এই মহা পবিত্র ক্ষেত্র দর্শন করিয়া যে কি ভাব উদয় হয়, তাহা বর্ণনা করা অসম্ভব। আমরা
(প্রমদাদাস মিত্রকে লিখিত) শ্রীশ্রীগুরুপদ ভরসা আলমোরা২২/৫/৯৬ নমস্কার পত্র— আপনার কৃপা পত্র পাইয়া বড়ই সুখি হইলাম। বিশেষ আপনার পূজনীয়া মাতা ঠাকুরানী আরোগ্য লাভ করিয়াছেন। আপনার হীমালয় দর্শন শরৎকালে হইতে পারে, তবে শীত পড়িলে সকল স্থান দর্শন কষ্টকর হইবে। আমি গত ১৬ মে তারিখে স্বামী জ্ঞানানন্দ গিরী ও আলমোরার ৮/১০ জন লোক সঙ্গে ৺যাগেশ্বর বালা১, যাগেশ্বর শ্যামজীউ ও অন্য২ স্থান দর্শন করিতে গিয়াছিলাম। আমি ভারতের যত স্থান দর্শন করিয়াছি এরূপ স্থান কুত্রাপি দর্শন করি নাই। সে স্থানে গিয়া আর কোথাও যাইতে বাসনা ছিলনা; স্থান দর্শনে যে কি আনন্দ হইয়াছিল, তাহা আপনাকে সামান্য পত্রে বর্ণনা করিতে অক্ষম, তবে এই মাত্র বলিতে পারি যে, সে স্থানের পবিত্র জল ও বায়ু ১৬ আনা পবিত্র আছে। ৺যাগেশ্বরের বর্ণন স্কন্দ পুরাণের মানস খণ্ড দেখিলে জ্ঞাত হইবেন। প্রথমে আলমোরা হইতে প্রাতে যাত্রা করিয়া নানা পর্ব্বত লঙ্ঘন করিয়া সন্ধ্যাকালে ৺যাগেশ্বর পৌঁছাই। ৺যাগেশ্বর অলকানন্দার তীরে, তথায় জটাগঙ্গা ও শূলগঙ্গা মিলিতহইয়াছেন। এই মহা পবিত্র ক্ষেত্র দর্শন করিয়া যে কি ভাব উদয় হয়, তাহা বর্ণনা করা অসম্ভব। আমরা ২ রাত্র তথায় ছিলাম, পরে বৃদ্ধ যাগেশ্বর দর্শন করিতে যাত্রা করি; এ মন্দির অপর পর্ব্বত শিখরে স্থাপিত অতি সুন্দর স্থান; তাহা দর্শন করিয়া শ্যামদেব দর্শনে যাই, ইহা প্রায় ৩ মাইল অপর শিখরে, নিবিড় অরণ্য মধ্যে এ মন্দির স্থাপিত। ২/৩ মাইল মধ্যে কোন লোকের বাস নাই। এ স্থান এ সময় এত ঠাণ্ডা যে রাত্রে ২ খানা বিলাতি কম্বল গায় নিলেও শীত বোধ হয়। এ স্থানের এমন প্রভাব যে, আপনা আপনি মন স্থির হইয়া ঈশ্বর প্রেমে মগ্ন হয়। এমন নির্জ্জন ও মনোহর স্থান যে, না দেখিলে এ শোভা বর্ণনা করা অসম্ভব। জল এমন স্বাস্থ্যকর যে, পীড়িত ব্যক্তি বিনা ঔষধে স্বাস্থ্যলাভ করিতে পারে। মাহা কালীকা প্রায় ২ দিনের পথ ছিল। আমাদের সঙ্গে অনেক লোক থাকায় তথায় দর্শন করিতে যাইতে পারি নাই। কারণ, সংসারী লোক নানা বিষয়ে ব্যাস্ত...
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹100/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in
