আজ থেকে প্রায় এগারো বছর আগের একটা ঘটনা, হয়তো এখনো অনেকেরই মনে আছে। ২০১৪ সালের ৬ অগস্ট পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার
আজ থেকে প্রায় এগারো বছর আগের একটা ঘটনা, হয়তো এখনো অনেকেরই মনে আছে। ২০১৪ সালের ৬ অগস্ট পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী পার্থ শহরের স্টার্লিং মেট্রো স্টেশনে ট্রেনের কামরা ও প্ল্যাটফর্মের মাঝের ফাঁকে ‘অ্যান্ডি’ নামে জনৈক যাত্রীর পা বিশ্রীভাবে আটকে যায়। কোনোভাবেই তাঁকে উদ্ধার করতে না পেরে রেলকর্মীদের পরামর্শে অন্য যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে আসে। তারপর সবাই মিলে ঠেলে ফাঁকা ট্রেনটিকে সামান্য কাত করতে সক্ষম হয় এবং অ্যান্ডিকে প্রায় অক্ষত দেহে উদ্ধার করা যায়। সংবাদপত্রে খবরটা পড়ে সকলে হতবাক হয়ে ভেবেছিল—এমনও হয়! এসব অসম্ভব কাণ্ড ঘটানো ঐ বিশালবপু সাহেবদের পক্ষেই মনে হয় সম্ভব। এই মনোভাবের আড়ালে বোধ হয় এই দেশের কিছু দুর্বল সাধারণ মানুষদের প্রতি একধরনের প্রচ্ছন্ন অবজ্ঞা ছিল। কিন্তু এর মাত্র চার বছর পরে এদেশেরই একটি ঘটনায় সেই ভুল ভেঙে যায়। সংঘবদ্ধ জনশক্তির অসম্ভবকে সম্ভব করার অবিশ্বাস্য ক্ষমতা প্রত্যক্ষ করার দুর্লভ সৌভাগ্য সেদিন যেন চোখ খুলে দিয়েছিল। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসের শেষদিকে অরুণাচল ভ্রমণে গিয়েছিলাম। যেদিনের কথা বলছি, সেদিন তাওয়াং থেকে বুম-লা এবং মাধুরী লেক দেখতে যাওয়ার কথা। ‘লা’ শব্দের অর্থ ‘পাস’ বা গিরিপথ। ১৯৫৯ সালে তিব্বত থেকে দলাই লামা এবং ১৯৬২ সালের যুদ্ধে চীনা সৈন্য বুম-লা পেরিয়েই ভারতে ঢোকে। বর্তমানে এটি অরুণাচলের দিকে ভারত-চীন সীমান্ত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত অপরূপ সুন্দর মাধুরী লেকের পূর্বনাম ‘সাঙ্গেস্তার’। তাওয়াং থেকে বাইশ কিলোমিটার গিয়ে ‘Y’ জংশন বলে একটা জায়গায় রাস্তা দু-ভাগ হয়ে গিয়েছে। এখান থেকে বাঁদিকে পনেরো কিলোমিটার গেলে বুম-লা, আর ডানদিকে ষোলো কিলোমিটার দূরত্বে মাধুরী লেক। Y জংশনে আর্মি চেকপোস্টে পারমিট দেখিয়ে আমরা বুম-লার পথ ধরলাম। চেকপোস্টের কয়েক কিলোমিটার আগে মেটাল রোড শেষ হয়ে পাথরের উঁচু-নিচু রাস্তা শুরু হয়েছিল, আর এবার শুরু হলো মাটি-পাথরের কাঁচা রাস্তা। অতিরিক্ত বরফ পড়ার কারণে এই রাস্তা বছরে ছ-মাস বন্ধ থাকে। এবছর মাত্র কয়েক দিন হলো রাস্তা খুলেছে। পাশাপাশি দুটি গাড়ি যাতায়াতের মতো চওড়া করে রাস্তাকে বরফমুক্ত করা...
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹100/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in
