১৯৭৭ সালের জুন মাস। বাবা ও মায়ের সাথে জয়রামবাটী মাতৃমন্দিরের অতিথিভবনে

১৯৭৭ সালের জুন মাস। বাবা ও মায়ের সাথে জয়রামবাটী মাতৃমন্দিরের অতিথিভবনে আছি। তখন সেখানে শ্রীশ্রীমায়ের দুই প্রিয় সন্তান স্বামী পরমেশ্বরানন্দ (কিশোরী মহারাজ) এবং তদানীন্তন মহন্ত স্বামী গৌরীশ্বরানন্দ (রামময় মহারাজ) রয়েছেন। রামময় মহারাজ প্রায়ই বিকালে আমাদের সঙ্গে করে গল্প করতে করতে কখনো আমোদরের পাড়ে, কখনো মায়ের পুরানো বাড়ি, নতুন বাড়ি, কখনো বাঁড়ুজ্যেপুকুর বা সিংহবাহিনী-মন্দিরে যেতেন। একদিন বাবাকে বললেন : “চলুন, আজ আপনাদের কিছু ঐতিহাসিক জিনিস দেখাই।” তিনি আমাদের নিয়ে এলেন তখনকার সাধুনিবাসের দোতলার একটি ঘরে। সেখানে কয়েকটি পুরানো টিনের ট্রাঙ্কে রাখা শ্রীশ্রীমায়ের ব্যবহৃত কিছু জিনিস আমাদের দেখার এবং স্পর্শ করার পরম সৌভাগ্য হলো। মনে পড়ে, সেই জিনিসগুলির মধ্যে একটি খুবই মলিন ও শতছিদ্র গায়ের চাদর দেখিয়ে রামময় মহারাজ বললেন : “এই চাদরটির ইতিহাস শুনবেন? আমি স্কুলে পড়ার সময় থেকেই মায়ের কাছে আসা-যাওয়া করতাম আর কিছু কাজ-টাজ করে দিতাম। একদিন মায়ের এই ট্রাঙ্কটি গোছাতে গিয়ে এই শতছিদ্র চাদরটি চোখে পড়ল। এটি অন্যান্য কিছু অদরকারি জিনিসের সাথে ফেলে দেব কি না মাকে জিজ্ঞেস করতেই মা প্রায় কেঁদে উঠলেন! আর বললেন, ‘রামময়, এটি ফেলোনি। চাদরটি আমায় খুকি (ভগিনী নিবেদিতা) দিয়েছিল। যখনি এটি ব্যবহার করতুম ওর কথা খুব মনে পড়ত। তাই এটি এখনও রেখে দিইছি’।” এই বলে রামময় মহারাজ থামলেন। তখন আমাদের চারজনেরই চোখে জল। ভাস্কর রায়চিত্তরঞ্জন পার্ক, নিউ দিল্লি

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹120/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in