এবছর রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠার ১২৫ বছর বিশ্বময় যথাযথ শ্রদ্ধায় পালিত হচ্ছে। মিশনের প্রতিষ্ঠা হয় ১ মে ১৮৯৭।
রামকৃষ্ণ মিশনের সেবাযজ্ঞ দেখলে বিস্মিত হতে হয়। বহু মানুষ স্বেচ্ছায় সেবা দিতে এগিয়ে আসেন। এই স্বেচ্ছাসেবকেরা আত্মনিবেদিত ভক্ত, সদা কর্মময়, মিশনের সম্পদ।
মনে পড়ে লাটুরের ভূমিকম্প (২০০৮) অথবা উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয়ে (২০১৩) রামকৃষ্ণ মিশনের সেবার কথা। রামকৃষ্ণ মিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন—এখনকার ভাষায় ‘সাস্টেনেবল’ আয়োজন। আর দ্বিতীয় কথা, স্থানীয় মানুষজনের প্রয়োজন পর্যালোচনা করে তাদের জন্য উপযুক্ত বাসস্থান নির্মাণ করে দেওয়া হলো। বেলুড় মঠে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য আলাদা অফিস রয়েছে। রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠার ১২৫ বছরের পুণ্য লগ্নে এই কথাগুলি অনুধাবন প্রয়োজন।
ভক্তরা রামকৃষ্ণ মিশনের জায়গাগুলিকে পরম সম্ভ্রমে, অনুরাগে রক্ষা করতে চান। সরস্বতীপুজোর সকালে দুটি বালিকা পুষ্পাঞ্জলি দিতে এসে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছে—এখানকার ফুলগুলো কী টাটকা! অন্য সব জায়গায় এরকম হয় না কেন? আসলে ঐ স্বেচ্ছাসেবক আর ভক্তদের আন্তরিকতা। ঠাকুর বলেছেন, অনুরাগ আর আন্তরিকতা থাকলে পূজা সার্থক হয়। রামকৃষ্ণ মিশনে এই দুটির অভাব নেই। তাই তার আজ এমন বিস্তারলাভ।
আলোক চট্টোপাধ্যায়
কলকাতা-৭০০০৯৭