মিতালী বিশ্বাস সপ্তদশ শতকের শেষলগ্নে মল্ল রাজসভার কবি দ্বিজ কবিচন্দ্র শঙ্কর চক্রবর্তী মঙ্গলকাব্য ধারার অনুবর্তী হয়ে রচনা করেন এক ভিন্ন বিষয় ও আঙ্গিকের মঙ্গলকাব্য কপিলামঙ্গল। বেদ ও পুরাণে উল্লিখিত স্বর্গগাভি কপিলা ও তার পুত্র মনোরথকে কেন্দ্র করে একেবারে ছকভাঙা এক নতুন মঙ্গলগান উপস্থাপিত করেন। তাঁর কাব্যের মুখ্য চরিত্র কপিলা মঙ্গলকাব্যের অন্য দেবতাদের মতো নিজের পূজা প্রচারের জন্য মর্তে আসেননি। কবি কপিলা ও মনোরথের মাধ্যমে মানবজাতির হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধ, পাপ-পুণ্য, মানবিকতা ও কর্তব্যবোধকে তিনি ফিরিয়ে দিতে চেয়েছেন। কপিলামঙ্গল কাব্যের প্রাচীন আলেখ্য আমরা খুঁজে পাই বাংলার বিভিন্ন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আদিবাসী জনসমাজের মধ্যে। তিনি কাব্যে যে গো-ভক্তি, গো-অর্চনা ও গো-বন্দনার কথা উল্লেখ করেছেন, তারই […]
“মা, যদি হও রাজি,বড়ো হলে আমি হবখেয়াঘাটের মাঝি।”১ ছোটবেলায় খুব হিংসে হতো—আমার মনের কথাটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখে ফেলেছেন বলে। যদিও খেয়াঘাটের মাঝি হওয়ার স্বপ্ন আমার এখনো ভেঙে খানখান হয়ে যায়নি। কাকমারি পেরিয়ে চক্ষুজ্বলা খালের পাশ দিয়ে দেখা যেত মণ্ডলপাড়ার মাঠ, সেই মাঠে নাড়া-ভাটুঁইয়ের বাসা খুঁজতে গেছি কতবার। কুয়াশায় ঘেরা বনবাদাড়ের ভোর—নাড়াবনে মাকড়সার জালে লেগে থাকা বিন্দু বিন্দু জলের টোপ—সেই মাঠ পাড়ি দিয়ে গাঙভেড়িতে উঠলেই দেখা যেত টিপলীঘেরী খেয়াঘাট। সুশীল মাঝির দশ পয়সার খেয়া। বড় মাসির বাড়ি যেতে গেলে এই বৈতরণি পেরতেই হতো। দত্ত নদীতে ছোট্ট একটা ডিঙি নিয়ে নিজের মেজাজে খেয়া দিত সুশীল মাঝি। কী সকাল, কী সাঁঝে অথবা নিঝুম কোনো […]