তাহলে কি বিপরীত নয়? সমমেরুবাসী?
উড়ে গেছে নির্বন্ধকার মৃত কোনো শিমূলের ডালে
তোমার ছায়ায় বসি জীবনদেবতা,
তোমার বাতাসে ভাসে অমৃতকথন।
বরাভয় পার করে এ মাটির বুকে,
দুটি পা মাটিেত, তবু
ধুলো তাকে মলিন করেনি,
গোপন জটার ভার
ধুয়ে দেয় জাহ্নবীর বেণী।
দুটি চোখ শূন্যে রাখা,
খেলায় মেতেছি দুহাতে আগুন দাঁড়িয়ে ঠায়
এখানে ওখানে ভরবসন্ত বৃষ্টিছায়
জানি মহারাজ বটগাছ তুমি আদর
একদা যে জাগ্রত দেবী ঘুমপাড়ানিয়া গান শুনিয়ে
শান্তির নিদ্রা এনে দিতেন ঘুমভাঙানিয়া
কালো তারা কালো তরুণ গোলাপ,
দিন নেই রাত্রি নেই তার
সাদা সেমাই রং নাড়ি
অজস্র রক্তের তুলি চিৎকার
আকাশে যখন আঁধার ঘনায়, রাত্রি তমসাময়,
যখন বাতাস ভয়ংকরের নির্দেশে দিশাহীন—
কে বাজাবে বলো বিজয়ডঙ্কা, ঘটাবে সমন্বয়,
একটি প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি,
প্রশ্নটি রাত্রির কাছে,
চন্দ্র ও স্তব্ধতার কাছে—
মানুষ কোথায় যায়?
যত মেঘ করে আসে তত ভাবি মেঘের আড়ালে
হয়তো এখনো কিছু অন্বিষ্ট যা রয়ে গেছে সারাদিন ধরে
অপেক্ষায় থাকি মেঘ সরে যায় যদি
ভাল থাকব বলে রোদ খুঁজি
বৃষ্টি খুঁজি
শালবনে গিয়ে চৈত্রের চিঠি খুঁজি।
রাত পোহালে রাঙা আকাশ খুঁজি
সামনে কারোর দেখা হয়তো পাব না, পিছনেও
থাকবে না কেউ
যে পথ সরল সোজা, যার কোনো শুরু নেই, নেই
কোনো শেষ
আমার মন আজ খুব শান্ত হয়ে গেছে।
ঘরে ঢুকছে পতিতোদ্ধারিণী গঙ্গার স্নিগ্ধ হাওয়া,
অন্ধকার থাকতে থাকতে ঠাকুর
আলগোছে অগোছালো খেলা কর তুমি,
কখনও কাছে আলো, ছুঁয়ে যাও ভূমি,
কখনও দূরে চলে যাও, ঢের দূরে,
অযুত যোজন পাহাড় পেরনো পথ,
ভাবসঞ্চারে আকুল ঊর্মিমালা—
কলুষনাশন আগুন ছোটানো রথ,
মানবতারণে আপন দহন জ্বালা—
বুঝি পরম্পরা, জড়িয়ে জড়িয়ে লতা
অদূরে যদিও বৃক্ষের উত্থান, স্তম্ভিত ভাবনার চারপাশে
ফুল-পাতার সমর্থনে কাঙ্ক্ষিত চৈত্র মাস
শরীরের সমস্ত পোশাক গড়িয়ে যাচ্ছে নিচের দিকে
বালিতে অাঁকা হচ্ছে জ্যামিতিক পদচিত্র।
দিক্শূন্য। ঈশানে… নৈঋতে কী দেখা যায় কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই
বাটির মাঝখানে ফাঁকা। চারপাশে বলয়ে ঘুরছে ওম।
যাওয়াটুকু এরকমই হবে, মৃদু হাতে মুছে নেওয়া রোদ
ফুলে-ভরা শান্ত নিমডাল ঝুঁকে আসবে জানালার কাছে
একটা অনাথ বিষণ্ণ মাছি ঐ এককোণে চিড়-খাওয়া লাল
যেসব কোলাহল প্রাণের ভেতরে এসে পিঁড়ি পেতে বসে
আমি তাদের প্রত্যেকের সাথে কথা বলি
প্রতিটি আনন্দই ভেসে যায় ঈশ্বর মুখ তুলে তাকান আমাদের উঠানজুড়ে সাত সমুদ্দুরতেরো নদীর কোলাহল
হেমন্তের গোধূলির আমন্ত্রণে ইছামতির বুকে
নিভন্ত আলোয় সেই কবে ভাটিয়ালি গেয়েছে মাঝি
তবুও মনের মধ্যে মাঘের শিশির জমা হলো না
শেষের দিনে হাসির খোরাকভালবাসায় পাগলা সানাই—হোঁচট শুধুই ক্লান্ত স্বভাবশুরুর হিসেব, তোমায় দিলামবাসার আবার মন্দ ভালযাযাবর সে, কেনই বা চায়?প্রিয় নদীর নাম জানা নেইগভীর আশা ‘তোমার পানে’ যায়…আবার এসো বলল যারা,তারাই বুঝি শুভাকাঙ্ক্ষী?ভিনদেশে যে ঘর বানাতপ্রিয় সফর, নামতা জানি!গল্প জুড়ে শব্দমিছিলঅন্তরে আর মিল হলো না,কাব্যে ফেরে নাব্যতা তারসফর শেষেও ঘর মেলে না।
ছিপ হাতে বসে দেখি—জলের ভেতরে
দৌড়াদৌড়ি করে মাছ, আর তারও নিচে
সাঁতার কাটছে পাখি উড়ন্ত ডানায়
মস্ত আকাশি রঙের বাড়িটা কেমন শান্ত
সবুজ পরদার জানলার ভেতর ব্যস্ততা, দুঃখ মুখের সারি
মানুষের মন অতল গভীর, জিজ্ঞাসা-জর্জর—
কোথা পাবে সব উত্তর তার খুঁজে ফিরে অহরহ,
কোথা গিয়ে প্রাণ জুড়াবে নিভৃতে, পাবে প্রেম-নির্ঝর—
সে বাতাস কোথা, যার তীরবেগে কেটে যাবে সব মোহ!
দেবস্বরূপ অনুভবে মন কোথায় ধন্য হবে—
আকাশ নেমেছে মাটির বুকের কাছে
মাটির কান্না আকাশকে ছুঁতে চায়,
দিগন্ত রেখা সরে যায় দূরে দূরে
এগিয়ে গেলেই অনন্ত পাওয়া যায়।
মাতঃ প্রণমি শ্রীপদে৷৷
মঙ্গল-কারিণী শিবা, ত্রাতা শম্ভু উমাপতি,
সিদ্ধিদাতা গণেশাদি আছেন যত দেবতা,
রবি গুরু যত গ্রহ, পুরন্দরাদি দিক্পতি
হার্পসিকর্ড কনচের্তো আর ঢাকের আওয়াজ
মিশে যাচ্ছিল সেই সন্ধ্যায়,
পাঠক সরে যাচ্ছিলেন দূরে
একটি বইয়ের সন্ধানে হন্যে হয়ে
হার্পসিকর্ড কনচের্তো আর ঢাকের আওয়াজ
মিশে যাচ্ছিল সেই সন্ধ্যায়,
পাঠক সরে যাচ্ছিলেন দূরে
একটি বইয়ের সন্ধানে হন্যে হয়ে
সাবলীল বাঁশিসুরে নৌকোর স্মৃতি আয়ুরেখা হয়ে যায়
মুষ্টিভিক্ষা থেকে জমা হয়
দু’একটি ধূসর পালক
হারানো মৃতকাল ভাঙা সেতুটির গায়ে
সাবলীল বাঁশিসুরে নৌকোর স্মৃতি আয়ুরেখা হয়ে যায়
মুষ্টিভিক্ষা থেকে জমা হয়
দু’একটি ধূসর পালক
হারানো মৃতকাল ভাঙা সেতুটির গায়ে
যুগান্ত পেরিয়ে আজ কার কাছে দাঁড়াব এখন,
কে বা দেবে পাপমন জতুগৃহে পুণ্যের দহন?
যুগান্ত পেরিয়ে আজ কার কাছে দাঁড়াব এখন,
কে বা দেবে পাপমন জতুগৃহে পুণ্যের দহন?
ফতুয়ার পকেটে রঙিন মার্বেল গুলি,
একবার কি ফিরে যাওয়া যায়
শৈশবের খোলা মাঠে দু’হাত ছড়িয়ে?
ফতুয়ার পকেটে রঙিন মার্বেল গুলি,
একবার কি ফিরে যাওয়া যায়
শৈশবের খোলা মাঠে দু’হাত ছড়িয়ে?
শব্দহীন নির্জনতম কোনো এক মরু-সকালে
সতেজ নির্মল হিমেল হাওয়া উত্তর কোণ থেকে
বিক্ষুব্ধ জলের বুক থেকে
ছিনিয়ে নেওয়া তোমায়, স্বাধীনতা;
যেন এই আলোর ডিঙি থেকে
নেমে আসছে গৃহস্থ পালক।
বিক্ষুব্ধ জলের বুক থেকে
ছিনিয়ে নেওয়া তোমায়, স্বাধীনতা;
যেন এই আলোর ডিঙি থেকে
নেমে আসছে গৃহস্থ পালক।
ঐ যে বেনিয়াটোলার ট্রাম-লাইনের ধারে
বট আর অশ্বত্থের ঝুরি নেমে আসা বাড়িটাকে দেখছ,
ওখানেই বিপিন থাকত, ওর বাপ-কাকা, ঠাকুরদা,
দুই বোন, আইবুড়ো পিসি, ওর মামাতো ভাই নরেশ
ঐ যে বেনিয়াটোলার ট্রাম-লাইনের ধারে
বট আর অশ্বত্থের ঝুরি নেমে আসা বাড়িটাকে দেখছ,
ওখানেই বিপিন থাকত, ওর বাপ-কাকা, ঠাকুরদা,
দুই বোন, আইবুড়ো পিসি, ওর মামাতো ভাই নরেশ
যে-ভাবনা স্বাধীন জেনেছিল ইচ্ছাকে—তার শেষে,
স্বতন্ত্র মনে-করা সমস্ত গঠন ও সংগ্রাম পেরিয়ে
নিজের সামনে এসে দাঁড়াই।
যে-ভাবনা স্বাধীন জেনেছিল ইচ্ছাকে—তার শেষে,
স্বতন্ত্র মনে-করা সমস্ত গঠন ও সংগ্রাম পেরিয়ে
নিজের সামনে এসে দাঁড়াই।
যখন ধুতির খুঁট দিয়ে তুমি মুছে দিতে পারো
যাবতীয় কান্না আর গ্লানি আর মিথ্যে অভিযোগ
যখন ধুতির খুঁট দিয়ে তুমি মুছে দিতে পারো
যাবতীয় কান্না আর গ্লানি আর মিথ্যে অভিযোগ
রাত্রির ভিতর কিছু ফুল ফুটে আছে, ফুল নাকি তারার পেখম
এই অন্ধকার, ঘন যামিনীর; মেঘচ্ছায়া নয়।
রাত্রির ভিতর কিছু ফুল ফুটে আছে, ফুল নাকি তারার পেখম
এই অন্ধকার, ঘন যামিনীর; মেঘচ্ছায়া নয়।
আসলে ঈশ্বরের বাসনা দিয়ে আদিখণ্ডের শুরু
যেখানে দর্পণে নিজের রূপে মোহিত স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ বাসুদেব
আসলে ঈশ্বরের বাসনা দিয়ে আদিখণ্ডের শুরু
যেখানে দর্পণে নিজের রূপে মোহিত স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ বাসুদেব
রামকৃষ্ণ বসে আছেন
দক্ষিণেশ্বরে
সন্ধ্যারাতের একটি পাখি
ঢুকল তাঁর ঘরে
বসল পাখি হাঁটুর
রামকৃষ্ণ বসে আছেন
দক্ষিণেশ্বরে
সন্ধ্যারাতের একটি পাখি
ঢুকল তাঁর ঘরে
বসল পাখি হাঁটুর
আজ ভোরে উঁচু বেদি আলো করে বসা মা-কে দেখেছি আনন্দে
একে অপরের সঙ্গে মৃদু কথাবার্তা হল শিশুর মতন
আজ ভোরে উঁচু বেদি আলো করে বসা মা-কে দেখেছি আনন্দে
একে অপরের সঙ্গে মৃদু কথাবার্তা হল শিশুর মতন