শ্রীরামকৃষ্ণ, শ্রীমা সারদাদেবী, স্বামী বিবেকানন্দ প্রমুখের সম্পূর্ণ বিস্তারিত জীবনী এবং রামকৃষ্ণ সংঘের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস এখনো রচিত হয়নি।

শ্রীরামকৃষ্ণ, শ্রীমা সারদাদেবী, স্বামী বিবেকানন্দ প্রমুখের সম্পূর্ণ বিস্তারিত জীবনী এবং রামকৃষ্ণ সংঘের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস এখনো রচিত হয়নি। প্রকাশিত বিষয়গুলি ছাড়া এখনো অনেক তথ্য সংঘের বিভিন্ন কেন্দ্রের সংগ্রহশালায়, প্রাচীন সাধুদের স্মৃতিকথায় ও চিঠিপত্রে ছড়িয়ে রয়েছে। এই নিবন্ধে আমরা সাতখানি ঐতিহাসিক পত্র পটভূমিকা-সহ উল্লেখ করব। প্রথম পত্র এই পত্রখানি শ্রীমা জয়রামবাটী থেকে ১৩০৯ বঙ্গাব্দের ১৫ ভাদ্র (৩১ অগস্ট ১৯০২) স্বামীজীর শিষ্য স্বামী বিমলানন্দকে লেখেন। তিনি তখন মায়াবতী অদ্বৈত আশ্রমের কর্মী। স্বামীজীর জীবনীপাঠকরা জানেন, তিনি মায়াবতীতে ৩ থেকে ১৭ জানুয়ারি (১৯০১) পর্যন্ত ছিলেন। যারা নিরাকার অদ্বৈত ব্রহ্মের উপাসনা করবে তাদের জন্য তিনি মায়াবতীতে অদ্বৈত আশ্রম নির্দিষ্ট করেছিলেন। কিন্তু একদিন ঠাকুরের পট-সহ ঠাকুরঘর দেখে তিনি একটু ‌ক্ষুণ্ণ হয়ে পরে বলেছিলেন : “আমি ভেবেছিলুম অন্ততঃ একটি কেন্দ্রেও তাঁর (শ্রীরামকৃষ্ণের) বাহ্যপূজাদি বন্ধ থাকবে! কিন্তু হায়, হায়, গিয়ে দেখি বুড়ো সেখানেও জেঁকে বসে আছেন।”১ স্বামীজী সরাসরি শিষ্যদের ঠাকুরঘরে পূজা বন্ধ করতে আদেশ না দিলেও তাঁরা পূজা বন্ধ করে দেন। স্বামীজীর দেহত্যাগ হয় ৪ জুলাই ১৯০২। তারপর সাকার ভাবাপন্ন স্বামী বিমলানন্দের মনে সন্দেহ জাগে, সেটি নিরসন করার জন্য তিনি শ্রীমাকে চিঠি লেখেন। তার উত্তরে শ্রীমা এই পত্রখািন লেখেন— শ্রীগুরবে নম জয়রামবাটী১৩০৯। ১৫ই ভাদ্র নিরাপদেষু—পরম শুভাশীর্ব্বাদবিশেষ— বাবাজী—১খান পত্র পাইয়া জ্ঞাত আছি। শ্রীশ্রীস্বামীজী মহারাজের জন্য যে কষ্ট হইতেছে লিখিয়া কি জানাই। আমাদের গুরু জিনি তিনিত অদ্বৈত। তোমরা সেই গুরুর শিস্য তখন তোমরাও অদ্বৈত বাদী। আমি যোর করিয়া বলিতে পারি তোমরা অবশ্য অদ্বৈতবাদী। মিসেস সেভিয়ারকে আমার ভালবাসার সহিত আশীর্ব্বাদ জানাইবে। তোমরা সকলে আমার আশীর্ব্বাদ জানিবে। কালীকৃষ্ণ তথায় যাইবেক জানিয়া মতিলালের ১খান পত্র পাইয়াছি। তাহাকে আমার আশীর্ব্বাদ জানাইবে। মেয়ে মানুষের মঠ*—মঠে সাবধানে থাকিবে। আর স্বামীজির যোর নাই। আমরা সকলে ভাল আছি। তোমাদের সংবাদ লিখিবে। ইতি তোমাদের মাতাআশীর্ব্বাদীকা * ‘মেয়ে মানুষের মঠ’—কথাটি পাশে লেখা ছিল, আমরা অনুমান করিয়া এখানে বসাইয়া দিলাম। মিসেস সেভিয়ার মায়াবতী আশ্রমে থাকিতেন, সম্ভবতঃ সেইজন্যই শ্রীশ্রীমা এরূপ লিখিয়াছেন।—সম্পাদক (উদ্বোধন, ৭৪তম বর্ষ, ৯ম...

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in