ব্রজধাম—অচিনকাল হতে আশ্চর্য কিশোরের বেণু-ধ্বনি-লালিত আনন্দধাম। সে মুখরিত সুর কালের

ব্রজধাম—অচিনকাল হতে আশ্চর্য কিশোরের বেণু-ধ্বনি-লালিত আনন্দধাম। সে মুখরিত সুর কালের নিরলস ধারায় মিতালি পাতিয়ে বয়ে চলেছে ভক্তিব্যাকুলা যমুনার মতো। লহরি তার এসে লেগেছে বঙ্গমননের তটভূমেও। শত শত বছর ধরে সাধনপথে, সাহিত্যপথে, কলাপথে তার সেবা হয়ে এসেছে অনলস। বাংলার সংস্কৃতিতে বৃন্দাবন যেন নস্টালজিয়ার সোঁদা বাতাস। এদেশে কাজলা রঙের মেঘ ঘনালে অতীত কোনো কিশোরীর বিরহবাষ্প আজও সাধক-সাহিত্যিকদের গলায় দলা পাকিয়ে ওঠে। তারা হৃদয়-মাঝে সে-লীলা অনিমিখ চেয়ে দেখে। আর ছোটদের শিখিয়ে রাখে—লীলা যদি দেখা না-ও হয়—প্রাচীন সেই প্রেমরসের টানটুকু যেন ভাবীকালকে সজল রাখে। এই আকর্ষণ সেই কিশোরের জন্যই। সে-ই তো পরমাত্মা। সে-ই তো সকল প্রাণীর বুকে ‘আমি’ হয়ে জেগে রয়েছে। সে পরমানন্দস্বরূপ বলেই যে আজ সবাই অমৃতের পিয়াসি। তাঁর স্পর্শসুখে হৃদি বৃন্দাবনে লতারাজি গর্বিত; উন্মনা ময়ূর সচকিতে ফিরে ফিরে তাঁকে নিহারতে চায়; বনফুল মালা হয়ে দুলতে চায় তাঁর গলায়; গাভিগণ গোঠের পানে ধেয়ে যায় খেলবে বলে তাঁর সঙ্গে। প্রত্নপ্রেমের আবেশ-লাস্যে হৃদ্-যমুনার জল বঙ্গবাসীকে ব্রজবাস-সুধায় সিঞ্চিত করে চলে যুগে যুগে। 

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in