ভগবান কাউকে সুখে কাউকে দুঃখে কেন রাখেন? আমাকে সবাই ভুল বোঝে এবং আমার প্রতি
আমরা মধ্যে মধ্যে কয়েকটি প্রশ্ন শুনতে পাই— ভগবান এমন দুঃখময় জগৎ সৃষ্টি করলেন কেন? ভগবান কাউকে সুখে কাউকে দুঃখে কেন রাখেন? আমাকে সবাই ভুল বোঝে এবং আমার প্রতি সবাই অবিচার করে কেন? আমার প্রতি সকলের ঈর্ষাই বা কেন? আমার দুঃখ কতদিন চলবে? আমার ওপর কেউ তন্ত্রমন্ত্র বা ক্রিয়া করে আমাকে উঠতে দিচ্ছে না। আমার সুযোগ আসছে অথচ শেষমুহূর্তে ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছি। কথামৃত, মায়ের কথা, স্বামীজীর লেখাতে সব উত্তর থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে ঠিকমতো উত্তর সবসময় মনে আসে না—হতাশায় নিজেকে অসহায় বিপন্ন বোধ হয়, মনে হয় নিজেকে শেষ করে দিই! ঘটনা বাস্তব হলেও নিজেদের বুদ্ধির দোষেই আমাদের এই কষ্ট। রাম, সীতা, হরিশ্চন্দ্র, শৈব্যা, ক্ষুদিরাম, চন্দ্রামণির কষ্টের কথা আমরা জানি। তাঁরা কীভাবে এই অবস্থাকে মানিয়ে নিয়েছিলেন আমরা ভুলে গেছি। এই লেখাটি কোনো সমবেদনা বা প্রলেপ নয়—বাস্তব ঘটনার বিবরণ। যা জানলে কষ্ট হলেও বুঝতে পারব—কেন কষ্ট এবং কীভাবে তা দূর হবে। এই জগতে আমাদের কাজের জন্য আমরা কতখানি দায়ী একটু অনুসন্ধান করা যাক। নদীতে যেমন একবিন্দু জল—আমিও এই বৃহৎ সংসারলীলায় একটি বিন্দুমাত্র।সুষুপ্তিতে আমরা ‘নেই’ হয়ে যাই, তারপর সুষুপ্তি ভাঙলেই একটা ‘আমি’ এসে হাজির হয়। ‘আমি’টা সঙ্গে সঙ্গে ‘আমি কী’, ‘কোথায়’, ‘কেন’ ভাবতে শুরু করতেই জগতের খেলা পর পর শুরু হয়ে গেল। আমরা আমাদের কর্ম ও সংস্কারের মতো করে জগৎকে দেখতে লাগলাম; এদিকে অন্যান্য ব্যক্তি ও বস্তু তাদের নিজ নিজ কর্ম ও প্রকৃতি অনুসারে চলতে লাগল, ফলে যত ব্যক্তি ও বস্তু একসঙ্গে এগিয়ে চলল। সুষুপ্তির পর ‘আমি’ বোধ হঠাৎই হয়—কে করল, কোথা থেকে এল কিছুই জানি না। অথচ ঘটনা ঘটছে অস্বীকার করা যায় না। আমাদের জন্মও অনেকটা এইরকম। আমি কোথায় ছিলাম জানি না, হঠাৎ মায়ের পেটের মধ্যে ব্যক্তিসত্তা জেগে উঠল। মায়ের গর্ভই তখন তার আশ্রয়। শিশুর সূক্ষ্মশরীরে আমাদের স্বপ্নের মতো চিন্তা চলতে থাকে। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর সেই আশ্রয় চলে গেল, চিৎকার করতে লাগল পরিবেশের...
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹120/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in
