এই বিশাল সৃষ্টি তখনো প্রকাশিত হয়নি। প্রলয়কালীন জলরাশির মধ্যে নারায়ণের নাভিকমলের ওপর
মহাপুরুষের সাধনা সাধারণ মানবের চলার পথ প্রশস্ত করে। এই মহাজীবনের বিচ্ছুরিত
‘তপস্যা’ ভারতীয় আধ্যাত্মিক জগতের এক অমূল্য কথা। তপস্যার সাথে স্বামী শিবানন্দজীর
মানুষ ইহলোকে সকামভাবে তপস্যা করে ফল ভোগ করে, কিন্তু ব্রহ্মোপাসক নিষ্কামভাবে
সাধারণ অর্থে ‘তপস্যা’ কোনো মহান কার্যসাধনের উদ্দেশ্যে কঠোরতা অবলম্বনকেই বোঝায়।
সাল ১৮৯৭। গিরিশচন্দ্র ঘোষের বাড়ি থেকে স্বামীজী শিষ্য শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তীর সঙ্গে
যিনি অতি নির্মল বিকাররহিত পরব্রহ্ম, তিনি যেন একবার তপস্যা করলেন। আর তার পরই যেন তাঁর ভিতর থেকে জগৎ-জাল বহুমুখে ব্যাপ্ত হতে থাকল।
তপস্যার ধারণা ও ঐতিহ্য ভারতবর্ষের নিজস্ব। স্বামী বিবেকানন্দ বলিয়াছেন : “এই তপস্যার ভাব
মা ভবতারিণী আজ বেশ সাজিয়াছেন। ঘর আলোয় ঝলমল করিতেছে। মায়ের সম্মুখে দুইটি
শিবের স্বরূপ উদারতায় বিধৃত। দ্বন্দ্বময় বিষয়সকলের তিনি আশ্রয়। অর্ধনারীশ্বর মূর্তিতে একইসঙ্গে সন্তানকে যেমন