আম্পায়ার ও তাঁর আম্পায়ারিং বিশ্ব ক্রিকেটের মানচিত্রে যেমন বর্ণবহুল, তেমনি প্রতিনিয়ত চুলচেরা বিশ্লেষণে আলোচ্য বিষয়। অনস্বীকার্য, ক্রিকেট আদতে ব্যাট-বলের চূড়ান্ত লড়াই। কিন্তু কোনো ক্ষেত্রে কোনোমতেই ক্রিকেটাঙ্গনে আম্পায়ারের ভূমিকা অস্বীকার করার জো নেই বা অপ্রয়োজনীয় হেঁকে বাতিলের তালিকায় ফেলা সম্ভব নয়—যতই না কেন প্রায়োগিক বিদ্যার উন্নতি ঘটুক। আম্পায়ারিং হলো ক্রিকেটের বিচারালয়, যেখানে সমস্যাজনিত প্রশ্ন অবধারিত।

আম্পায়ার ও তাঁর আম্পায়ারিং বিশ্ব ক্রিকেটের মানচিত্রে যেমন বর্ণবহুল, তেমনি প্রতিনিয়ত চুলচেরা বিশ্লেষণে আলোচ্য বিষয়। অনস্বীকার্য, ক্রিকেট আদতে ব্যাট-বলের চূড়ান্ত লড়াই। কিন্তু কোনো ক্ষেত্রে কোনোমতেই ক্রিকেটাঙ্গনে আম্পায়ারের ভূমিকা অস্বীকার করার জো নেই বা অপ্রয়োজনীয় হেঁকে বাতিলের তালিকায় ফেলা সম্ভব নয়—যতই না কেন প্রায়োগিক বিদ্যার উন্নতি ঘটুক। আম্পায়ারিং হলো ক্রিকেটের বিচারালয়, যেখানে সমস্যাজনিত প্রশ্ন অবধারিত। আম্পায়ারিং প্রসঙ্গে অ্যালান স্টিল ও রবার্ট লিটলটন যৌথভাবে ১৮৮৮ সালে ক্রিকেটের বইতে তাঁদের নির্দিষ্ট অধ্যায়ে পরিহাসছলে ক্রিকেট অনুরাগীদের এক নির্মম সত্যের মুখোমুখি করেছিলেন। দারুণ সেই মন্তব্য—যদি কেউ আমাদের প্রশ্ন করেন, আচ্ছা বলুন তো কোন শ্রেণিভুক্ত মানুষ তাঁদের কাজ করার সময় অপরিহার্য হলেও সবচেয়ে বেশি গালমন্দ হজম করে থাকেন? এমনকী সামান্য ভদ্রতাসূচক ধন্যবাদ পর্যন্ত তাঁদের ভাগ্যে জোটে না? একমুহূর্ত সময় নষ্ট না করে আমরা বলব—আম্পায়াররা। একেবারে হাটে হাঁড়ি ভাঙা যাকে বলে! সারা‌ক্ষণ ম্যাচে একাগ্র মনঃসংযোগ, শারীরিক পরিশ্রম ‘চাইলাম আর পেলাম’ হয় না। এর জন্য আবশ্যক দীর্ঘমেয়াদি কঠোর অনুশীলন—মানসিক এবং শারীরিক উভয় ক্ষেত্রে। অথচ আম্পায়ারদের কৃতিত্বের যথার্থ মূল্যায়ন মাঠে বা বাইরে কোথাও হলো না! ১৭৪৪ সালে ক্রিকেট আইনের রূপরেখা সর্বপ্রথম তৈরি হয়ে জনসম‌ক্ষে আসে। যদিও ম্যাচে দুই আম্পায়ারের উপস্থিতির প্রথা এর বহু আগে থেকেই প্রচলিত ছিল। ঘটনানুসারে বিশ্বাস করা হয়, পঞ্চদশ শতকের গোড়ার পর্বে ক্রিকেট ম্যাচে একজন আম্পায়ারের উপস্থিতি ছিল। কিন্তু খেলায় এক বা দুই আম্পায়ারের প্রচলন প্রথম কবে কোন বছরে শুরু হয় তার নির্দিষ্ট দিন‌ক্ষণের হদিশ ক্রিকেট ইতিহাসে মেলেনি। এমনকী আন্দাজভিত্তিক শুরুর সন্ধান দেওয়াও সম্ভব হয়নি। অষ্টাদশ শতকের গোড়ায় ‘পপিং ক্রিজ’ চালু হওয়ার আগেই বাধ্যতামূলক ছিল রান নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে যেকোনো পার্শ্বের আম্পায়ারকে স্পর্শ করতে হবে। আম্পায়ার সে‌ক্ষেত্রে উইকেটের কাছাকাছি দাঁড়াতেন এবং হাতে থাকত হয় লাঠি কিংবা ব্যাট—যাতে ব্যাটার সহজে সংযোগ করতে পারে। দুই বর্তমানে খেলা চলাকালীন অধিনায়কদের সম্মতিক্রমে আম্পায়ার পরিবর্তন সম্ভব। সে‌ক্ষেত্রে যুক্তিযুক্ত কারণ থাকা আবশ্যক। ১৭৪৪ সালে আইন শুরু এবং ১৭৭৪ সালে আইন সংশোধিত হওয়ার...

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in