অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন : “The whole of science is nothing more than a refinement of everyday thinking.”—বিজ্ঞান

অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন : “The whole of science is nothing more than a refinement of everyday thinking.”—বিজ্ঞান আসলে প্রতিদিনের চিন্তাভাবনার পরিমার্জনা ছাড়া আর কিছুই নয়। এই পরিমার্জন একটি নিরবচ্ছিন্ন ঘটনা, আর তাই বিজ্ঞানের চলাও নিরবচ্ছিন্ন। ছোট-বড় প্রতিটি আবিষ্কার, প্রতিটি সাফল্য, এমনকী প্রতিটি ব্যর্থতার মধ্য দিয়েই প্রতিনিয়ত এগিয়ে চলে বিজ্ঞান। একটু একটু করে বেড়ে চলে মানবজাতির জ্ঞানের পরিসীমা। এরই মধ্যে কোনো কোনো আবিষ্কার, কোনো কোনো সাফল্য দীর্ঘমেয়াদি দাগ রেখে যায়। প্রশস্ত করে ভবিষ্যতের পথরেখা। বিগত এক বছরে বিজ্ঞানের জগতে দাগ রেখে যাওয়া চারটি আবিষ্কার ও সাফল্যের কথা আমরা এই প্রবন্ধে আলোচনা করব। স্থূলতার নতুন উপশম একুশ শতকের প্রথম তিন দশক মানুষের জীবনে আমূল পরিবর্তন এনেছে। জীবনের গতি বেড়ে গিয়েছে বহুগুণ, বেড়েছে যন্ত্র-নির্ভরতা, কমেছে কায়িক পরিশ্রম। সুখ বেড়েছে, স্বাচ্ছন্দ্য বেড়েছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, অতিস্থূলতা, ক্যানসার ও হৃদরোগের মতো মারণব্যাধি, মানসিক রোগ। এই মুহূর্তে বিশ্বে ২৩০ কোটি মানুষ স্থূলত্বের সমস্যায় ভুগছেন এবং সংখ্যাটা ক্রমবর্ধমান। অতিস্থূলতা বা ‘obesity’ শুধুমাত্র একটি জটিল রোগই নয়, আরো অনেক জটিল রোগের কারণও বটে। এর মধ্যে রয়েছে ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ, ক্যানসার, হাই ব্লাডপ্রেসার, ইনফার্টিলিটি, লিভারের সমস্যা। স্থূলতার কারণে মানসিক বিষণ্ণতায় ভোগেন— এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। পরিমিত আহার ও নিয়মিত শরীরচর্চায় যে সবসময় স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে আসে, তা নয়। অনেকক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। একসময়ে স্থূলতার চিকিৎসায় অ্যামফেটামিন, মেথামফেটামিন (মেথ্‌) ইত্যাদি বিপজ্জনক গোত্রের ওষুধের একচেটিয়া ব্যবহার হয়েছে। এজাতীয় ওষুধের প্রচুর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, বিশেষ করে হৃদ্‌যন্ত্র ও ফুসফুসের জন্য এগুলি মারাত্মক ক্ষতিকর। নেশার দ্রব্য হিসাবেও এদের অপব্যবহার হয়ে থাকে। Glucagon-Like Peptide-1 Receptor Agonist (GLP-1-RA) নামক এক গোত্রের ওষুধ সম্প্রতি অতিস্থূলতার চিকিৎসায় নতুন দিশার সন্ধান দিয়েছে। এই সম্পর্কে বুঝতে হলে আগে জানতে হবে ‘পেপটাইড’ কাকে বলে। মানবদেহের অন্যতম প্রধান উপাদান হলো প্রোটিন। নখ, চুল থেকে শুরু করে মাংসপেশি, রোগ-প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি, অক্সিজেন-বাহক হিমোগ্লোবিন—সবই প্রোটিন দিয়ে গড়া। আর মানবদেহের সমস্ত প্রোটিন তৈরি হয়...

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in