অনন্তভাবময় শ্রীরামকৃষ্ণের জীবনচরিত অধ্যাত্ম-ইতিহাসকে ভাস্বর করেছে আপন মহিমায়।
অনন্তভাবময় শ্রীরামকৃষ্ণের জীবনচরিত অধ্যাত্ম-ইতিহাসকে ভাস্বর করেছে আপন মহিমায়। সাধকভাবে তাঁর কত না দিব্য অনুভূতি! একদিকে তা যেমন তাঁকে অতিলৌকিক সিদ্ধিদান করেছে, তেমনই আমাদের জন্য রেখে গেছে উপাসনার ঐকান্তিক উৎসাহ। সমস্ত সাধনার মূলীভূত উপলব্ধিকে সম্যক ধারণা করে গুরুভাবের পরম প্রকাশে কত না অধ্যাত্মপিপাসুর সাধনপথ তিনি সুগম করে দিয়েছেন! আবার দেবভাবের অলোকসামান্য বিস্তারে নিজেকে মেলে ধরেছেন সেই পুরাণপুরুষ হিসাবে, যেখান থেকে যুগে যুগে অবতারগণ আবির্ভূত হয়ে ব্রহ্মকুণ্ডলিনীকে জাগরিত করে যান। সেই সবকিছুর নির্নিমেষ সাক্ষী থেকেছে গঙ্গাতীরের এক প্রাচীন বটবৃক্ষ। তার শাখায় শাখায় কিশলয়ের কোমলতায় সে-নরদেবতার প্রেমামৃত অভিসিঞ্চিত; আর তার ঝুরির দৃঢ়তায় নিনাদিত বেদান্তের জ্ঞাননির্ঘোষ। অগ্রণী অবতারের করুণা তাকে যেন এক ঋষিত্বের পদবিতে উত্তীর্ণ করেছে। তাই তো কিশোর নরেন্দ্র যখন ডুবে থাকতে চান নির্বাণের অদ্বৈতসাগরে, তখন শ্রীরামকৃষ্ণদেব তাঁকে আশীর্বাদ করেন—“বিশাল বটগাছের মত হবি।” অদ্বৈতপদকেও তুচ্ছ করে দেওয়া সেই নরেন্দ্র-বটের ছায়ায় এসে আজ শীতল হয়ে ফিরছে সংসার-তাপিত অগণিত নরনারী।
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹120/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in
