মানুষ স্বাতন্ত্র্যের অভিলাষী। শাসনের গ্লানিতে তার স্বাধীন সত্তা সংকুচিত হয়। কিন্তু সেই শাসনই

মানুষ স্বাতন্ত্র্যের অভিলাষী। শাসনের গ্লানিতে তার স্বাধীন সত্তা সংকুচিত হয়। কিন্তু সেই শাসনই যদি জন্মদায়িনী মায়ের ইচ্ছায় হয়, তখন তা গ্লানির হীনতা পেরিয়ে স্নেহের অঞ্চলে মুখ লুকায়। এখানেই মাতৃত্বের অনন্যতা। অনবদ্য মাতৃসুধায় অধর্মকে শাসন করে ধর্ম-সংস্থাপন করবেন বলেই রামকৃষ্ণ অবতারে শ্রীভগবান ভুবনমাতা শ্রীসারদার আবাহনে—আমাদের মায়ের বোধনপূজায় আত্মনিবেদন করেছিলেন। অগ্নিদগ্ধ পতঙ্গ যেমন নিজের লালসায় কাতর হয়, কলকাতার বাসনাদগ্ধ মানুষ যেন তেমনই বাসনাতাপে কিলবিল করে। সুশাসনের স্নেহে তাদের চিরদগ্ধ চিত্তে প্রেমবিন্দু সিঞ্চনের ভার ঠাকুর মাকে দিয়েছিলেন। আসলে কলকাতা তখন দেশ-বিদেশের মিলনস্থল। তাই কলকাতার প্রতীকে ঠাকুর বিশ্বসংসারেরই দায়িত্ব মায়ের হাতে তুলে দেন। আর সর্বংসহা জননী তা পরম মমতায় কোলে টেনে নেন। তারপর নিখিলপ্রাণের তাপ জুড়াতে স্বামী সারদানন্দজী কলকাতার বুকে মায়ের জন্য এক গৃহমন্দির নির্মাণ করলেন। শুভ তিথিতে ঘটল মায়ের পদার্পণ। সেই চরণতরি হয়ে রইল বিশ্ববাসীর একমাত্র শরণ—অনাগত কালের তরে।  

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in