-ভাবনার সঙ্গে...

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in