কাশী বা বারাণসী এক আনন্দময় স্থান। বারাণসীর আরেক নাম বা আদি নাম—‘আনন্দকানন’ যে-স্থানে আনন্দের

কাশী বা বারাণসী এক আনন্দময় স্থান। বারাণসীর আরেক নাম বা আদি নাম—‘আনন্দকানন’ যে-স্থানে আনন্দের অভাব নেই। হিন্দিতে আরেকটি অর্থও আছে—বারাণসীর পুরো কথা হলো ‘বনা হুয়া রস’, অর্থাৎ যেখানে আনন্দরসের অভাব নেই। তাই দেখা যায়, কাশীবাসীরা সারা বছর কিছু না কিছু উৎসব, মেলা বা পূজা-পার্বণের মধ্য দিয়ে আনন্দে মেতে থাকে। এ এক দৈব অনুভূতি বা আনন্দ, তাই দেশ-বিদেশের বহু মানুষ এর সাক্ষী হতে আসে। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, বলা হয়—অনন্তকোটি দেবদেবী, ঋষি-মুনি, সাধু-সন্ন্যাসী সূক্ষ্মশরীরে আনন্দকাননে বাস করে এই আনন্দরস আস্বাদন করেন। কাশীতে মৃত্যুটাও যেন একটা উৎসব! কাশীর নিজস্ব কিছু উৎসব, পূজা বা মেলা আছে, যা এই আনন্দকাননকে আজও আনন্দময় করে রেখেছে। এগুলি সাধারণত সারা দেশে অন্য কোথাও খুব একটা দেখা যায় না। তাই এই উৎসব ও মেলার মধ্য দিয়ে কাশীকে একটু অনুধ্যান করা যেতে পারে। বসেউরা মা শীতলার পূজাকে কেন্দ্র করে এই উৎসব হয়। এটি প্রধানত মহিলারা পরিবারের কল্যাণ, সুখ-সমৃদ্ধি, রোগ-ভোগ থেকে বাঁচার জন্য কুলাচার হিসাবে করে। বছরে একবার, দুবার, কেউ কেউ চারবারও করে। বেশির ভাগ পরিবারে এটি হোলির পর কৃষ্ণপক্ষের সপ্তমীতে বা অষ্টমীতে হয়। একে ‘শীতলাসপ্তমী’ বা ‘শীতলাষ্টমী’ বলে। পরিবারের বিবাহিতা মহিলারা সারাদিন উপবাস করে। আগের দিন সারারাত জেগে পূজার জন্য ভোগ রান্না করে—ঠেকুয়া, গুলগুলা (একধরনের আটার তৈরি মিষ্টি), দই, লুচি, তরকারি ইত্যাদি এর মধ্যে প্রধান। এই ভোগ তৈরি করতে চিনির জায়গায় গুড় ব্যবহার করা হয়। ভোরবেলা মা শীতলার পূজা হয়। তাঁকে এই শীতলভোগ নিবেদন করে তারা রান্নাঘরের দেওয়ালে চাল এবং হলুদ বাটা দিয়ে হাতের ছাপ দেয়। যে সপ্তমীতে এই পূজা করে, সে সাতবার হাতের ছাপ দেয়; যে অষ্টমীতে করে সে আটবার। এরপর তারা মঙ্গলগান গাইতে গাইতে গঙ্গাপূজা করতে যায়। পর দিন মায়ের প্রসাদ খাওয়ার পর উপবাস ভঙ্গ হয়। সেজন্য এই পূজা-উৎসবের নাম ‘বসেউরা’। কজরী প্রতিটা শহর বা গ্রামে কিছু নিজস্ব পরম্পরা থাকে। কাশীতে সেই লোকপরম্পরার একটি উৎসব হলো কজরী।...

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in