সংসারের কাজ কি চব্বিশ ঘণ্টাই করবে? ভগবানের নাম কি একটু করবে না? যাই হোক যতক্ষণ
যিনি কখনো লীলাচ্ছলে সানন্দে যমুনাপুলিনস্থ অরণ্যরাজিকে সংগীত দ্বারা মুখরিত করেন,
মহাশক্তির উপাসনা করিয়াছি। অনন্ত শক্তিমতী অবতীর্ণা হইয়াছিলেন; নিশ্চয়ই আমরা
একটি বিল্বপত্রে তিনটি পাতা রয়েছে—ঐ প্রত্যেকটি পাতা ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর অর্থাৎ সৃষ্টি
পঞ্চেন্দ্রিয়ের দ্বারা যাহা কিছু স্পর্শ করিতেছি, মনের দ্বারা যাহা কিছু চিন্তা বা কল্পনা দ্বারা
অধ্যাত্মজীবনে সকালে বিকালে দু-এক ঘণ্টা ধ্যানে বসাই যথেষ্ট নয়, সারাদিন ঐ ধ্যানের মনোভাব
যখন সব মনপ্রাণ এক অবিচ্ছিন্ন ধারায় ভগবানের দিকে যায়, যখন টাকাকড়ি বা নামযশ খুঁজে বেড়াবার সময় থাকে না,
পরোপকারে কার উপকার?—আমার নিজের—এইতো স্বামীজীর কর্মযোগ—সেবাধর্ম।
এযুগে ঠাকুর স্বামীজীই প্রত্যক্ষ দেবতা! ঠাকুর যে সাক্ষাৎ ভগবান এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।
তোমার দেহ হোক ক্ষেত্র, সুকার্যের বীজ বপন কর সেই ক্ষেত্রে। ঈশ্বরের নামের দ্বারা এই ক্ষেত্রে জলসিঞ্চন কর এবং তোমার অন্তর করুক কর্ষণ।
সংসারে মানুষ স্বভাবত যে-সমস্ত প্রতিকূলতায় পড়ে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে ওঠে, তেমনি অবস্থায় আমরাও যখন শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে হাজির হতাম
দেখো, বিচার করা, মনের নানা সংশয় দূর করা, জপধ্যান ইত্যাদি করা—সব হল চিত্তের শুদ্ধতা আনার জন্য, কিনা এসব অনিত্য জিনিস থেকে,