বর্ষণের মেঘ বড় সহমর্মী। মনের গহিনে ডুব দিয়ে সে তুলে নিয়ে আসে চেপে রাখা দুঃখ-সুখের
বর্ষণের মেঘ বড় সহমর্মী। মনের গহিনে ডুব দিয়ে সে তুলে নিয়ে আসে চেপে রাখা দুঃখ-সুখের রূপকথা যত। সেসব দিয়ে রেশমি এক জাল বুনে নিজের ওপর টেনে ধরে সে আলতো করে। তখন মেঘের গড়নটি ঠিক আমাদেরই মনের আদল যেন! বর্ষার আকাশ তাই আয়নার মতো। সেখানে বিরহের পরে বিরহ জমে ঘোরতর হয়—ঘন বাদলের কালো রঙে। তারপর সে যখন আর নিজের ভার ধরে রাখতে পারে না, তখন ঝরে পড়ে অশ্রু হয়ে। বৃষ্টি নামে ঠিক সেই সময়ে আকাশ-জুড়ে। হাপুস ভিজে চলে নিঝুম তরুলতারা। আবার মনের মাঝে যদি মিলনের প্লাবন জাগে, আকাশের পরতে পরতে তখন কালো মেঘ হাসির আলোয় চকচক করে ওঠে। তখনকার সুখ-ধারাপাতে বেজে চলে দু-কূল ছাপিয়ে একাকার হওয়ার হিল্লোল। তাল-তমালের সারিতে উঁকি দেয় কদমের বাহার। সুখ ও দুঃখ—উভয়ের চরম পরিণতির পারে যে অন্তর্মুখিনতা জাগ্রত হয়, তা বেজে ওঠে সঘন মল্লারের তানে ও সুরে। বর্ষার কোলে ঐ যে গীতিমণ্ডপ। তার দোলায়িত পতাকা, বারিবিন্দুর অভিসারে প্রণয়-গাথা রচনা করেছে। নিখিল-মনন বর্ষণে আজ আপ্যায়িত।
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹120/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in
