আমার বাবা যেহেতু নানান কর্মস্থলে ঘুরে ঘুরে কাজ করতেন তাই আমাদের বেশি সময় স্কুলে পড়া হয়নি। অর্ধেক সময় বাড়িতেই পড়েছি। আমি ক্লাস সেভেনে প্রথম স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম। যেহেতু বাবার বদলির চাকরি ছিল, সেহেতু বাবা বাড়িতেই মাস্টারমশাইদের দিয়ে আমাদের পড়ানোর ব্যবস্থা করছিলেন। সেসময় আমরা বাড়িতে যখন যা হাতের কাছে পেয়েছি পড়েছি।

আমার বাবা যেহেতু নানান কর্মস্থলে ঘুরে ঘুরে কাজ করতেন তাই আমাদের বেশি সময় স্কুলে পড়া হয়নি। অর্ধেক সময় বাড়িতেই পড়েছি। আমি ক্লাস সেভেনে প্রথম স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম। যেহেতু বাবার বদলির চাকরি ছিল, সেহেতু বাবা বাড়িতেই মাস্টারমশাইদের দিয়ে আমাদের পড়ানোর ব্যবস্থা করছিলেন। সেসময় আমরা বাড়িতে যখন যা হাতের কাছে পেয়েছি পড়েছি। বাবা বরাবরই শান্ত আর ঈশ্বরভাবনায় বিশ্বাসী মানুষ ছিলেন। ঘাটাইল অঞ্চলের কালিহাতি বলে একটা জায়গায় বাবা প্রথম শ্রীরামকৃষ্ণদেবের উদার ধর্মীয় ভাবের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। বাবার গুরুদেব সূর্য্যি মহারাজ (স্বামী নির্বাণানন্দজী) ঐ গ্রামে গিয়েছিলেন, তখনো বাবার দীক্ষা হয়নি। কালিহাতি নদীর পারের ঐ গ্রামটা ছিল খুব সুন্দর। ওখানে কুলদানন্দ ব্রহ্মচারীর আশ্রম ছিল। আশ্রম তৈরিতে বাবা অনেক সাহায্যও করেছিলেন। কিন্তু ওখানে বছর তিনেক থেকে বাবা কলকাতায় চলে এসেছিলেন। কলকাতায় আসার আগেই বাবা শ্রীরামকৃষ্ণদেবের পথে পা বাড়িয়েছিলেন—যেজন্য কলকাতার বাড়িতে তিনি শ্রীরামকৃষ্ণদেব ও শ্রীমা সারদাদেবীর পুজো করতেন। তখন আমরা বেলগাছিয়ায় থাকতাম। বাবার সূত্রে আমাদের বাড়িতে উদ্বোধন পত্রিকাও এসেছে। আমরা সকলে পড়েছি। বাবা আর সবাইকে নিয়ে বাড়িতে প্রতি বছর একটি করে বাৎসরিক উৎসব করেছেন। তাতে মহারাজরা আসতেন, আমাদের বাড়িতে অন্নগ্রহণ করতেন। সেই উপলক্ষে আমাদের আত্মীয়-পরিজনরাও আসতেন। মহারাজরা ছাড়াও সভাতে এসেছেন বহু বিখ্যাত মানুষ। মনে আছে, একবার আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত। প্রতি মাসেই এই সভা বসত। অনেক মানুষ আসতেন পাঠ, আলোচনা, তর্ক ইত্যাদি শুনতে। শ্রীরামকৃষ্ণের মহৎ বাণী প্রচারে বাবার উৎসাহে পরে দেখেছি অনেক মানুষ পরিবর্তিত হয়েছে। বাবার কাছে পরেও তারা এসেছে কথা বলতে। বাবার হাত ধরেই আমার রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। বাবাই আমাকে দীক্ষার ব্যাপারে নিয়ে গিয়েছিলেন। বর্তমানে আমাদের বাড়ির সকল সদস্যই ঠাকুরের মন্ত্রে দীক্ষিত। আমি দীক্ষিত হয়েছিলাম স্বামী গম্ভীরানন্দজীর কাছে। অসাধারণ মানুষ ছিলেন তিনি। আমার এমনি দুর্ভাগ্য, আমি তাঁর শেষযাত্রায় যেতে পারিনি। তাঁকে নিয়ে কতই না স্মৃতি আছে! তাঁর লেখা অমূল্য সমস্ত বই দেখেছি। মা, স্বামীজী ও শাস্ত্র বিষয়ে অসাধারণ সব গ্রন্থ...

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in