উদ্বোধন ১২৫তম বর্ষের প্রথম সংখ্যা হাতে পেয়েই আনন্দে চোখে জল এসে গেল। শুধু স্মৃতিচারণার লেখাগুলিই নয়, মহারাজদের শুভেচ্ছাবাণীগুলিও

উদ্বোধন-এর গত জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ সংখ্যার ‘প্রাসঙ্গিকী’ বিভাগে চিত্রা মল্লিক লিখিত ‘আমি বসুমতী-মাকে দেখেছি’ পড়ে শুধু যে ভাল লাগল তা নয়, বরং ৫৩ বছরের পুরানো একটি ঘটনা স্মৃতিপটে ভেসে উঠল। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর মাস। কাশীদর্শন ও গুরুসঙ্গ করার মানসে আমি, বাবা ও মা বারাণসী সেবাশ্রমের অতিথিশালায় ঠাঁই পেয়েছি। অনতিদূরে ‘অম্বিকা ধাম’-এ স্বামী বীরেশ্বরানন্দজী অবস্থান করছেন। একদিন তিনি বসুমতী-মাকে দর্শন করে ফিরে এসে বললেন—আমরাও যেন তাঁকে প্রণাম করে আসি। ঠিকানা সংগ্রহ করে ঐদিন বিকালেই আমরা ঔরঙ্গাবাদ অঞ্চলের ‘রামাবাস’ নামাঙ্কিত সেই দোতলা বাড়িতে পৌঁছে গেলাম। বসুমতী-মায়ের তখন ১০০ বছরের কাছাকাছি বয়স। কানে খুব কম শোনেন, অত্যন্ত কৃচ্ছ্রসাধন করেন। ঘরে আসবাবপত্র কিছুই নেই, শয্যা বলতে মেঝেতে শুধু দুখানি অতি সাধারণ কম্বল ও একটি বালিশ। পরনে একখানা থান কাপড় এবং কাশীর অত্যধিক শীতেও কোনো গরম জামা গায়ে নেই। একটি মাটির হাঁড়িতে কিছু জ্বলন্ত কাঠকয়লা রেখে তিনি হাত শেঁকছিলেন। কথাপ্রসঙ্গে বললেন : “আজ ছেলে (স্বামী বীরেশ্বরানন্দজী) এয়েছিল পেন্নাম করতে। একটা পাঞ্জাবির কাপড় দিইছি, তৈরি ও রঙ করে নিতে বলিছি, ছ-আনা পয়সাও দিইছি।” তিনি আরো বললেন : “ছেলেকে বললুম এখন যেতে পারলে বাঁচি। তা ছেলে বলে উঠল, ‘সে কী মা, আমার মতো নাবালককে মানুষ করে তবে তো আপনি যাবেন।’” এখানে উল্লেখ্য, স্বামী বীরেশ্বরানন্দজীর বয়স তখন ৭৮ বছর। ভাস্কর রায়চিত্তরঞ্জন পার্ক, নিউ দিল্লি-১৯

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in