সূর্যাস্তের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলে সফরটা যেনদীর্ঘস্থায়ী হয়। মনকে একটা নির্দিষ্ট তারে বেঁধেনিলে পথে শূর্পণখা বা দুঃশাসনের সঙ্গে দেখাহওয়ার সম্ভাবনা কমে আসে। নিজের ভেতর লালননা করলে কুম্ভকর্ণ বা বকাসুরও পথ আটকায় না।

সূর্যাস্তের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলে সফরটা যেনদীর্ঘস্থায়ী হয়। মনকে একটা নির্দিষ্ট তারে বেঁধেনিলে পথে শূর্পণখা বা দুঃশাসনের সঙ্গে দেখাহওয়ার সম্ভাবনা কমে আসে। নিজের ভেতর লালননা করলে কুম্ভকর্ণ বা বকাসুরও পথ আটকায় না।সফরটা যেন লম্বা হয়। রাস্তায় পড়ে উজ্জয়িনী,নালন্দা, তাম্রলিপ্তর মতো গন্তব্য। যেন রেশম,দারচিনি, মৃগনাভি ও গোলাপি মুক্তের বাতায়ন—সওদায় কোনও খামতি না থাকে। বিরল সুগন্ধিরাবাতাসবালিকার মসলিন ওড়না হয়ে দিঙ্‌নির্দেশকরে, আর সেইসব জ্যোৎস্নাডোঙার সওয়ারিররাতের জলপথেও চলে অক্লান্ত বৈঠাচালনা। অত্রি-ক্রতু-অঙ্গীরার পাঠশালায় গণনা করতে শিখলে ঐএকটিমাত্র সূর্যাস্তের অপেক্ষা সহনীয় হয়ে ওঠে।সূর্যাস্তটিতে বর্ণিল কোনও বোরিয়ালিস নেই। দীর্ঘসফরের প্যালেটে জমানো সমস্ত জৈব রঙের ঠাসাগন্ধক বড়জোর দিতে পারে মুহূর্তের উদ্ভাস।তারপর সব চোখে সেই সাদামাটা পরিচিত আলোরগোলক রোজকার মতো ডুবে যায়—যেমন তোমার কাছে ডুবে গেছে কাঙ্ক্ষিত সূর্যাস্তেরআগে, বহু বহু বহু ইহজন্ম ধরে…এই ধ্বনি, এই চোখ আসলে তো তোমাকে চেনায়এমন দৃশ্যের কাছে আমার যে বোধিলাভ হয়..

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in