মহাভারতের শান্তিপর্বে সাতজন নিবৃত্তিমার্গীয় ব্রহ্মর্ষির উল্লেখ রয়েছে। তাঁদের নাম : সন, সনৎ-সুজাত, সনক, সনন্দন,

মহাভারতের শান্তিপর্বে সাতজন নিবৃত্তিমার্গীয় ব্রহ্মর্ষির উল্লেখ রয়েছে। তাঁদের নাম : সন, সনৎ-সুজাত, সনক, সনন্দন, সনৎকুমার, কপিল ও সনাতন। এই সপ্তর্ষি জ্ঞান ও পুণ্যে, ত্যাগ ও প্রেমে মানব তো দূরের কথা—দেবদেবীকেও অনেক নিম্নে অতিক্রম করে অখণ্ডের রাজ্যে সমাধিযোগে অনিমেষ আত্মস্থ থাকেন। অসীম নভোনীলিমায় দিব্যজ্যোতির্ঘনতনু ঋষিদের নক্ষত্রের প্রতীকে ভাবা হয়েছে। এঁদের মধ্যে অন্যতম সন ‘নর’ নামে ভারতীয় শাস্ত্রে সুবিখ্যাত। প্রকাশঘন শিশুর মূর্তিতে শ্রীরামকৃষ্ণদেব এই ঋষিরই কণ্ঠদেশ সুললিত বাহুযুগে আবেষ্টিত করে তাঁর লীলাসহায়ে অবতরিত হতে অনুরোধ জানান। সুকোমল প্রেমস্পর্শে সমাধি থেকে ব্যুত্থিত ঋষি নীরব সম্মতির ইঙ্গিত দেন সাগ্রহে। তারপর অর্ধস্তিমিত নির্নিমেষ প্রেমনয়নে শিশুকে নিরীক্ষণ করতে করতে পুনরায় তিনি সমাধিস্থ হন। তাঁর একাংশ উজ্জ্বল জ্যোতির আকারে ধরাধামে অবতরণ করেছিল। জীবের দুর্গতিতে কাতরপ্রাণ নরেন্দ্রনাথকে শ্রীরামকৃষ্ণদেব সেই অবতরিত নর-ঋষি বলে চিনে নিয়েছিলেন। উত্তরকালের স্বামী বিবেকানন্দ হয়ে বিশ্বকে সুদীপিত করার প্রাক্‌মুহূর্তের বন্দনায় স্বামী সারদানন্দজী তাঁর স্তব গেয়েছেন : “তারা জ্বলি’ ছায়া পথে স্পর্শে ধরা আচম্বিতে…।” 

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in