তোরা সব খুব সদগ্রন্থ পাঠ করবি। পাঠ করা খুব ভাল। ঠাকুরের কাছে গেলে তিনি
তোরা সব খুব সদগ্রন্থ পাঠ করবি। পাঠ করা খুব ভাল। ঠাকুরের কাছে গেলে তিনি আমাদের পড়তে বলতেন। তাঁর কাছে “মুক্তি ও তাহার সাধন” বলে বই থাকত, তিনি আমাদের পড়ে শুনাতে বলতেন। অন্তত যতক্ষণ বই পড়া যায়, ততক্ষণ তাঁর ভাবে থাকা যায়। নইলে কি নিয়ে থাকবি? সর্বক্ষণ তো ধ্যান জপ করা যায় না। তবে পড়া-শুনা এসব হলো গৌণ ব্যাপার। ঠাকুরের কৃপায় তোরা তাঁতে মগ্ন হয়ে যা—যাকে একেবারে তলিয়ে যাওয়া বলে। ভগবান কথার বস্তু নন, উপলব্ধির বস্তু। তাঁকে আমাদের পেতেই হবে, এই জন্মেই পেতে হবে তা সে যেমন করে হোক। তাঁকে লাভ করা ছাড়া এ ত্রিতাপদগ্ধ সংসারমরুভূমি পার হওয়ার আর কোন উপায় নাই। আর কোন বস্তুই জগতের শান্তি বিধান করতে পারে না। ভগবদ্ভক্তিই মরুহৃদয়ে একমাত্র শীতল বারি। সুখে, দুঃখে যিনি বিচলিত না হয়ে তাঁতে মন নিবেশ করে রাখতে পারেন, যিনি নিষ্ঠুর কর্তব্যের মধ্যেও বলতে পারেন, “ত্বয়া হৃষীকেশ হৃদি স্থিতেন যথা নিযুক্তোঽস্মি তথা করোমি” তিনিই প্রকৃত বকলমা দিয়েছেন। তিনিই বাস্তবিক সর্বধর্ম ত্যাগ করে তাঁর আশ্রয় গ্রহণ করেছেন এবং প্রভু তাঁরই ভার গ্রহণ করে তাঁকে সর্বপাপ হতে মুক্ত করেন। —স্বামী প্রেমানন্দ
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹120/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in
