‘অস্তিত্ব’ ছিল না তখন
‘অনস্তিত্ব’—তাও নাহি ছিল,
এ বিশ্ব আমাদের অথবা আকাশ উদার—

‘অস্তিত্ব’ ছিল না তখন‘অনস্তিত্ব’—তাও নাহি ছিল,এ বিশ্ব আমাদের অথবা আকাশ উদার—ছিল না কিছুই।কুয়াশায় ঢেকে ছিল কি বা?অথবা কাহারই বা তা?কীই বা থেকেছে তবেতমসার গহন গভীরে?সেদিন ছিল না কিছু মৃত্যু, অমরত্বরাত্রি দিনে ছিল না বিচ্ছিন্ন—কিন্তু, গতিহীন স্পন্দনে একাকীদাঁড়ায়ে মহিমময়।তারপরে ছিল না কিছুই। অপরিচিত এক জলধারার মতোঅন্ধকার গর্ভে গুপ্ত ছিলএক গভীর তমিস্রা—অসীম শূন্যে নিহিত সত্যতপোবলে পেয়েছে গৌরব। আদিতে জন্ম কামনার,মৌলিক মননের বীজ(জ্ঞানিজন অন্তরে দেখেন নিত্য-অনিত্যের ভেদ)তাহার কিরণ বিস্তৃত হয় ঊর্ধ্বে, নিম্নেঅথবা দুই পার্শ্বদেশে। সৃষ্টিময় মহিমা উদ্ভাসস্বধা তিনি—ধারণ করেছেন নিজেরেঊর্ধ্বে বিকাশশক্তিপ্রলম্বিত লগ্নতার আঁচে পথ তার জানে কেবা—কে করে ঘোষণা—উৎস কোথা এ জাগরণের?কোথা হতে আসে প্র‌ক্ষেপণ?তারপর, দেবতার আবির্ভাব ঘটে,সত্যবার্তা কেবা বল জানে—কোথা হতে উৎস ইহার? এই অভি‌ক্ষেপ জন্ম নিল কোথা?বদ্ধ ছিল অথবা মুক্ত তা—বাস যাঁর নীলাকাশেসেই প্রাজ্ঞ যদি বা জানেন তাঅথবা জানেন না। অদ্বৈত আশ্রম প্রকাশিত The Complete Works of Swami Vivekananda গ্রন্থের ৬ষ্ঠ খণ্ডে নাসদীয় সূক্তটির (ঋগ্বেদ, ১০ম মণ্ডল, ১২৯তম সূক্ত) স্বামী বিবেকানন্দ-কৃত অনুবাদ প্রকাশিত হলেও এর বঙ্গানুবাদ এযাবৎ বাণী ও রচনায় অপ্রকাশিত। এই অনুবাদটি করেছেন স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in