দু-হাজার বছরের বেশি সময় ধরে রামায়ণ ভারতবর্ষের ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে। রামের মাধ্যমে
পত্রিকা আমাদের নিত্যসঙ্গী। দিনবদলের কাহিনি লেখা হয় তাতে। আর এই দিনবদলের সঙ্গে সঙ্গে ঘটনা, প্রেক্ষিতও
জীবনানন্দ দাশকে একদিন বলা হয়েছিল নির্জনতার কবি। তাঁর কবিতার প্রতি
প্রাচীন দক্ষিণভারতে সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে শিক্ষার ধারাটিও পরিবর্তিত হয়েছিল।
মধ্যযুগের বিখ্যাত কবি আমির খসরু কাশ্মীর সম্পর্কে লিখতে গিয়ে প্রথম বলেছিলেন যে,
বাঙ্গালীর ইতিহাস গ্রন্থে নীহাররঞ্জন রায় বাংলা সম্পর্কে বলেছেন : “ব্রহ্মাবর্ত ও আর্যাবর্তের হৃদয়দেশ হইতে বহুদূরে,
শ্রীচৈতন্যের সমকালে নবদ্বীপ ছিল সমগ্র বঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাচর্চাকেন্দ্র। বৃন্দাবনদাসের
বর্ণনায় :
স্থান —পূর্বভারতের এক সুবিশাল বৌদ্ধ বিহার। কাল—খ্রিস্টীয় সপ্তম শতক। সুবিস্তৃত বিহারভূমিতে
মিথিলার শিক্ষাকেন্দ্র ও শিক্ষাচর্চার ইতিহাস শুরু করা যাক বৃহদারণ্যকোপনিষদ-এর একটি
প্রাচীন ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থার মূল লক্ষ্য ছিল নৈতিক, আধ্যাত্মিক ও বৌদ্ধিক উন্নতির মাধ্যমে
সোশ্যাল মিডিয়া বহু মানুষের দৈনন্দিন জীবনের একটি বিস্তৃত অংশ অধিকার করিয়া রহিয়াছে।
কোনো শিল্পী যখন কলম ধরেন তখন তিনি তাঁর লেখার মধ্যে এমন কতগুলি প্রসঙ্গকে
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তাঁর সুযোগ্য শিষ্য নন্দলাল বসু সম্পর্কে পড়তে পড়তে মনে হয়, শিল্প-বিষয়ক আর
‘চক্রবৎ পরিবর্তন্তে দুঃখানি চ সুখানি চ’।১ ছেলেবেলায় স্কুলে পড়াকালীন সংস্কৃতের একদম প্রথম পাঠের মধ্যে
বারাণসীর মহিমাকীর্তনে অকৃপণ পুরাণসাহিত্য। দেবাদিদেবের দিব্য আসনকে কেন্দ্র করে সেখানে তিনটি
উপাসনা চলছে। ভেসে আসছে খোল-করতালের শব্দ। অল্প দূরে দূরে মন্দির। সাদা আর লাল পাথরে মন্দিরগুলি ফুলে ফুলে
কাশী নগরীর উদ্ভবের সময়কাল নির্ণয় এক-কথায় অসম্ভব, তা প্রায় সকল গ্রন্থই স্বীকার করেছে। ভারতচন্দ্রের কথায়—“না ছিল সৃষ্টির
“যেখানে শিব, সেখানেই শক্তি—শিব শক্তি একত্তরে, বার বার সেই শিব, সেই শক্তি। নিস্তার নেই।”১ কথাগুলি শ্রীমা সারদাদেবীর। এক পরম
কাশী, শুধু এই নামেই মানবহৃদয়ের তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে বেজে ওঠে এক অনন্য আধ্যাত্মিক অনুভূতি। অতি-আধুনিকতার এই যুগেও এখানে মিশে
শিবকে একবার বেরিয়ে যেতে হলো প্রিয় শহর বারাণসী ছেড়ে। সে আলাদা এক ঘটনা। পৃথিবীতে তখন স্বায়ম্ভুব মন্বন্তরের পাদ্মকল্প চলছে।
“নূতন উষার স্বর্ণদ্বার/ খুলিতে বিলম্ব কত আর।”১ সাময়িক পত্রের আবির্ভাব ও বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে কালপুরুষের কণ্ঠ থেকে যেন এই প্রশ্ন অব্যক্তভাবে
শ্রীমায়ের জীবন ও বাণী শাশ্বত ভারতের কর্ম, জ্ঞান ও প্রেমের সার্থক মহাকাব্য। অপার করুণায় ভরা তাঁহার জীবন আজও এই জগতে শান্তি এবং শক্তি বিতরণ করিয়া চলিয়াছে।
পৌষ-ফাগুনের পালা শেষ হতে হতেই চৈত্র দারুণ অগ্নিবানে শান্তিনিকেতনের আবহাওয়া অসহ্য করে তুলল, কয়েকদিন পর দোসর হলো বৈশাখ।
শিল্প-ইতিহাসে প্রকৃতির সঙ্গে চিত্রকলার সম্পর্ক যে বিচিত্র ও বহুমুখী—একথা বলাই বাহুল্য। গোড়া থেকেই প্রকৃতির মুখাপেক্ষী হয়ে, প্রকৃতির দ্বারা
বিশ শতকের নয়ের দশকের শেষ দিক থেকে মাঝে-মধ্যেই মণিপুরে যেতে হতো। একবার দু-তিনটি জরুরি সভার কারণে ইম্ফলে গেছি।
রম্যাঁ রলাঁ (১৮৬৬—১৯৪৪) ১৯১৫ সালে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত মহান ফরাসি ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, জীবনীকার ও সংগীতজ্ঞ; ম্যাক্সিম গোর্কির মতে
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের কেন্দ্রবিন্দুতে দুর্গাপুজোর অবস্থান বহুদিনের। এমনকী বাংলার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রস্থল কলকাতার বোলবোলার
১৮৯৮ সালের জুন মাসের মাঝামাঝি হইতে বিবেকানন্দ কাশ্মীরে ভ্রমণরত। ক্রমে ৪ জুলাই আসিয়া পড়িল। ঐ দিনটি আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস।
ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষে ১৮৬৪ সালের ৫ অক্টোবর (১৯ আশ্বিন ১২৭১ বঙ্গাব্দ) এক ভয়ংকর সংকট উপস্থিত হয়েছিল ভারতবাসীর জীবনে—‘আশ্বিনের ঝড়’রূপে। কলকাতা ও উপকূলবর্তী অঞ্চলে এই ঝড়ের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে পঞ্চমীর দিন, ঝড় থেমেছিল পরদিন সন্ধ্যায়।
সারা ভারতবর্ষে বিভিন্নভাবেই নানা ঋতু-উৎসব প্রচলিত আছে। তার মধ্যে হোলি বা দোলযাত্রা—বসন্ত উৎসব। গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন : ‘মাসানাং মার্গশীর্ষোঽহমৃতূনাং কুসুমাকরঃ’১, অর্থাৎ মাসগুলির মধ্যে তিনি অগ্রহায়ণ, আর ঋতুর মধ্যে বসন্ত।
কত স্মৃতি বিস্মরণের ঘূর্ণিতে তলিয়ে গেছে! কত স্মৃতি পুরানো বাড়ির মতো—ভঙ্গুর দশা, হাড়-পাঁজর বেরনো, ধূলিমলিন। আবার অনেক স্মৃতি তুতেনখামেনের মমির মতো আজও স্বর্ণোজ্জ্বল! সেগুলোর সবটুকু মনে আছে। মনে থাকে। আসলে নতুন স্মৃতিকে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিস্মরণের প্রবাহ খুব স্বাভাবিক। তা না হলে মানুষ স্মৃতিকাতরতার আবর্তে পড়ে যাবে। তখন স্মৃতিই হয়ে উঠবে মানসিক সমস্যা৷
১ মাঘ ১৩০৫ বঙ্গাব্দে ত্রিগুণাতীতানন্দজীর (১৮৬৫–১৯১৫) সম্পাদনায় উদ্বোধন প্রকাশিত হয়। পত্রিকার প্রথম পাতার প্রচ্ছদপটে পত্রিকার পরিচিতি জ্ঞাপন করে উল্লেখ করা হয়েছিল—‘ধর্ম্মনীতি, সমাজনীতি, রাজনীতি, দর্শন, বিজ্ঞান, কৃষি, শিল্প, সাহিত্য, ইতিহাস, ভ্রমণ প্রভৃতি বিষয়ক বাঙ্গালা পাক্ষিক-পত্র ও সমালোচন৷’
উদ্বোধন সম্পর্কে প্রথম যে-স্মৃতির কথা মনে পড়ে, তা হলো একটি লেখা—বইটির বাইরে গেরুয়া রঙের প্রচ্ছদপট, তাতে বাগবাজারের ‘শ্রীশ্রীমায়ের বাড়ী’র ছবি ছাপা আর সেই লেখাটির কয়েকটি লাইনের সারমর্ম—“যিনি বারবার ভূপতিত হয়েও আবার উঠে দাঁড়াতে পারেন, তিনিই ঠিকঠিক ধার্মিক।” তারপর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও এবং বহু স্মৃতি মুছে গেলেও এই কথাটি কিছুতেই ভোলা সম্ভব হয়নি৷
১৯৮০ সালে আমি উদ্বোধন পত্রিকায় কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। তখন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন পূজনীয় স্বামী ধ্যানানন্দ আর অধ্যক্ষ ছিলেন পূজনীয় স্বামী হিরণ্ময়ানন্দ। আমি তখন ব্রহ্মচারী। স্বামী হিরণ্ময়ানন্দকে দেখতাম খুব পড়াশোনা করতে। তিনি ভাল লেখক ছিলেন।
উদ্বোধন-এ থাকার সময় একটি চিঠি এল। লিখেছেন এক প্রবাসী। আদি বাড়ি তাঁদের কলকাতায়। মধ্যবয়সি মানুষ। তাঁর বাবার সদ্য মৃত্যু হয়েছে। শ্রাদ্ধাদি ক্রিয়াকর্মের তাগিদে দিন কয়েকের জন্য আসা। বাবা ছিলেন উদ্বোধন পত্রিকার পোকা। বাবার ধর্মীয় বইপত্র বিশেষত উদ্বোধন পড়ার তীব্র অনুরাগকে আধুনিক উচ্চশিক্ষিত ছেলে চিরদিন ‘বাতিক’ বলে মনে করতেন। বাবার ঘর গোছাতে গোছাতে উদ্বোধন-এর বহু সংখ্যা একত্রিত করছেন পুরানো কাগজপত্রের সঙ্গে বেচে দেবেন বলে।
শ্রীরামকৃষ্ণ সকলের কল্যাণের জন্য জগৎকে যে আধ্যাত্মিক ভাব দিয়েছিলেন তাকে দৃঢ়ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করতে এবং সর্বসাধারণের মধ্যে বিতরণ করতে স্বামীজীর চেষ্টার অন্ত ছিল না। তিনি জানতেন, শিকাগোর ধর্মমহাসভায় তাঁর আবির্ভাব এবং ভারত-প্রত্যাবর্তনের সূত্রে যে ভাবান্দোলনের তরঙ্গ উঠেছে, তার প্রাবল্য বেশিদিন মানুষের মনে স্থায়ী হবে না। তাকে চিরজাগ্রত রাখতে হলে একটি প্রবল মাধ্যম প্রয়োজন, যার ভিতরে সেই শাশ্বত ভাব ও ভাষা ‘বহুজনহিতায় বহুজনসুখায়’ জীবন্ত হয়ে উঠবে এবং মানব-মনে আনবে চিরশান্তির চেতনা।
শ্রীভগবানের কৃপায় ‘উদ্বোধন’ এবার, ১৩৭৯ সালের ১লা মাঘ নববর্ষে—৭৫তম বর্ষে পদার্পণ করিল। ভারতাত্মার প্রাণবাণীর যুগোপযোগী রূপ—নবযুগের ‘উদ্বোধনী’ প্রাণধারা—রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ-ভাবগঙ্গা হৃদয়ে ধারণ করিয়া স্বামী বিবেকানন্দ-প্রবর্তিত এই পত্রিকাখানি প্রথম আত্মপ্রকাশ করিয়াছিল ১৩০৫ সালের ১লা মাঘ, ১৮৯৯ খৃষ্টাব্দের ১৪ই জানুআরি।
সেই ঘটনা তো বহুবার আলোচিত হয়েছে। পূর্ববঙ্গের এক ভক্ত সুরেন্দ্রনাথ রায় শ্রীশ্রীমাকে চিঠিতে লিখেছিলেন তাঁর অসুস্থতার কথা। শেষনিঃশ্বাস ত্যাগের আগে একটিবার শ্রীশ্রীমায়ের দর্শনাকাঙ্ক্ষী তিনি। শ্রীশ্রীমা নিজের একটি ফটো এবং একবছরের বাঁধাই করা উদ্বোধন পাঠিয়ে দিয়ে জানিয়েছিলেন যে, ভয় নেই, অসুখ সেরে যাবে। সুরেন্দ্রবাবু যেন ফটোখানি দেখেন ও উদ্বোধন পাঠ করেন।
ঠাকুর, মা ও স্বামীজীর কৃপায় আমার অশেষ সৌভাগ্য হয়েছিল— খুব কম বয়সে উদ্বোধন পত্রিকা সম্পাদনার কাজে যুক্ত হতে পেরেছিলাম। প্রথম থেকেই আমার এবিষয়ে ভয় ছিল; কারণ তখন আমার বয়স কম—মাত্র ছত্রিশ, অভিজ্ঞতাও কম।
বর্তমান মাঘ মাসে ‘উদ্বোধন’ পঞ্চাশ বৎসরে পদার্পণ করিল। এই উপলক্ষে ইহার সচিত্র সুবর্ণ জয়ন্তী সংখ্যা প্রকাশিত হইল। মহাসমন্বয়াচার্য শ্রীরামকৃষ্ণদেবের অনুষ্ঠিত ও প্রচারিত ভাবাদর্শে ভারতের সর্বাঙ্গীণ অভ্যুদয় সাধনের উদ্দেশ্যে সকল নরনারীকে উদ্বুদ্ধ করিবার জন্য আচার্য স্বামী বিবেকানন্দ ‘উদ্বোধন’ প্রবর্তন করেন। এই কারণে ইহার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সর্বাগ্রে আমরা এই নব-যুগপ্রবর্তক আচার্যদ্বয়ের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করিতেছি এবং যে সকল দেশ-প্রসিদ্ধ মনীষীর সুচিন্তিত রচনা-সম্ভারে সমৃদ্ধ করিয়া এই সংখ্যা প্রকাশ করা সম্ভব হইল, তাঁহাদিগকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাইতেছি। আশা করি, ইহা সহৃদয় পাঠক-পাঠিকাগণের মনোরঞ্জন বিধান করিতে সমর্থ হইবে।
শ্রীভগবানের কৃপায় ও তাঁহার আশীর্ব্বাদ মস্তকে ধারণ করিয়া, আজ নূতন মাঘে উদ্বোধন তাহার পঞ্চবিংশতি বর্ষে পদার্পণ করিল। নবীন বর্ষে সে তাহার পাঠক-পাঠিকার নিকট শুভেচ্ছা ও ভাবের আদান প্রদান প্রার্থী।
শ্রীভগবানের কৃপায় ও তাঁহার আশীর্ব্বাদ মস্তকে ধারণ করিয়া, আজ নূতন মাঘে উদ্বোধন তাহার পঞ্চবিংশতি বর্ষে পদার্পণ করিল। নবীন বর্ষে সে তাহার পাঠক-পাঠিকার নিকট শুভেচ্ছা ও ভাবের আদান প্রদান প্রার্থী।
১৮৯৯ সালের ১৪ জানুয়ারি, ১ মাঘ ১৩০৫ বঙ্গাব্দ, শনিবার স্বামী বিবেকানন্দের স্বপ্ন-সম্ভূত উদ্বোধন প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
১৮৯৯ সালের ১৪ জানুয়ারি, ১ মাঘ ১৩০৫ বঙ্গাব্দ, শনিবার স্বামী বিবেকানন্দের স্বপ্ন-সম্ভূত উদ্বোধন প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
আলোচ্য গ্রন্থের লেখিকা ইতিপূর্বে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের চিকিৎসকদের সম্পর্কে মনোজ্ঞ গ্রন্থ রচনা করেছিলেন।
আলোচ্য গ্রন্থের লেখিকা ইতিপূর্বে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের চিকিৎসকদের সম্পর্কে মনোজ্ঞ গ্রন্থ রচনা করেছিলেন।
বাংলা লিটিল ম্যাগাজিনের চর্চায় নতুন পত্রিকার আনাগোনা লেগেই থাকে। তার মধ্যে কিছু পত্রিকা প্রথম থেকেই ব্যতিক্রমী হয়ে ওঠে। ‘কলকাতা ২১’ পত্রিকার প্রথম সংখ্যা দেখলে তেমনটাই মনে হয়।
বাংলা লিটিল ম্যাগাজিনের চর্চায় নতুন পত্রিকার আনাগোনা লেগেই থাকে। তার মধ্যে কিছু পত্রিকা প্রথম থেকেই ব্যতিক্রমী হয়ে ওঠে। ‘কলকাতা ২১’ পত্রিকার প্রথম সংখ্যা দেখলে তেমনটাই মনে হয়।
ডঃ সব্যসাচী লোধের অনেকদিনের গবেষণা ও বহু পরিশ্রমের সুফল আলোচ্য পুস্তকটি। মোট এগারোটি অধ্যায়ে বিভক্ত বইটিতে বিভিন্ন আঙ্গিকে আলোচিত হয়েছে প্রেমময় শ্রীরামকৃষ্ণের ভালবাসার দিকগুলি।
ডঃ সব্যসাচী লোধের অনেকদিনের গবেষণা ও বহু পরিশ্রমের সুফল আলোচ্য পুস্তকটি। মোট এগারোটি অধ্যায়ে বিভক্ত বইটিতে বিভিন্ন আঙ্গিকে আলোচিত হয়েছে প্রেমময় শ্রীরামকৃষ্ণের ভালবাসার দিকগুলি।
বিবেকানন্দের জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজ বেলুড় মঠ স্থাপনের পরিকল্পনা ও প্রতিষ্ঠা। লেখক এই ভাবনাকেই মাথায় রেখে স্বামীজীর একাধিক চিঠি উদ্ধৃত করে সজীবভাবে উপস্থাপিত করেছেন। অভিনব এই বইয়ের নাম ও অধ্যায়বিন্যাস।
বিবেকানন্দের জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজ বেলুড় মঠ স্থাপনের পরিকল্পনা ও প্রতিষ্ঠা। লেখক এই ভাবনাকেই মাথায় রেখে স্বামীজীর একাধিক চিঠি উদ্ধৃত করে সজীবভাবে উপস্থাপিত করেছেন। অভিনব এই বইয়ের নাম ও অধ্যায়বিন্যাস।
বাঙালির চিন্তা-চেতনার জগতে শিবনারায়ণ রায় (১৯২১—২০০৮) প্রতিষ্ঠিত ‘জিজ্ঞাসা’ পত্রিকার ভূমিকা অনন্য। তিনি নিজে এই পত্রিকা দীর্ঘ বাইশ বছর (১৯৮০—২০০২) সম্পাদনা করেছেন।
বাঙালির চিন্তা-চেতনার জগতে শিবনারায়ণ রায় (১৯২১—২০০৮) প্রতিষ্ঠিত ‘জিজ্ঞাসা’ পত্রিকার ভূমিকা অনন্য। তিনি নিজে এই পত্রিকা দীর্ঘ বাইশ বছর (১৯৮০—২০০২) সম্পাদনা করেছেন।
প্রয়াত নাট্যব্যক্তিত্ব দেবনারায়ণ গুপ্তের উইংস-এর আড়ালে গ্রন্থখানি পড়লেই বোঝা যায়, নাট্যজগতের অন্য অনেকের মতোই তিনিও শ্রীরামকৃষ্ণ-ভক্ত, তাই প্রথমেই তাঁকে স্মরণ করেছেন—ঠাকুরের সাথে গিরিশের ছোট্ট একটি সাক্ষাৎকার দিয়ে।
প্রয়াত নাট্যব্যক্তিত্ব দেবনারায়ণ গুপ্তের উইংস-এর আড়ালে গ্রন্থখানি পড়লেই বোঝা যায়, নাট্যজগতের অন্য অনেকের মতোই তিনিও শ্রীরামকৃষ্ণ-ভক্ত, তাই প্রথমেই তাঁকে স্মরণ করেছেন—ঠাকুরের সাথে গিরিশের ছোট্ট একটি সাক্ষাৎকার দিয়ে।
ইতিহাস অনুসারে বাংলা সংবাদ-সাময়িকপত্রের সূচনা হয়েছে উনিশ শতকের একেবারে গোড়ার দিকে। তবে তার আগে হিকি সাহেবের হাত ধরে বাংলা থেকে ভারতবর্ষের প্রথম সংবাদপত্র ‘বেঙ্গল গেজেট’ (২৯ জানুয়ারি ১৭৮০) ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছিল।
ইতিহাস অনুসারে বাংলা সংবাদ-সাময়িকপত্রের সূচনা হয়েছে উনিশ শতকের একেবারে গোড়ার দিকে। তবে তার আগে হিকি সাহেবের হাত ধরে বাংলা থেকে ভারতবর্ষের প্রথম সংবাদপত্র ‘বেঙ্গল গেজেট’ (২৯ জানুয়ারি ১৭৮০) ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছিল।
গুণাতীতা আদ্যাশক্তি গুণময়ী হয়ে সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয়ের লীলায় বিশ্ব-চরাচরকে নিয়মিত করেন।
গুণাতীতা আদ্যাশক্তি গুণময়ী হয়ে সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয়ের লীলায় বিশ্ব-চরাচরকে নিয়মিত করেন।
বাংলা গীতিকাব্যের জগতে অতুলপ্রসাদ সেনের নাম স্মরণীয় হয়ে আছে। তাঁর জীবনের অনেকটা সময় বাংলার পরিমণ্ডলের বাইরে অতিবাহিত হলেও তাঁর সংগীত ও কবিতা রচনায় কোনো ছেদ পড়েনি। তিনি নিরলসভাবে তাঁর সৃজনশীলতাকে জাগরূক রেখে একদিকে যেমন বাংলা গীতিকাব্যকে সমৃদ্ধ করেছেন, তেমনি অন্যদিকে অশেষ মাধুর্য দান করেছেন।
বাংলা গীতিকাব্যের জগতে অতুলপ্রসাদ সেনের নাম স্মরণীয় হয়ে আছে। তাঁর জীবনের অনেকটা সময় বাংলার পরিমণ্ডলের বাইরে অতিবাহিত হলেও তাঁর সংগীত ও কবিতা রচনায় কোনো ছেদ পড়েনি। তিনি নিরলসভাবে তাঁর সৃজনশীলতাকে জাগরূক রেখে একদিকে যেমন বাংলা গীতিকাব্যকে সমৃদ্ধ করেছেন, তেমনি অন্যদিকে অশেষ মাধুর্য দান করেছেন।
পূর্ববঙ্গের (অধুনা বাংলাদেশ) ঢাকাস্থ ফরিদপুরের কবিরাজ কৃষ্ণচন্দ্র সেনের কনিষ্ঠ পুত্র রামপ্রসাদ কলকাতার মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করে ডাক্তারিতে মেতে যান স্বভূমিতে। পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হলেন ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র-দীক্ষিত ভাব-কবি কালীনারায়ণ গুপ্তের কন্যা হেমন্তশশীর সঙ্গে। তাঁদের প্রথম সন্তান এবং একমাত্র পুত্র অতুলপ্রসাদের জন্ম ২০ অক্টোবর ১৮৭১।
পূর্ববঙ্গের (অধুনা বাংলাদেশ) ঢাকাস্থ ফরিদপুরের কবিরাজ কৃষ্ণচন্দ্র সেনের কনিষ্ঠ পুত্র রামপ্রসাদ কলকাতার মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করে ডাক্তারিতে মেতে যান স্বভূমিতে। পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হলেন ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র-দীক্ষিত ভাব-কবি কালীনারায়ণ গুপ্তের কন্যা হেমন্তশশীর সঙ্গে। তাঁদের প্রথম সন্তান এবং একমাত্র পুত্র অতুলপ্রসাদের জন্ম ২০ অক্টোবর ১৮৭১।
রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় এলাহাবাদ থেকে ১৯০১ সালে প্রকাশিত হয়েছিল বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির উল্লেখযোগ্য পত্র ‘প্রবাসী’।
রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় এলাহাবাদ থেকে ১৯০১ সালে প্রকাশিত হয়েছিল বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির উল্লেখযোগ্য পত্র ‘প্রবাসী’।
‘অনুষ্টুপ’ বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতিতে বরাবরই ভিন্ন পথের পথিক। ছাপান্ন বর্ষের তৃতীয় সংখ্যাটিও (গ্রীষ্ম সংখ্যা ২০২২) তার ব্যতিক্রম নয়।
‘অনুষ্টুপ’ বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতিতে বরাবরই ভিন্ন পথের পথিক। ছাপান্ন বর্ষের তৃতীয় সংখ্যাটিও (গ্রীষ্ম সংখ্যা ২০২২) তার ব্যতিক্রম নয়।
এই বইয়ের প্রথম প্রবন্ধ ‘স্বামীজির স্বপ্নের মায়াবতী’ পাঠকদের আনন্দ দেবে। মায়াবতী আশ্রম গড়ে ওঠার ইতিহাস
এই বইয়ের প্রথম প্রবন্ধ ‘স্বামীজির স্বপ্নের মায়াবতী’ পাঠকদের আনন্দ দেবে। মায়াবতী আশ্রম গড়ে ওঠার ইতিহাস
লেখক প্রথমেই তাঁর উদ্দেশ্য নিবেদন করেছেন এইভাবে—‘সমাজ ও শিক্ষা-সংক্রান্ত অসঙ্গতি যা চোখে পড়েছে’ সেটাই
লেখক প্রথমেই তাঁর উদ্দেশ্য নিবেদন করেছেন এইভাবে—‘সমাজ ও শিক্ষা-সংক্রান্ত অসঙ্গতি যা চোখে পড়েছে’ সেটাই
গ্রন্থটি মোট ছয়টি অধ্যায়ে বিভক্ত। অধ্যাত্মজগতের প্রতি নরেন্দ্রনাথের আকর্ষণ বাল্যকাল থেকে হলেও যৌবনে শ্রীরামকৃষ্ণের সান্নিধ্য লাভ করে
গ্রন্থটি মোট ছয়টি অধ্যায়ে বিভক্ত। অধ্যাত্মজগতের প্রতি নরেন্দ্রনাথের আকর্ষণ বাল্যকাল থেকে হলেও যৌবনে শ্রীরামকৃষ্ণের সান্নিধ্য লাভ করে
সমর সেন (১৯১৬—১৯৮৭) রবীন্দ্র-পরবর্তী সময়ের একজন বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিক। রবীন্দ্র-সান্নিধ্যে থেকেও রবীন্দ্র-প্রভাব তাঁকে আচ্ছন্ন করতে পারেনি। বাংলা কবিতার পরিসরে সেই সংযোজন নিয়ে আলোচনা হয়েছে, পত্রিকা হয়েছে; এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অনিল আচার্য সম্পাদিত ‘অনুষ্টুপ’ পত্রিকার ‘সমর সেন শতবর্ষ বিশেষ সংখ্যা’ (২০১৬)। সেই ধারারই আরেকটি বিশেষ সংযোজন ‘চিলেকোঠা’ পত্রিকার ‘প্রসঙ্গে সমর সেন’ সংখ্যাটি। এপত্রিকার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে—“আমরা চেষ্টা করেছি সমর বাবুকে নিয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন নথি, লেখাকে এক জায়গায় আনতে; এ পর্যন্ত তাঁকে নিয়ে যা যা বলা হয়ে ওঠেনি সেই সমস্ত লেখা, তথ্যকে সংগ্রহ করতে।” ছয়শোর বেশি পৃষ্ঠা নিয়ে নির্মিত এই সংখ্যাটিকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগে ‘পুনরুদ্ধার’ অংশে রয়েছে পূর্বপ্রকাশিত […]
সমর সেন (১৯১৬—১৯৮৭) রবীন্দ্র-পরবর্তী সময়ের একজন বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিক। রবীন্দ্র-সান্নিধ্যে থেকেও রবীন্দ্র-প্রভাব তাঁকে আচ্ছন্ন করতে পারেনি। বাংলা কবিতার পরিসরে সেই সংযোজন নিয়ে আলোচনা হয়েছে, পত্রিকা হয়েছে; এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অনিল আচার্য সম্পাদিত ‘অনুষ্টুপ’ পত্রিকার ‘সমর সেন শতবর্ষ বিশেষ সংখ্যা’ (২০১৬)। সেই ধারারই আরেকটি বিশেষ সংযোজন ‘চিলেকোঠা’ পত্রিকার ‘প্রসঙ্গে সমর সেন’ সংখ্যাটি। এপত্রিকার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে—“আমরা চেষ্টা করেছি সমর বাবুকে নিয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন নথি, লেখাকে এক জায়গায় আনতে; এ পর্যন্ত তাঁকে নিয়ে যা যা বলা হয়ে ওঠেনি সেই সমস্ত লেখা, তথ্যকে সংগ্রহ করতে।” ছয়শোর বেশি পৃষ্ঠা নিয়ে নির্মিত এই সংখ্যাটিকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগে ‘পুনরুদ্ধার’ অংশে রয়েছে পূর্বপ্রকাশিত […]
সংগীতের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য তার রয়েছে সর্বজনীন ভাষা।
ভগিনী নিবেদিতার সার্ধশতবর্ষে তাঁকে স্মরণ করে ইতিমধ্যে নানা ধরনের পুস্তক ও স্মরণিকা প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির প্রকাশিত
ভগিনী নিবেদিতার সার্ধশতবর্ষে তাঁকে স্মরণ করে ইতিমধ্যে নানা ধরনের পুস্তক ও স্মরণিকা প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির প্রকাশিত
অষ্টাদশ-ঊনবিংশ শতাব্দীতে যে-কয়েকজন শাক্ত পদকার শাক্ত গীতিসাহিত্য ও শাক্ত সাধনাকে জনপ্রিয় করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে কবি কমলাকান্ত ভট্টাচার্য বিশিষ্টতার আসন লাভ করেছেন।
অষ্টাদশ-ঊনবিংশ শতাব্দীতে যে-কয়েকজন শাক্ত পদকার শাক্ত গীতিসাহিত্য ও শাক্ত সাধনাকে জনপ্রিয় করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে কবি কমলাকান্ত ভট্টাচার্য বিশিষ্টতার আসন লাভ করেছেন।
“যদি মনে এমন বুঝিতে পারেন যে, লিখিয়া দেশের বা মনুষ্যজাতির কিছু মঙ্গলসাধন করিতে পারেন,
“যদি মনে এমন বুঝিতে পারেন যে, লিখিয়া দেশের বা মনুষ্যজাতির কিছু মঙ্গলসাধন করিতে পারেন,