আমি দুবার গিয়ে যা দেখে এসেছি তারই কথা এখানে প্রকাশ করলাম।
কাশী সেবাশ্রমের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা চারুচন্দ্র দাস স্বামী বিবেকানন্দকে প্রথম দর্শন করেন ১৮৯৭ সালের
সম্প্রতি সঙ্গীতসাধক দিলীপকুমার,—টলস্টয়, রোমাঁ রোলাঁ ও ফরাসী গায়িকা (সম্ভবত)
স্বামীজীর কাছে নিজের স্বরূপ প্রকাশ করেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ। একবার তাঁকে বলেন : “নদের গৌরের কথা
কিন্তু এখন কথা হলো—এই যে অদ্বৈতজ্ঞান বা চৈতন্যের কথা এতক্ষণ ধরে আমরা আলোচনা করলাম,
যখন কোনো ভক্তসমাগমে দীর্ঘ সময় ধরে ঈশ্বর-প্রসঙ্গ হয় তখন প্রায় প্রত্যেকের মন আনন্দে পরিপূর্ণ
শ্রীরামকৃষ্ণ একবার জানতে চেয়েছিলেন—শ্রীচৈতন্যের সংকীর্তন কেমন? সেই সময় তাঁর একটি
স্বামিজীর গুরু রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব সাধারণতঃ যাহাকে বিদ্যা বলে তাহার ধার একরূপ ধারিতেন না, ইহা বিশেষরূপে
বাংলার ইতিহাসে যে-কয়টি অঞ্চল সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে, নদিয়া
ঠিক যেন গঙ্গাগর্ভে সমাধিতে তিনি লীন হয়ে আছেন। অনন্ত অপার্থিব শান্তি আর মৌন তাঁকে ঘিরে। এই
…জগতে কিছু মানুষ আছেন যাঁদের মধ্যে এমন অন্তর্নিহিত শক্তি বিকিরণের ক্ষমতা বিদ্যমান, তাঁদের সান্নিধ্যে স্বল্প সময়
গাছতলায় ছোট আসর বসিয়াছে। সেখানে গৈরিকভূষিত নরেন্দ্রনাথ ও নিরঞ্জন ছাড়া বসিয়া আছেন কালীপ্রসাদ, মণি
শ্রীরামকৃষ্ণ কোনোদিনই তথাকথিত ‘সেলিব্রিটি’ হতে চাননি। তবুও দ্য ইন্ডিয়ান মিরর পত্রিকা তাদের ২৮ মার্চ ১৮৭৫ তারিখের সংখ্যায়
সঙ্গীত কল্পতরু নামের সংগীত সংকলনের সঙ্গে পরিচয় আমাদের প্রায় সবারই অল্পবিস্তর আছে। ৬৪৭টি গানের সংকলন এই গ্রন্থ।
সত্যি বলতে কী, ভারতীয় ধর্ম ও দর্শনে আমার প্রবেশ কিন্তু ফরাসি ইতিহাসের মাধ্যমেই। বিশেষত যখন আমি রোমাঁ রোলাঁ ও গান্ধির একজন ইংরেজ
আয়নার সামনে কখনো দাঁড়াননি, কেমন করে জানবেন নিজেকে কেমন দেখতে! তাঁর চোখের সামনে ভগবান সদা বিরাজমান। সেই
“মানুষ কি কম গা!” অপরূপ আনন্দস্বরূপ ঈশ্বরকে সে অন্তরের গভীরে অনুভব করতে পারে। সেই ঈশ্বরীয় উপস্থিতি তাকে শক্তি দেয়, মহত্ত্বে প্রতিষ্ঠিত করে।
আজকাল পাশ্চাত্য দেশে খুব কম লোকই চার্চে বা ধর্মস্থানে যায়। কিন্তু ক্রিসমাস ও ইস্টারে অগণিত মানুষ চার্চে প্রার্থনা করতে যায়। ভারতেও তেমনি রামনবমীতে রামভক্তেরা, জন্মাষ্টমীতে কৃষ্ণভক্তেরা,
শ্রীরামকৃষ্ণ একদিন দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন। মানুষকে ভালবাসার প্রসঙ্গ আসিল। ভবনাথ বিনীতভাবে শ্রীরামকৃষ্ণকে বলিলেন : “লোকের সঙ্গে মনান্তর থাকলে, মন কেমন করে।
আমাদের প্রত্যেকের মাথার ভিতরে যেন একটা করে বাড়ি আছে। সেই বাড়িতে আমরা এমন সব জিনিস ভরে রাখতে পারি, যা আমাদের সারাক্ষণ উদ্বিগ্ন অশান্ত করে রাখবে।
১৮৯৩ সালে আমেরিকা যাইবার কিছুদিন পূর্বে বোম্বাইতে স্বামীজীর সহিত স্বামী তুরীয়ানন্দজীর সাক্ষাৎ হইয়াছিল। তাঁহাকে স্বামীজী বলিয়াছিলেন : “হরি ভাই, এত তপস্যাদি করলুম, তবু ধর্ম-টর্ম তো কিছুই বুঝতে পারলুম না।
১৮৮৭ সালের ৮ মে বরাহনগর মঠে নরেন্দ্র ও প্রসন্নের মধ্যে আলাপ চলিতেছে। দয়া প্রসঙ্গে কথা উঠিল। নরেন্দ্র বলিলেন : “তিনি (ঠাকুর) তো বলতেন ‘বিশ্বাসই সার’। তিনি তো কাছেই রয়েছেন! বিশ্বাস করলেই হয়!” এই বলিয়া নরেন্দ্র গান ধরিলেন—“মোকো কাঁহা ঢুঁঢ়ো বন্দে ম্যয়তো তেরে পাশ মো” অর্থাৎ হে বান্দা (সাধক), তুমি আমাকে কোথায় অনুসন্ধান করিতেছ? আমি তো তোমার সঙ্গেই রহিয়াছি। সাধক কবীরের গাওয়া এই সংগীত।
১(মুনশি জগমোহনলালকে* লিখিত)বলেন ভিলাদার্জিলিং১৫ এপ্রিল ১৮৯৮প্রিয় জগমোহন,জাপান, ইউরোপ ও আমেরিকা যাওয়ার পথে এবং ওখানে থাকার সময় মাননীয় মহারাজাকে আমার লেখা সমস্ত চিঠি আপনি যদি খুঁজে পান, তাহলে
গৃহত্যাগ করিয়া সিদ্ধার্থ চলিয়াছেন নির্বাণলাভের উদ্দেশ্যে। তাঁহার পিতা শুদ্ধোদন যথাশক্তি চেষ্টা করিয়াছিলেন সিদ্ধার্থকে জগতের দুঃখ-ব্যথা হইতে দূরে সরাইয়া রাখিতে; যাহাতে সংসার-বিতৃষ্ণা না আসিতে পারে।
ইতিহাস অনুসারে বাংলা সংবাদ-সাময়িকপত্রের সূচনা হয়েছে উনিশ শতকের একেবারে গোড়ার দিকে। তবে তার আগে হিকি সাহেবের হাত ধরে বাংলা থেকে ভারতবর্ষের প্রথম সংবাদপত্র ‘বেঙ্গল গেজেট’ (২৯ জানুয়ারি ১৭৮০) ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছিল।
উদ্বোধন-এ থাকার সময় একটি চিঠি এল। লিখেছেন এক প্রবাসী। আদি বাড়ি তাঁদের কলকাতায়। মধ্যবয়সি মানুষ। তাঁর বাবার সদ্য মৃত্যু হয়েছে। শ্রাদ্ধাদি ক্রিয়াকর্মের তাগিদে দিন কয়েকের জন্য আসা। বাবা ছিলেন উদ্বোধন পত্রিকার পোকা। বাবার ধর্মীয় বইপত্র বিশেষত উদ্বোধন পড়ার তীব্র অনুরাগকে আধুনিক উচ্চশিক্ষিত ছেলে চিরদিন ‘বাতিক’ বলে মনে করতেন। বাবার ঘর গোছাতে গোছাতে উদ্বোধন-এর বহু সংখ্যা একত্রিত করছেন পুরানো কাগজপত্রের সঙ্গে বেচে দেবেন বলে।
স্বামী বিবেকানন্দ ভারতবর্ষের জনসাধারণকে ‘একটা sleeping leviathan – এর সঙ্গে তুলনা করে তাঁর ‘মিশন’কে প্রকাশ করে বলেছিলেন: “আমার এখন একমাত্র ইচ্ছা, দেশটাকে জাগিয়ে তুলি—মহাবীর যেন নিজের শক্তিমত্তায় অনাস্থাপর হয়ে ঘুমুচ্ছে—সাড়া নেই—শব্দ নেই। সনাতন ধর্মভাবে একে কোনরূপে জাগাতে পারলে বুঝব ঠাকুরের ও আমাদের আসা সার্থক হলো৷”১ এই উদ্দেশ্যে তাঁর ‘রামকৃষ্ণ মিশন’ প্রতিষ্ঠা ও সেবাকাজের পত্তন।ত
ভারতের প্রাচীন ইতিবৃত্ত—এক দেবপ্রতিম জাতির অলৌকিক উদ্যম, বিচিত্র চেষ্টা, অসীম উৎসাহ, অপ্রতিহত শক্তিসংঘাত ও সর্ব্বাপেক্ষা অতি গভীর চিন্তাশীলতায় পরিপূর্ণ।
স্বামীজীর সঙ্গে দেখা হওয়ার স্মরণীয় দিনটির প্রতিটি মুহূর্ত আমার এখনো মনে আছে। গত আটচল্লিশ বছর ধরে এটি আমার জীবনের ভিত্তি।
দক্ষিণেশ্বর ও বেলুড় মঠের মহিমা প্রসঙ্গে শ্রীশ্রীমা একবার বলেছিলেন : “যাঁর জন্য কাশী যাওয়া, তিনি দক্ষিণেশ্বরে ও বেলুড়ে (মঠে) আছেন।”১০৭ বেলুড় মঠ এযুগের ‘মহাতীর্থ’—মন্তব্য করেছিলেন স্বামী শিবানন্দজী।
দক্ষিণেশ্বর ও বেলুড় মঠের মহিমা প্রসঙ্গে শ্রীশ্রীমা একবার বলেছিলেন : “যাঁর জন্য কাশী যাওয়া, তিনি দক্ষিণেশ্বরে ও বেলুড়ে (মঠে) আছেন।”১০৭ বেলুড় মঠ এযুগের ‘মহাতীর্থ’—মন্তব্য করেছিলেন স্বামী শিবানন্দজী।
শ্রীশ্রীমায়ের কথা গ্রন্থে পাওয়া যায়, স্বামী অরূপানন্দকে মা বলছেন : “জ্ঞান হলে মানুষ দেখে ঠাকুর-ঠুকুর সবই মায়া—কালে আসছে, যাচ্ছে।” মা কত সাধারণভাবে কথাটি বলেছেন, অথচ সমস্ত অদ্বৈত-বেদান্তই এর মধ্যে লুকিয়ে আছে! আলোচনার সুবিধার জন্য আমরা কয়েকটি ধাপে মায়ের কথাটি বিশ্লেষণ করব।
শ্রীশ্রীমায়ের কথা গ্রন্থে পাওয়া যায়, স্বামী অরূপানন্দকে মা বলছেন : “জ্ঞান হলে মানুষ দেখে ঠাকুর-ঠুকুর সবই মায়া—কালে আসছে, যাচ্ছে।” মা কত সাধারণভাবে কথাটি বলেছেন, অথচ সমস্ত অদ্বৈত-বেদান্তই এর মধ্যে লুকিয়ে আছে! আলোচনার সুবিধার জন্য আমরা কয়েকটি ধাপে মায়ের কথাটি বিশ্লেষণ করব।
মা তাঁহার অতি কর্মব্যস্ত জীবনের মাঝেও নিরাশ্রয় রোগীর আশ্রয় হইয়া উঠিয়াছিলেন। জয়রামবাটীতে মায়ের বাড়িতে গোরু-বাছুরের দেখভাল করিবার জন্য গোবিন্দ নামে দশ-এগারো বৎসরের একটি বালক ছিল। একসময় তাহার সারা গায়ে খোস দেখা দিল। যন্ত্রণায় ঘুমাইতে না পারিয়া সারা রাত্রি কাঁদিল। মা পরদিন সকালে নিজহাতে নিম-হলুদ বাটিলেন। শরীরের কোথায় কীভাবে লাগাইতে হইবে তাহা গোবিন্দকে দেখাইয়া দিলেন।
মা তাঁহার অতি কর্মব্যস্ত জীবনের মাঝেও নিরাশ্রয় রোগীর আশ্রয় হইয়া উঠিয়াছিলেন। জয়রামবাটীতে মায়ের বাড়িতে গোরু-বাছুরের দেখভাল করিবার জন্য গোবিন্দ নামে দশ-এগারো বৎসরের একটি বালক ছিল। একসময় তাহার সারা গায়ে খোস দেখা দিল। যন্ত্রণায় ঘুমাইতে না পারিয়া সারা রাত্রি কাঁদিল। মা পরদিন সকালে নিজহাতে নিম-হলুদ বাটিলেন। শরীরের কোথায় কীভাবে লাগাইতে হইবে তাহা গোবিন্দকে দেখাইয়া দিলেন।
দেখো, বিচার করা, মনের নানা সংশয় দূর করা, জপ-ধ্যান ইত্যাদি করা—সব হ’ল চিত্তের শুদ্ধতা আনার জন্য, কিনা এ-সব অনিত্য জিনিস থেকে, মনের বিক্ষিপ্ততা থেকে, মনকে গুটিয়ে শুদ্ধ ক’রে তাঁর সান্নিধ্যলাভের জন্য ব্যাকুল হওয়া।
দ্বিপ্রহরের খর রৌদ্রে চারিপাশ যেন তৃষ্ণার্ত, পথঘাট প্রায় জনমানবশূন্য, বৃক্ষতলে ছায়াও আজ যেন বড়ই কৃপণ। বৈশাখ মাসে ভারতবর্ষের এই উত্তরপ্রদেশ অঞ্চল প্রকৃতপক্ষেই অস্থিচর্মসার বৃদ্ধ মানুষের মুখমণ্ডলের মতো রুক্ষ, শুষ্ক হইয়া ওঠে। জনহীন পথে এক বালক ক্ষুধার তাড়নায় দুয়ারে
আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে প্রধান বাধাগুলোর অন্যতম হলো আমাদের দেহ-মনের চেতনাকে রামকৃষ্ণ-চেতনাতে রূপান্তরিত করার বাধা। যাঁদের পরিবার নেই, কোনো সাংসারিক কর্তব্যকর্মও করতে হয় না—সেই সন্ন্যাসীদেরও দেহচেতনা আত্মচেতনার পথে প্রবল বাধা হতে পারে।
আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে প্রধান বাধাগুলোর অন্যতম হলো আমাদের দেহ-মনের চেতনাকে রামকৃষ্ণ-চেতনাতে রূপান্তরিত করার বাধা। যাঁদের পরিবার নেই, কোনো সাংসারিক কর্তব্যকর্মও করতে হয় না—সেই সন্ন্যাসীদেরও দেহচেতনা আত্মচেতনার পথে প্রবল বাধা হতে পারে।
ইতিহাস অনুসারে বাংলা সংবাদ-সাময়িকপত্রের সূচনা হয়েছে উনিশ শতকের একেবারে গোড়ার দিকে।
ইতিহাস অনুসারে বাংলা সংবাদ-সাময়িকপত্রের সূচনা হয়েছে উনিশ শতকের একেবারে গোড়ার দিকে।
এখন আমাদের জানতে হবে—শ্রীরামকৃষ্ণের স্বরূপ অনুধাবনের জন্য প্রয়োজনীয় অনুশীলনের উপায়গুলি কী? প্রথম উপায় অনন্যশরণতা।
এখন আমাদের জানতে হবে—শ্রীরামকৃষ্ণের স্বরূপ অনুধাবনের জন্য প্রয়োজনীয় অনুশীলনের উপায়গুলি কী? প্রথম উপায় অনন্যশরণতা।
স্বামী বিবেকানন্দের ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ কয়েকজন ভক্ত দৈনন্দিন জীবনের কলকোলাহল থেকে দূরে নিভৃতে নিয়মিত কিছু সময় জপধ্যান, প্রার্থনা ও শাস্ত্রালোচনার উদ্দেশ্যে একটি উপযুক্ত স্থানের সন্ধান করতে করতে আলসুর শহর থেকে কয়েক ফার্লং দূরে এক আদর্শ পরিবেশে একটি বাড়ির সন্ধান লাভ করেন এবং ১৯০৬ সালের ১৩ এপ্রিল লিজ চুক্তিতে তাঁরা সেটি অধিগ্রহণ করেন।
স্বামী বিবেকানন্দের ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ কয়েকজন ভক্ত দৈনন্দিন জীবনের কলকোলাহল থেকে দূরে নিভৃতে নিয়মিত কিছু সময় জপধ্যান, প্রার্থনা ও শাস্ত্রালোচনার উদ্দেশ্যে একটি উপযুক্ত স্থানের সন্ধান করতে করতে আলসুর শহর থেকে কয়েক ফার্লং দূরে এক আদর্শ পরিবেশে একটি বাড়ির সন্ধান লাভ করেন এবং ১৯০৬ সালের ১৩ এপ্রিল লিজ চুক্তিতে তাঁরা সেটি অধিগ্রহণ করেন।
শ্রীরামকৃষ্ণের সান্নিধ্যে আগত ভক্তিমতী মহিলাদের অন্যতমা হলেন কালীপদ ঘোষ ওরফে দানাকালীর কনিষ্ঠা ভগিনী মহামায়া মিত্র। বিশ্বচেতনায় শ্রীরামকৃষ্ণ গ্রন্থে
শ্রীরামকৃষ্ণের সান্নিধ্যে আগত ভক্তিমতী মহিলাদের অন্যতমা হলেন কালীপদ ঘোষ ওরফে দানাকালীর কনিষ্ঠা ভগিনী মহামায়া মিত্র। বিশ্বচেতনায় শ্রীরামকৃষ্ণ গ্রন্থে
ধ্যান, মনঃসংযম, একাগ্রতা প্রভৃতি শব্দ ও প্রসঙ্গগুলি স্বামীজীর বক্তৃতা, চিঠিপত্র ও রচনাবলিতে বারবার এসেছে৷ বিদেশে একটি বক্তৃতায় তিনি মনের মধ্যে নিহিত অশেষ শক্তির কথা বলতে গিয়ে বলেছেন,
ধ্যান, মনঃসংযম, একাগ্রতা প্রভৃতি শব্দ ও প্রসঙ্গগুলি স্বামীজীর বক্তৃতা, চিঠিপত্র ও রচনাবলিতে বারবার
স্বামী বিবেকানন্দ ধর্মমহাসম্মেলনের অল্প কিছুকাল পরেই তাঁর শিকাগোর আতিথ্যদাত্রী Mrs. Lyon-কে বলেছিলেন : “The greatest temptation of his life in America… is organisation.
স্বামী বিবেকানন্দ ধর্মমহাসম্মেলনের অল্প কিছুকাল পরেই তাঁর শিকাগোর আতিথ্যদাত্রী Mrs. Lyon-কে বলেছিলেন : “The greatest temptation of his life in America… is organisation.
সুখ ও দুঃখ—পরস্পরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সংলগ্ন এই দুটি অবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি নেই৷ বেদনার বার্তাবহ হয়ে যাকিছু আমাদের কাছে আসে, তাদের সঙ্গে আনন্দের স্পর্শও কিন্তু সংযুক্ত হয়ে থাকে৷
সুখ ও দুঃখ—পরস্পরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সংলগ্ন এই দুটি অবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি নেই৷ বেদনার বার্তাবহ হয়ে যাকিছু আমাদের কাছে আসে, তাদের সঙ্গে আনন্দের স্পর্শও কিন্তু সংযুক্ত হয়ে থাকে৷
আমরা মহিমময় শ্রীরামকৃষ্ণ–চরিত্রের অন্তরঙ্গ দিকগুলি সম্বন্ধে যত অবহিত হই ততই
আমরা মহিমময় শ্রীরামকৃষ্ণ–চরিত্রের অন্তরঙ্গ দিকগুলি সম্বন্ধে যত অবহিত হই ততই