সঙ্গীতকল্পতরুতে সংকলিত ‘তাই বলিরে ভাই সুবল’ গানটির রচয়িতা কৃষ্ণকমল গোস্বামী
[পূর্বানুবৃত্তি : ভাদ্র সংখ্যার পর]।।১১।। সঙ্গীতকল্পতরুতে সংকলিত ‘তাই বলিরে ভাই সুবল’ গানটির রচয়িতা কৃষ্ণকমল গোস্বামী—জন্ম ১৮১০ সালে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার ভাজনঘাটে। বাবা মুরলীধর গোস্বামী। ছেলেবেলায় বাবার সঙ্গে বৃন্দাবনে গিয়ে তিনি বৈষ্ণব শাস্ত্রাদি অধ্যয়ন এবং মথুরায় চৌবেজীর কাছে ধ্রুপদী সংগীত শিক্ষা করেন। অসাধারণ ধারণাশক্তি ও সংগীতের তালমানাদির জ্ঞানে তিনি কৃতবিদ্য হলে ঢাকা শহরে এসে বহু পালাগান রচনা করেন। বহু প্রসিদ্ধ সংকলনগ্রন্থে তাঁর রচনা গৃহীত হয়েছে। ‘বড় গোঁসাই’ নামে পরিচিত কৃষ্ণকমল ১৮৮৮ সালে প্রয়াত হন। স্বামী প্রেমানন্দজী অন্তত দুবার—১৯১৩ সালে ঢাকা-বিক্রমপুরের কাছে বিদগাঁয় এবং ১৯১৪ সালে মালদায় ‘রাই উন্মাদিনী’ পালাগান শুনেছিলেন। ১৮৪৩ সালে নবদ্বীপের নিকটবর্তী ভাতশালা (পূর্বস্থলীর অন্তর্গত) গ্রামে জন্ম মতিলাল রায়ের; বাবা মনোহর রায় নীলকুঠির দেওয়ান ছিলেন। প্রথমে কলকাতায় পরে নবদ্বীপের মিশনারি স্কুলে পড়াশোনা করে সেখানেই কিছুদিন শিক্ষকতা করেন। কলকাতার জিপিওতে কেরানির কাজ করেছেন। কবি ঈশ্বর গুপ্তের প্রেরণায় কাব্যচর্চা করে স্বাধীন জীবিকার্জনের জন্য গ্রামে ফিরে এসে ১৮৭৩ সালে মতিলাল নবদ্বীপে ভ্রাম্যমাণ যাত্রাদল গঠন করে সাফল্য অর্জন করেন। পোড়ামাতলায় তিনি প্রথম অভিনয় করেন। প্রতিদিন এক হাজার দুর্গানাম লেখা-সহ সন্ধ্যা-বন্দনাদিতে তিনি ৪/৫ ঘণ্টা কাটাতেন। যাত্রায় আর্থিক উন্নতি হলে তিনি নবদ্বীপেই বাস করতে থাকেন এবং ১৯০৮ সালে কাশীতে প্রয়াত হন।৩৪৮ এই মতিলাল রায়ের গান শুনেছেন স্বয়ং শ্রীরামকৃষ্ণ। বঙ্গবাসী পত্রিকার সহকারী সম্পাদক প্রত্যক্ষদর্শী হরিমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বর্ণনা—“একদা আমরা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করিয়াছি, কেশব বাবুর বাড়ীতে রায় মহাশয়ের যাত্রা হইতেছে। কেশব বাবুর অঙ্কে স্বর্গীয় মহাত্মা রামকৃষ্ণ পরমহংস উপবিষ্ট,—একমনে রায় মহাশয়ের গান শুনিতেছেন। রায় মহাশয় তৎকালে তাঁহার প্রণীত নিমাই সন্ন্যাস গীতাভিনয়ে শ্রীধর রূপে অবতীর্ণ। আবেগময়ী প্রাণমনমুগ্ধকর ভক্তিরসের প্রবলস্রোতে পরমহংস সমাধি প্রাপ্ত হইলেন, অনেক পরে মোহ অপগত হইলে রামকৃষ্ণ পরমহংস,—মতি মতি বলিয়া স্বয়ং উত্থান পূর্ব্বক রায় মহাশয়কে আলিঙ্গন করিলেন।”৩৪৯ মতিলাল নিজেই ১৩১৯ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত নিমাই-সন্ন্যাস পালার ‘বিজ্ঞাপন’-এ জানিয়েছেন—কোচবিহার মহারাজের বিবাহে তাঁর অনুষ্ঠান দেখে খুশি হয়ে কেশব সেন তাঁকে চৈতন্যদেব সম্পর্কে লিখতে বলায় তিনি নিমাই সন্ন্যাস রচনা করেছিলেন। “পরে তাঁহার কমলকুটীরে ইহার...
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹120/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in
