শ্রীশ্রীঠাকুরের স্থূলশরীর ত্যাগের দু-সপ্তাহ পরে শ্রীশ্রীমা বৃন্দাবনের উদ্দেশে যাত্রা
ভারতবর্ষ পুণ্যভূমি, ধর্মভূমি। এর সুবিশাল ভূমিখণ্ডে রয়েছে বহু পবিত্র তীর্থক্ষেত্র, যেখানে
আমি আজ গোরু চরাতে যাব। বৃন্দাবনের নানারকম ফল নিজের হাতে খাব। শুনে মা যশোদা
বাংলার নানা প্রান্তে রথ নিয়ে রয়েছে নানা ধরনের গল্প, কিংবদন্তি আর মানুষের বিবিধ বিশ্বাস। এমন কাহিনি অবশ্য
আষাঢ় মাসে জগন্নাথের রথযাত্রায় শুধু ওড়িশা নয়, বাংলাতেও লোকে লোকারণ্য। ‘রথের মেলা একটি বেলা’ হলেও
স্থান —পূর্বভারতের এক সুবিশাল বৌদ্ধ বিহার। কাল—খ্রিস্টীয় সপ্তম শতক। সুবিস্তৃত বিহারভূমিতে
বিখ্যাত আমেরিকান লেখক মার্ক টোয়েন বলেছেন : “ভারতভূমি হলো মনুষ্যজাতির অগ্রগতির
বাংলার বিভিন্ন জনপ্রিয় লোক-আঙ্গিকের মধ্যে পুতুলনাচ অন্যতম। আট থেকে আশি
দহিজুড়ি গ্রাম ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর-১ ব্লকের অন্তর্গত। প্রাচীন রাঢ়বাংলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল
বাংলা নববর্ষের গোড়ায় বৈশাখের সূত্রে গাঁথা আছে এক শৈশবের স্মৃতি—গ্ৰামের বাড়ির অনতিদূরে এক
১৭৭৩ সালে মেদিনীপুরে কর্মরত ব্রিটিশ রেসিডেন্ট এক চিঠিতে সিংহভূম জেলা সম্পর্কে বড়লাট
মহাবীর ভীষ্মের অধিকাের ছিল ইচ্ছামৃত্যু। দক্ষিণায়নে তিনি শরশয্যা নিলেও স্থির করেন
গত পনেরো বছর ভারতীয় সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াতের সুযোগ ঘটেছে পত্রিকা সম্পাদনা এবং অন্যান্য কাজের সূত্রে৷ উত্তর চব্বিশ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ
একদেশে একবার গরিব, বড়লোক নির্বিশেষে সমস্ত মানুষই অন্ধ হয়ে গিয়েছিল কিছুটা সময় বা কিছুদিনের জন্য। দ্রুত অন্ধত্ব সংক্রামক
বৈচিত্র ভারতের পরিচয়। এখানে নানা জাতি, নানা মত, নানা পরিধান। চেতনায় এক ঠিকানার সন্ধান থাকলেও এক রেখায় পদক্ষেপ প্রায়শ
মানুষের সাধারণ জীবনধারণমূলক ক্রিয়া যদি গাছের কাণ্ডসম হয়, তবে তার ফুল ফল লতা পাতা হলো সংস্কৃতি। সেখানেই তার পরিচয়, তার ভাবনার
হেমন্তের পড়ন্ত বিকালে বাতাসে হিমেল পরশ। নূতন ধানের খেতে ঢেউ তুলিয়াছে মৃদুমন্দ বাতাস। প্রকৃতি নিজের সাজে মধুর। দিঘির স্থির জলে জাল
আজ থেকে প্রায় একশো বছরেরও আগে, সড়কপথে যোগাযোগ না থাকা অবিভক্ত বাংলার গ্রামে যাতায়াত অনেক সময়ই হতো
তুমি আমার গুরু। প্রভু। প্রেমিক গুরু। শ্রীকৃষ্ণ আমার নয়নগোচর হোন। বৃন্দাবন যাত্রাকালে, শ্রীহরি, তোমার আশীর্বাদ আমার পাথেয়। তুমি শ্রীকৃষ্ণ
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের কেন্দ্রবিন্দুতে দুর্গাপুজোর অবস্থান বহুদিনের। এমনকী বাংলার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রস্থল কলকাতার বোলবোলার
শ্রীশ্রীচণ্ডীতে (১২।১২) দেবী বলছেন : ‘শরৎকালে মহাপূজা ক্রিয়তে যা চ বার্ষিকী’—শরৎকালে বার্ষিকী অর্থাৎ প্রতি বছর মহাপূজা করা হয়ে থাকে।
দেবী দুর্গার সাথে ‘শারদা’ নামটা বেশ আপন করা আদরণীয়া বলে মনে হয়। শরৎকালে পূজা হয় বলে ‘শারদা’। এছাড়া স্মার্ত রঘুনন্দন তাঁর তিথিতত্ত্বম্
নবরত্নেশ্বরবচনে বলা হয়েছে—‘সাধকানাং হিতার্থায় অরূপা রূপধারিণী’—সাধকদের হিতের জন্য অরূপা রূপধারণ করেছেন। আবার দেব্যাগমবচনে
সাপ! এক ছোবলেই ছবি করতে তার জুড়ি মেলা ভার! অনেকের কাছে আতঙ্ক, ভয় আর উত্তেজনার নামান্তর বিষধর সাপ। জলে স্থলে গাছপালায় সর্বত্রই সাপের অবাধ গতায়াত। যুগ যুগ ধরে অন্যান্য হিংস্র প্রাণীর আঘাতের তুলনায় সর্পাঘাতে মানুষের মৃত্যু হয়েছে বেশি।
লোকনাট্যের ধারায় খনপালা বা খনগান একটি ঐতিহ্যলালিত পালাগান, যা মূলত অবিভক্ত বাংলার বৃহত্তর দিনাজপুর অঞ্চলে অধিক প্রচলিত ছিল।
দুই প্ল্যাটফর্মের ছোট্ট একটা স্টেশন, নাম বরাভূম। ট্রেন থেকে নেমে উলটোদিকে গিয়ে দাঁড়ালেই রাঙাডি গ্রাম। যারা ‘মুখোশ গ্রাম’ দেখার জন্য আসে, তাদের বেশির ভাগই নামে এই স্টেশনে। তারপর ছোটবড় হরেক রকমের গাড়ি চড়ে সরাসরি আসা যায় মুখোশ গ্রাম চড়িদাতে।
অবশেষে দিন ফুরিয়ে কালীপুজোর সন্ধে নামত এড়োয়ালীর বুকে। মেলার দোকানগুলোয় জ্বলে উঠত কার্বাইডের গ্যাসের আলো। এড়োলের লোকজন ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষের ভিড়ে পথ চলা দায়। কোথাও ‘জয় বাবা ধর্মমাল’-এর নামে চাকা ঘোরানো লটারিতে বিস্কুট কিংবা আস্ত নারকেল পাওয়ার ভিড়,
জপাট গিয়ে এড়োয়ালীর রায়চৌধুরীরা আজ নিতান্তই সাধারণ মানুষের স্তরে নেমে এসেছেন,
গোরু মাত্রই ভগবতী। ভগবতী অর্চনার প্রধান তিথি হচ্ছে কার্তিক অমাবস্যায় দীপালি উৎসবের তিথি। ভারতবর্ষে গো-বন্দনার রেওয়াজ অত্যন্ত প্রাচীন। সমগ্র পূর্বভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বছরের বিভিন্ন সময় গো-দেবতাকে কেন্দ্র করে নানা উৎসব পালিত হয়।
গোরু মাত্রই ভগবতী। ভগবতী অর্চনার প্রধান তিথি হচ্ছে কার্তিক অমাবস্যায় দীপালি উৎসবের তিথি। ভারতবর্ষে গো-বন্দনার রেওয়াজ অত্যন্ত প্রাচীন।
এড়োয়ালীর রায়চৌধুরীরা বীরভূম জেলার ঢেকার রাজা রামজীবন রায়ের বংশধর। সম্রাট শাহজাহান তাঁকে শায়েস্তা খাঁর অধীনে ‘রাজা’ খেতাব দিয়েছিলেন এবং সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলেও তাঁর যথেষ্টই প্রতাপ ছিল। শোনা যায়, কলেশনাথের মন্দিরনির্মাণের কারণে কর দিতে না পারায় নবাব মুর্শিদকুলি খাঁর আক্রমণে ঢেকা ধ্বংস হয়।
এড়োয়ালীর রায়চৌধুরীরা বীরভূম জেলার ঢেকার রাজা রামজীবন রায়ের বংশধর। সম্রাট শাহজাহান তাঁকে শায়েস্তা খাঁর অধীনে ‘রাজা’ খেতাব দিয়েছিলেন এবং সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলেও তাঁর যথেষ্টই প্রতাপ ছিল। শোনা যায়, কলেশনাথের মন্দিরনির্মাণের কারণে কর দিতে না পারায় নবাব মুর্শিদকুলি খাঁর আক্রমণে ঢেকা ধ্বংস হয়।
হরি আর ভরতের দেহের হিজলে জোয়ানের রক্ত আসন্ন বিপদের মুখে বহুদিন পরে আজ আবার তাদের লড়াইয়ের ডাক পাঠিয়েছে। দু-কান ভরে আজ বুঝি তারা আবার সেই ডাকাতে হাঁকাড় শুনছে—‘আ…ব্বা…বা…বা…বা…।’
হরি আর ভরতের দেহের হিজলে জোয়ানের রক্ত আসন্ন বিপদের মুখে বহুদিন পরে আজ আবার তাদের লড়াইয়ের ডাক পাঠিয়েছে। দু-কান ভরে আজ বুঝি তারা আবার সেই ডাকাতে হাঁকাড় শুনছে—‘আ…ব্বা…বা…বা…বা…।’
গাঁয়ের নাম ‘লক্ষ্মীপুর’। সুফসলি ধানি মাঠের নাম ‘লক্ষ্মীজোল’। ধানের অপর নাম ‘লক্ষ্মী’। কথায় আছে—‘হাতের লক্ষ্মী পেয়ে ঠেলো না’। ছেলে কিংবা মেয়ে—অনেকের নাম লক্ষ্মী। আদর করে মা সন্তানকে ডাকেন—‘লক্ষ্মীসোনা আমার’। পৌষ মাস লক্ষ্মীমাস, বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীবার। আবার ভর্ৎসনাবাক্যেও লক্ষ্মীর বিপরীতে ‘অলক্ষ্মী’ বা ‘লক্ষ্মীছাড়া’। বাংলার লোকজীবনের বারোমাস্যায়, লোকসংস্কৃতিতে দেবী লক্ষ্মী একটা বিরাট স্থান জুড়ে রয়েছেন।
গাঁয়ের নাম ‘লক্ষ্মীপুর’। সুফসলি ধানি মাঠের নাম ‘লক্ষ্মীজোল’। ধানের অপর নাম ‘লক্ষ্মী’। কথায় আছে—‘হাতের লক্ষ্মী পেয়ে ঠেলো না’। ছেলে কিংবা মেয়ে—অনেকের নাম লক্ষ্মী। আদর করে মা সন্তানকে ডাকেন—‘লক্ষ্মীসোনা আমার’। পৌষ মাস লক্ষ্মীমাস, বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীবার। আবার ভর্ৎসনাবাক্যেও লক্ষ্মীর বিপরীতে ‘অলক্ষ্মী’ বা ‘লক্ষ্মীছাড়া’। বাংলার লোকজীবনের বারোমাস্যায়, লোকসংস্কৃতিতে দেবী লক্ষ্মী একটা বিরাট স্থান জুড়ে রয়েছেন।
গ্রামের নাম ‘এড়োয়ালী’। আশপাশের দশ-বিশটা গাঁ-গেরামের লোকে বলে ‘এড়োল’, আবার কেউ কেউ ‘এড়ুল’ও বলে থাকে। থানা ও ব্লক খড়গ্রাম বা ‘খড়গাঁ’, আর সাব-ডিভিশন কান্দি, জেলা মুর্শিদাবাদ।
গ্রামের নাম ‘এড়োয়ালী’। আশপাশের দশ-বিশটা গাঁ-গেরামের লোকে বলে ‘এড়োল’, আবার কেউ কেউ ‘এড়ুল’ও বলে থাকে। থানা ও ব্লক খড়গ্রাম বা ‘খড়গাঁ’, আর সাব-ডিভিশন কান্দি, জেলা মুর্শিদাবাদ।
ছোটবেলায় খুব হিংসে হতো—আমার মনের কথাটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখে ফেলেছেন বলে। যদিও খেয়াঘাটের মাঝি হওয়ার স্বপ্ন আমার এখনো ভেঙে খানখান হয়ে যায়নি।
ছোটবেলায় খুব হিংসে হতো—আমার মনের কথাটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখে ফেলেছেন বলে। যদিও খেয়াঘাটের মাঝি হওয়ার স্বপ্ন আমার এখনো ভেঙে খানখান হয়ে যায়নি।
সাধারণত সরার ওপর অঙ্কিত চিত্রকেই ‘সরাচিত্র’ বলা হয়। কোথাও কোথাও ‘সরাপট’ও বলে। সরার ওপর যে চিত্রাঙ্কন করা হয়, পটের অঙ্কনের সঙ্গে তার সাদৃশ্য থাকায় তাকে ‘সরাপট’ বলা হয়।
সাধারণত সরার ওপর অঙ্কিত চিত্রকেই ‘সরাচিত্র’ বলা হয়। কোথাও কোথাও ‘সরাপট’ও বলে। সরার ওপর যে চিত্রাঙ্কন করা হয়, পটের অঙ্কনের সঙ্গে তার সাদৃশ্য থাকায় তাকে ‘সরাপট’ বলা হয়।
এতৎ অঞ্চলের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ঐতরেয় মহিদাস মহামুনি বিরচিত ‘ঐতরেয় আরণ্যক’-এ—
এতৎ অঞ্চলের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ঐতরেয় মহিদাস মহামুনি বিরচিত ‘ঐতরেয় আরণ্যক’-এ—
শারদোৎসব বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। পূজার কয়েকদিন আমরা নতুন করে সেজে উঠি। আত্মীয়স্বজন যিনি যেখানেই থাকুন না কেন, এই পূজার সময় মিলিত হন একসাথে। তাই দুর্গোৎসব মিলনোৎসবও বটে
শারদোৎসব বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। পূজার কয়েকদিন আমরা নতুন করে সেজে উঠি। আত্মীয়স্বজন যিনি যেখানেই থাকুন না কেন, এই পূজার সময় মিলিত হন একসাথে। তাই দুর্গোৎসব মিলনোৎসবও বটে
ভারত-অন্তপ্রাণ ডঃ আনন্দ কেন্টিশ কুমারস্বামী (১৮৭৭—১৯৪৭) তাঁর সম্পূর্ণ জীবনকালে জারিত হয়েছিলেন
ভারত-অন্তপ্রাণ ডঃ আনন্দ কেন্টিশ কুমারস্বামী (১৮৭৭—১৯৪৭) তাঁর সম্পূর্ণ জীবনকালে জারিত হয়েছিলেন