স্বামী বিবেকানন্দ ভারতবর্ষের জনসাধারণকে ‘একটা sleeping leviathan – এর সঙ্গে তুলনা করে তাঁর ‘মিশন’কে প্রকাশ করে বলেছিলেন: “আমার এখন একমাত্র ইচ্ছা, দেশটাকে জাগিয়ে তুলি—মহাবীর যেন নিজের শক্তিমত্তায় অনাস্থাপর হয়ে ঘুমুচ্ছে—সাড়া নেই—শব্দ নেই। সনাতন ধর্মভাবে একে কোনরূপে জাগাতে পারলে বুঝব ঠাকুরের ও আমাদের আসা সার্থক হলো৷”১ এই উদ্দেশ্যে তাঁর ‘রামকৃষ্ণ মিশন’ প্রতিষ্ঠা ও সেবাকাজের পত্তন।ত

স্বামী বিবেকানন্দ ভারতবর্ষের জনসাধারণকে ‘একটা sleeping leviathan - এর সঙ্গে তুলনা করে তাঁর ‘মিশন’কে প্রকাশ করে বলেছিলেন: “আমার এখন একমাত্র ইচ্ছা, দেশটাকে জাগিয়ে তুলি—মহাবীর যেন নিজের শক্তিমত্তায় অনাস্থাপর হয়ে ঘুমুচ্ছে—সাড়া নেই—শব্দ নেই। সনাতন ধর্মভাবে একে কোনরূপে জাগাতে পারলে বুঝব ঠাকুরের ও আমাদের আসা সার্থক হলো৷”১ এই উদ্দেশ্যে তাঁর ‘রামকৃষ্ণ মিশন’ প্রতিষ্ঠা ও সেবাকাজের পত্তন। এই জাগরণেরই অঙ্গ হিসাবে তিনি শ্রীরামকৃষ্ণের উদার ভাব প্রচারের জন্য বাংলায় একটা পত্রিকা বের করতে আগ্রহী ছিলেন। বেলুড়ে নীলাম্বরবাবুর বাগানে মঠ উঠে আসার কিছুদিন পর স্বামীজী তাঁর গুরুভাইদের কাছে শ্রীরামকৃষ্ণের ভাব জনসাধারণের মধ্যে প্রচারকল্পে বাঙলা ভাষায় একটি দৈনিক সংবাদপত্র বের করার প্রস্তাব করেন। কিন্তু পরে নানা কারণে পাক্ষিক পত্র প্রকাশে সবাই সম্মত হলে সেটি পরিচালনার জন্য এগিয়ে এলেন ত্রিগুণাতীতানন্দজী। মানুষকে জাগিয়ে তোলাই পত্রিকাটির ব্রত; তাই স্বামীজী নিজে পত্রিকার ‘উদ্বোধন’ নামটি মনোনীত করেন। ১৩০৫ সালের ১ মাঘ আরম্ভ হলো উদ্বোধন-এর পথচলা।২ ‘প্রস্তাবনা’য় স্বামীজী উদ্বোধন-এর জন্য নির্দিষ্ট করে দেন তিনটি মূল বিষয়কে—১) এর জীবনোদ্দেশ্য প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের শক্তির ‘সম্মিলন ও মিশ্রণ’; ২) ‘বহুজনহিতায় বহুজনসুখায়’ ও নিঃস্বার্থভাবে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে এবং ৩) দ্বেষবুদ্ধি ত্যাগ করে ‘ব্যক্তিগত বা সমাজগত বা সম্প্রদায়গত কুবাক্যপ্রয়োগে বিমুখ হইয়া’ সকল সম্প্রদায়ের সেবাই উদ্বোধন-এর এবিষয়ে প্রচেষ্টা। স্বামীজীর এই ভাবগুলিই ত্রিগুণাতীতানন্দজী অত্যন্ত সংক্ষেপে অথচ সুস্পষ্টভাবে উদ্বোধন-এর লক্ষ্যরূপে বেঁধে দিয়েছিলেন: “উদ্বোধনের উদ্দেশ্য কিছু নিম্নশ্রেণীর নহে; আবশ্যকীয় প্রসুপ্ত গুণাবলিকে জাগ্রত করিয়া দিবার চেষ্টা করাই উদ্বোধনের কার্য। প্রয়োজনীয় যেসকল গুণাবলি স্বদেশে নাই তাহার আনয়ন করিতেই উদ্বোধনের আয়াস।নিঃস্বার্থভাবে পরহিত-সাধনাই ইহার জীবনোদ্দেশ্য।”৩ একটি ধর্মসংঘের পত্রিকা হওয়া সত্ত্বেও উদ্বোধন পত্রিকার একটু বিশেষত্ব আছে। এটি রামকৃষ্ণ মিশনের মুখপত্র, কিন্তু কেবলমাত্র ধার্মিক-দার্শনিক বিষয় আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ থাকে না। স্বামীজী ১০ অগস্ট ১৮৯৯ একটি চিঠিতে ব্রহ্মানন্দজীকে লিখেছিলেন: “সারদা বলে, কাগজ চলে না।… আমার ভ্রমণ-বৃত্তান্ত খুব advertise ( বিজ্ঞাপন দিয়ে) করে ছাপাক দিকি—গড় গড় করে subscriber (গ্রাহক) হবে। খালি ভটচায্যিগিরি তিন ভাগ দিলে কি লোকে পছন্দ করে!”...

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in