বর্তমান মাঘ মাসে ‘উদ্বোধন’ পঞ্চাশ বৎসরে পদার্পণ করিল। এই উপলক্ষে ইহার সচিত্র সুবর্ণ জয়ন্তী সংখ্যা প্রকাশিত হইল। মহাসমন্বয়াচার্য শ্রীরামকৃষ্ণদেবের অনুষ্ঠিত ও প্রচারিত ভাবাদর্শে ভারতের সর্বাঙ্গীণ অভ্যুদয় সাধনের উদ্দেশ্যে সকল নরনারীকে উদ্বুদ্ধ করিবার জন্য আচার্য স্বামী বিবেকানন্দ ‘উদ্বোধন’ প্রবর্তন করেন। এই কারণে ইহার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সর্বাগ্রে আমরা এই নব-যুগপ্রবর্তক আচার্যদ্বয়ের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করিতেছি এবং যে সকল দেশ-প্রসিদ্ধ মনীষীর সুচিন্তিত রচনা-সম্ভারে সমৃদ্ধ করিয়া এই সংখ্যা প্রকাশ করা সম্ভব হইল, তাঁহাদিগকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাইতেছি। আশা করি, ইহা সহৃদয় পাঠক-পাঠিকাগণের মনোরঞ্জন বিধান করিতে সমর্থ হইবে।

বর্তমান মাঘ মাসে ‘উদ্বোধন’ পঞ্চাশ বৎসরে পদার্পণ করিল। এই উপলক্ষে ইহার সচিত্র সুবর্ণ জয়ন্তী সংখ্যা প্রকাশিত হইল। মহাসমন্বয়াচার্য শ্রীরামকৃষ্ণদেবের অনুষ্ঠিত ও প্রচারিত ভাবাদর্শে ভারতের সর্বাঙ্গীণ অভ্যুদয় সাধনের উদ্দেশ্যে সকল নরনারীকে উদ্বুদ্ধ করিবার জন্য আচার্য স্বামী বিবেকানন্দ ‘উদ্বোধন’ প্রবর্তন করেন। এই কারণে ইহার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সর্বাগ্রে আমরা এই নব-যুগপ্রবর্তক আচার্যদ্বয়ের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করিতেছি এবং যে সকল দেশ-প্রসিদ্ধ মনীষীর সুচিন্তিত রচনা-সম্ভারে সমৃদ্ধ করিয়া এই সংখ্যা প্রকাশ করা সম্ভব হইল, তাঁহাদিগকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাইতেছি। আশা করি, ইহা সহৃদয় পাঠক-পাঠিকাগণের মনোরঞ্জন বিধান করিতে সমর্থ হইবে। ‘উদ্বোধনে’র ইতিহাস ভারতের সর্বতোমুখী জাতীয় জাগরণইতিহাসেরই একটি অধ্যায়। ইতিহাস প্রমাণ দেয় যে, ঊনবিংশ শতাব্দীতে ভারতের জাতীয় অভ্যুত্থানের জন্য যে কয়টি সংস্কার-আন্দোলন উদ্ভূত হয় উহাদের মধ্যে সর্বধর্মসমন্বয়াচার্য শ্রীরামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ-প্রবর্তিত আন্দোলন অল্পকাল মধ্যেই সর্বাপেক্ষা ব্যাপক এবং সুদূরসম্প্রসারী আকার ধারণ করে। এই আন্দোলনের মুখপত্ররূপে ‘উদ্বোধন’ প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন যুগোপযোগী সংস্কার-বিরোধী রক্ষণশীল সম্প্রদায়ের প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও ইহা ক্রমেই বিস্তৃত হইতে থাকে। যুগ-প্রয়োজনই ইহার একমাত্র কারণ। এইরূপে প্রয়োজনের প্রেরণায়ই ভারতবাসী অসংখ্য অন্তর্বিপ্লব ও বহির্বিপ্লবের মধ্যেও তাহাদের জাতীয় সমস্যাসমূহের সমাধান করিয়া আজও বাঁচিয়া আছে। বর্তমান যুগের প্রয়োজন শ্রীরামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ পরিপূর্ণরূপে সিদ্ধ করিয়াছেন। এই জন্যই তাঁহারা যুগধর্মাচার্য নামে অভিহিত। এই আচার্যদ্বয়ের প্রবর্তিত ভাবধারায় ভারতের চিরন্তন জাতীয় বৈশিষ্ট্য বিশেষভাবে প্রকটিত। স্বামী বিবেকানন্দ এই গৌরবোজ্জ্বল বৈশিষ্ট্যের প্রতি পরাধীন ভারতের পাশ্চাত্যভাববিমুগ্ধ শিক্ষিত নরনারীর দৃষ্টি প্রথমে আকর্ষণ করেন। চিকাগো ধর্মমহাসভায় তাঁহার কল্পনাতীত সাফল্য হইতে ইহার সূচনা। তিনিই প্রথমে ভারতের জাতীয় বিশেষত্বের প্রতি প্রতীচ্যেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তাঁহার অসাধারণ স্বদেশ-প্রেমের মর্মস্পর্শী বক্তৃতাবলীতে তিনি যেমন ভারতবর্ষকে সকল বিষয়ে উন্নতির শীর্ষস্থানে অধিষ্ঠিত করিবার অপরিসীম আগ্রহ দেখাইয়াছেন,—ভারতের অতীত গৌরব এবং তদপেক্ষাও উজ্জ্বলতর ভবিষ্যতের আলেখ্য দেশবাসীর সমক্ষে ধারণ করিয়াছেন, এরূপ আর তাঁহার পূর্বে কেহ করেন নাই। অর্ধ শতাব্দী যাবৎ ‘উদ্বোধন’ স্বামীজীর এই মহতী বার্তা উদাত্তকণ্ঠে প্রচার করিতেছে। অতীতের সেই পরাধীনতার তমসাচ্ছন্ন যুগে ভারতের সকল নরনারী যখন তাহাদের মহত্ত্বমণ্ডিত অতীত ভুলিয়া এবং ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে নিরাশ হইয়া...

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in