কাশী শহরে সেই সুদূর অতীত থেকে একদিকে যেমন নবরাত্রির উৎসব পালিত হয়,
কাশী শহরে সেই সুদূর অতীত থেকে একদিকে যেমন নবরাত্রির উৎসব পালিত হয়, তেমনি শক্তির আরাধনাও হয় ঘরে ঘরে। উত্তরভারতে নবরাত্রি এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। আবার কাশীর বাঙালিদের দুর্গোৎসবও অত্যন্ত জনপ্রিয় এক পার্বণ। দুর্গাপুজোয় বিধিবৎ পূজার পাশাপাশি আছে উৎসবের দিকও। কাশী শহরে পূজা আর উৎসব মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বারোয়ারি দুর্গাপুজোর বিবর্তন এক চিত্তাকর্ষক ইতিহাসে সমৃদ্ধ। ১৯২১ সালে জমিদারদের বাড়ির এবং মন্দিরের গর্ভগৃহের দুর্গাপুজো থেকে সর্বজনীন দুর্গোৎসব করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে কাশীর বাঙালি সমাজ। এই সর্বজনীন দুর্গাপুজোর কাহিনিতে আসার আগে ফ্ল্যাশব্যাকে চলে যাওয়া যাক এক মহীয়সী নারীর কথায়। তিনি রানি ভবানী। নাটোরের এই বাঙালি নারী অষ্টাদশ শতাব্দীতে কাশীতে নিজের বাড়িতে একটি দুর্গামন্দির স্থাপন করেছিলেন, যেটা আজ ‘দুর্গাকুণ্ড’ বলে পরিচিত। ইন্দোরের রানি অহল্যাবাই হোলকারের কথা আমরা জানি, যিনি কাশীতে বিশ্বনাথের মন্দির নির্মাণ করেছিলেন, যেখানে সকলের প্রবেশ অবাধ। ঠিক তেমনই রানি ভবানীর নির্মিত এই দুর্গাকুণ্ডে আমজনতার প্রবেশ অবাধ। রানি ভবানীর প্রতিষ্ঠিত পুরানো দুর্গাবাড়িতে দুর্গামন্দির প্রকৃতপক্ষে সর্বজনীন দুর্গাপুজোর উৎস। এটি চৌষট্টিযোগিনীর ঘাট থেকে খানিকটা দূরে। ১৭৬৭ সালে এই মন্দিরটি নির্মিত হয়। দেবী দুর্গার মাটির মূর্তি নাকি সেই সময়কার, তবে প্রয়োজনে প্রতি বছর দুর্গাপুজোর আগে দেবীর গায়ে নতুন মাটি ও রং চড়ানো হয়। মা দুর্গার বামপাশে কষ্টিপাথরের প্রাচীন নারায়ণমূর্তি। ডানদিকে আছেন মা অন্নপূর্ণা আর সিদ্ধিদাতা গণেশ। প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় পুজো ও আরতি হয়। মা দুর্গার সেবা করেন এক মহিলা। সকাল-সন্ধ্যায় পূজারি এসে পূজা ও আরতি করে যান। এই প্রসঙ্গে লোলার্ককুণ্ডের পশ্চিমে দুর্গাকুণ্ডের লাগোয়া পুরাণ-প্রসিদ্ধ প্রাচীন দুর্গামন্দিরের কথাও উল্লেখ করতে হয়। বর্তমান মন্দির অষ্টাদশ শতাব্দীতে তৈরি। রানি ভবানী এই মন্দিরটিও তৈরি করেন। কাজেই দুর্গাবাড়ি আর দুর্গাকুণ্ডের দুর্গামন্দির কিন্তু পৃথক। লোলার্ককুণ্ডের মন্দিের একসময় প্রচুর বাঁদর ছিল, এখনো রয়েছে। ইউরোপীয়রা একে বলত ‘মাঙ্কি টেম্পল’। মঙ্গলবার এবং শনিবার এইসব মন্দিরে খুব ভিড় হয়। রানি ভবানী কোন যুগের! তারপরে গঙ্গায় কত স্রোত বয়ে গেছে। শিবের আনন্দকাননে...
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹120/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in
