উদ্বোধন-এর বৈশাখ ১৪৩০ সংখ্যায় কিঞ্জল বোসের লেখা ‘বাংলার পাঁচ পঞ্চবিংশতিরত্ন মন্দির’ প্রবন্ধটির জন্য ধন্যবাদ জানাই। পশ্চিমবঙ্গে ২৫ চূড়াবিশিষ্ট মন্দির ৬টি আছে,

উদ্বোধন-এর বৈশাখ ১৪৩০ সংখ্যায় কিঞ্জল বোসের লেখা ‘বাংলার পাঁচ পঞ্চবিংশতিরত্ন মন্দির’ প্রবন্ধটির জন্য ধন্যবাদ জানাই। পশ্চিমবঙ্গে ২৫ চূড়াবিশিষ্ট মন্দির ৬টি আছে, ৫টি নয়। ষষ্ঠটি হলো নখিপুরে রঘুজীর মন্দির। এটি দালানমন্দির। দ্বিতল ছাদে ২৫টি ছোট-বড় চূড়া সুন্দরভাবে স্থাপন করা হয়েছে। কালনায় লালজী এবং কৃষ্ণচন্দ্রের মন্দির-দুটি ৬টি মন্দিরের মধ্যে সর্ববৃহৎ। কৃষ্ণচন্দ্র-মন্দিরে সবচেয়ে বেশি টেরাকোটার কাজ রয়েছে। তারপর লালজীর মন্দির। চাতাল থেকে দুটি মন্দিরের উচ্চতা ৬৫ ফুট। গোপাল-মন্দির চাতাল থেকে ৫০ ফুট উচ্চ। এই মন্দিরটি ১৭৬৭ সালে বর্ধমান-রাজের কর্মচারী কৃষ্ণচন্দ্র বর্মণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সোনামুখীর শ্রীধর-মন্দির আজ ধ্বংসের পথে। বিরাট বিরাট গাছ মন্দিরচূড়ায় জন্মেেছ। একটা চূড়া ভেঙেও গেছে। বর্ষাকালে মন্দিরের চূড়ার ফাটল দিয়ে মন্দিরের মধ্যে জল পড়ে। এই অমূল্য মন্দিরটির প্রতি সোনামুখী-সহ বাঁকুড়াবাসী সম্পূর্ণ উদাসীন। বেশ কিছুদিন আগে কালনা মহকুমা ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব চর্চাকেন্দ্র সোনামুখী অঞ্চলে ‌ক্ষেত্রসমী‌ক্ষা করতে গিয়ে মন্দিরের দুর্দশা দেখে বেদনাহত হয়েছি। জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপ‌ক্ষকে। অনাদরে, অবহেলায় এবং অজ্ঞতায় এই বঙ্গে এরকম কত শত মন্দির, পুরাতাত্ত্বিক সৌধ বা ঐতিহাসিক ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে এবং হচ্ছে। অম্বিকা কালনায় জগন্নাথবাড়ি এবং বর্ধমান মহারাজাদের সমাজবাড়ি এভাবেই ধ্বংস হয়ে গেছে। বেশ কিছু সম্পত্তি বেহাত হয়েছে। আমাদের দুর্ভাগ্য, তা রোখা যায়নি। সিদ্ধেশ্বর আচার্য্যকালনা মহকুমা ইতিহাস ওপুরাতত্ত্ব চর্চাকেন্দ্রকালনা, পূর্ব বর্ধমান-৭১৩৪০৯

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in