দক্ষিণেশ্বর ও বেলুড় মঠের মহিমা প্রসঙ্গে শ্রীশ্রীমা একবার বলেছিলেন : “যাঁর জন্য কাশী যাওয়া, তিনি দক্ষিণেশ্বরে ও বেলুড়ে (মঠে) আছেন।”১০৭ বেলুড় মঠ এযুগের ‘মহাতীর্থ’—মন্তব্য করেছিলেন স্বামী শিবানন্দজী। একসময় বেলুড় গ্রামের গঙ্গার ধারে ছিল নেপালের রাজার কাঠের গোলা। নেপাল-রাজার কলকাতার প্রতিনিধি বিশ্বনাথ উপাধ্যায়, ঠাকুর যাঁকে ‘কাপ্তেন’ বলে ডাকতেন, একবার ঠাকুরকে এই কাঠগোলাতে এনেছিলেন। এর নিকটে পরবর্তী যুগে বেলুড় মঠ স্থাপিত হয়। এছাড়া দক্ষিণেশ্বরে ত্রিশ বছর (১৮৫৫—১৮৮৫) বাসকালে ঠাকুর বহুবার নৌকা করে কলকাতায় যাতায়াত করেছেন।
স্বামীজীর সঙ্গে দেখা হওয়ার স্মরণীয় দিনটির প্রতিটি মুহূর্ত আমার এখনো মনে আছে। গত আটচল্লিশ বছর ধরে এটি আমার জীবনের ভিত্তি। আমরা তখন ডবস্ফেরিতে মিসেস ডেভিডসনের সঙ্গে থাকতাম। একদিন নিউ ইয়র্কে ডোরা রোয়েথেলেসবার্জারের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিতে এসে তাঁর লেখা একটি চিরকুট পেলাম, তাতে লেখা — 54 West 33rd Street-এ এসে স্বামী বিবেকানন্দের বক্তৃতা শুনে তারপর আমরা মধ্যাহ্নভোজ করব। সেইমতো মা১ এবং আমি ঐ বাড়িতে গিয়ে অভ্যাগতদের বসার কক্ষে উপস্থিত হলাম। সেখানে কুড়িজন মহিলা এবং দু-তিনজন পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। স্বামীজী মেঝেতে বসেছিলেন। তাঁর প্রথম বাক্যটি আমাকে জানিয়ে দিল—আমি এক পরম সত্য সম্পর্কে শুনছি, সেই সত্য যা একজনকে মুক্ত করে দিতে সক্ষম। সেদিন […]