কুম্ভমেলা বিষয়ক এই সংখ্যাটিতে মেলার পৌরাণিক উৎস, জ্যোতিষশাস্ত্রের মত,

উদ্বোধন-এর গত পৌষ ১৪৩১ সংখ্যাটি মনোযোগ সহকারে পড়লাম। চলতি বছর প্রয়াগে মহাকুম্ভমেলার প্রাক্‌কালে প্রকাশিত কুম্ভমেলা বিষয়ক এই বিশেষ সংখ্যাটি সংগ্রহ করে রাখার মতো। রামকৃষ্ণ মিশনের যে সেবাপরায়ণ সাধুদের একদা ‘ভাঙ্গী সাধু’ আখ্যা দিয়ে অন্য সাধুরা অবজ্ঞা করতেন—সেই মিশনের সাধুরা দশনামি সম্প্রদায়ভুক্ত ‘পুরী’-উপাধিধারী হিসাবে মহানির্বাণী আখড়ার সঙ্গে শাহিস্নানে যান—এটা পড়ে খুব ভাল লাগল। স্বামীজী দেখিয়ে দিয়ে গেছেন, জীবসেবা আর ঈশ্বর-উপাসনার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আজ মানুষ সেটা বুঝতে পারছে। কুম্ভমেলা বিষয়ক এই সংখ্যাটিতে মেলার পৌরাণিক উৎস, জ্যোতিষশাস্ত্রের মত, সনাতন ধর্মের নানা সম্প্রদায়ের সাধুদের সমাবেশ, ঐতিহাসিক ভিত্তি, প্রধান চারটি স্থান ছাড়া গোদাবরী, কামাখ্যা, বৃন্দাবন প্রভৃতি স্থানে কুম্ভের বিবরণ চমকপ্রদ। প্রবাসী ও Modern Review পত্রিকার সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় কর্মসূত্রে এলাহাবাদে প্রায় ১২ বছর ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে তাঁর স্মৃতিচারণ অতি মনোরম। ‘অ‌ক্ষরমালায় অমৃতের সন্ধান’ শীর্ষক লেখায় ইংরেজি ও বাংলায় দেশি-বিদেশি বহু লেখকের কুম্ভমেলা সংক্রান্ত আলোচনাটি পড়ে পাঠকরা অবশ্যই ঋদ্ধ হয়েছেন। অনুসন্ধানী পাঠকদের জ্ঞাতার্থে বিস্মৃতপ্রায় দুজন লেখকের বইয়ের কথা এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে। প্রথমটি হলো বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর শিষ্য মনোরঞ্জন গুহঠাকুরতার লেখা প্রয়াগধামে কুম্ভমেলা (১৩৪০) এবং দ্বিতীয়টি হলো শ্রীঅরবিন্দের শিষ্য দিলীপকুমার রায় ও তৎ-শিষ্যা ইন্দিরাদেবী প্রণীত Kumbha—India’s ageless festival (১৯৫৫)। দুটি গ্রন্থ তথ্যবহুল ও সাধু-সন্ন্যাসীদের সঙ্গ-প্রসঙ্গে আকর্ষণীয়। নিতাই নাগচাঁদমারিডাঙা, বাঁকুড়া-৭২২১০১ উদ্বোধন-এর গত মাঘ ১৪৩১ সংখ্যায় স্বামী সুহিতানন্দ মহারাজের লিখিত ‘রাজযোগ : ব্যাবহারিক জীবনে’ এক ছন্দোবদ্ধ পর্যায়ক্রমিক পথনির্দেশিকা। পথিক যখন প্রবুদ্ধ চিন্তার খোঁজে এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়ায়, তখন এই রচনাটি জীবনধারায় নবতম জোয়ার আনবে। ইড়া, পিঙ্গলা এবং সুষুম্না—এই ত্রিভুজাকার প্রণালীকে ঘিরে থাকা সর্পকুণ্ডলিনীকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তা মস্তকস্থ সহস্রারে নিয়ে আসার প্রক্রিয়াই হলো রাজযোগ। এই যোগ আয়ত্তাধীন হলে ঈশ্বরের সাথে সংযুক্ত হওয়ার এক তুরীয়ানন্দ অনুভূতি—সাধকগণ এমনটাই বলেন। মনোবিজ্ঞানের বিশ্লেষণে এই যোগ মুক্ত হওয়ার ‌ক্ষেত্রে এক আলোকবর্তিকাস্বরূপ। এই কথাগুলো মহারাজ ছত্রে ছত্রে বুঝিয়েছেন। অবতারবরিষ্ঠ শ্রীরামকৃষ্ণের ভাবনােক একাধারে দর্শন, বিজ্ঞান, সর্বোপরি মনোবিজ্ঞানের আলোকে স্বামীজীর যে-ব্যাখ্যান, যা...

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in