আমাদের সমাজ জীবনদর্শনের বহুধা আধার রথযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে আপন গতিতে।

আমাদের সমাজ জীবনদর্শনের বহুধা আধার রথযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে আপন গতিতে। কখনো ভক্তির সরসতা তার পথকে বাধাহীন করেছে তো কখনো জ্ঞানের পরাকাষ্ঠা সেই গুরুভার রথকে জীবনপঙ্কে নিমজ্জিত হতে দেয়নি; উপরন্তু আস্তীর্ণ হয়েছে মূল্যবোধের কুসুমসজ্জা। উপনিষদে মানবশরীরই রথ; শরীরী আত্মা রথী। বুদ্ধি সারথি হয়ে মন-লাগামকে টেনে ধরে। পাঁচটি ইন্দ্রিয় সুবাধ্য অশ্বের মতো বিষয়াসক্ত পথেও রথ নিয়ে চলে নিরাসক্ত থেকে যায়। পুরাণ বলেন, রথের মধ্যে বামনদেবের দর্শনে জন্ম-মৃত্যুর চক্র বিচ্ছিন্ন হয়। দেহ-রথস্থ আত্মাই সেই বামন। স্বয়ং যিনি পরমাত্মা, তিনি একদিন সারথি সেজে জীবাত্মার প্রতীকে অর্জুনকে শুনিয়েছেন গীতার সিংহনিনাদ; শিখিয়েছেন কী কর্ম, কীই বা অকর্ম। অধুনা রথযাত্রার লোকারণ্যে যখন মহাধুম জাগে, তখন কবির মননে শ্রীভগবান মনে বসে মন দেখেন। তাঁকে কেউ খুঁজে পায়, কেউ পায় না। আবার, এক চণ্ডালীর শুচি-পরশের তরে জগন্নাথের রথ তো একবার অপেক্ষায় অচল। কবিতার সে-বুড়ি তার অনুরাগের আকুতিতে নিজেই প্রেমপঙ্‌ক্তি হয়ে রয়েছে। মননের রথযাত্রা এভাবেই যুগে যুগে অভিসিঞ্চিত। অযুত আকর্ষণে তাই তার বর্ণিল উদ্বোধন।  

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in