রাস্কিন বন্ড কয়েকটি প্রজন্মের আবেগ। জন্ম ১৯ মে ১৯৩৪, হিমাচলপ্রদেশের কসৌলিতে।
রাস্কিন বন্ড কয়েকটি প্রজন্মের আবেগ। জন্ম ১৯ মে ১৯৩৪, হিমাচলপ্রদেশের কসৌলিতে। রচনা করেছেন বহু ছোটগল্প, উপন্যাস, কবিতা, শিশুসাহিত্য। তাঁর লেখা Our Trees Still Grow in Dehra বইটির জন্য তিনি ১৯৯২ সালে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান। ১৯৯৯ সালে পদ্মশ্রী এবং ২০১৪ সালে পদ্মভূষণ সম্মান লাভ করেন। The Room on the Roof তাঁর অন্যতম জনপ্রিয় উপন্যাস। ভারতবর্ষকে ভালবেসে ভারতের মানুষের প্রেমে পড়ে গেছেন তিনি। তাই হয়তো বিদেশে গিয়েও থাকতে পারেননি বেশি দিন। ৯১ বছরের এই শিশুটির ব্যবহার সারল্যে পূর্ণ, স্বাভাবিক বৈরাগ্যদীপ্ত। ভালবাসেন হিমালয়। বিবাহ করেননি। রাকেশ তাঁর দত্তক পুত্র ও বীনা পুত্রবধূ। তাঁরাই তাঁর দেখাশোনা করেন। মুসৌরীর মল রোডের কোলাহল থেকে বিচ্ছিন্ন ল্যান্ডোরের আইভি কটেজে এই সাক্ষাৎকারটি একান্ত হঠাৎ না হলেও খুব একটা পূর্বপরিকল্পিতও ছিল না। কেদারনাথ ধাম দর্শনের পরে টিহরীর ‘সারদা তপোবন’-এ আসা হয়েছিল নির্জনবাসের উদ্দেশ্যেই। কিন্তু হঠাৎই এই সুযোগ উপস্থিত হলো। তাই এটিকে ঠিক সাক্ষাৎকার না বলে একান্ত আলাপচারিতা বলাই ভাল। কথোপকথনের ছন্দও তাই-ই বলে—শহুরে ইটের গোছানো সারি নয়, বরং ল্যান্ডোরের এলোমেলো ডালপালা মেলে ধরা কোনো এক ওকগাছ। তাই কথোপকথনের স্বাভাবিকত্ব বজায় রাখতেই অনুবাদে সমসাময়িক কথ্যভঙ্গিমার অনুকৃতি এবং কিছু ইংরেজি শব্দের অনুপ্রবেশ। আর্যেশানন্দ : আপনার লেখা যেন স্মৃতিপথ দিয়ে হেঁটে চলা। সেই স্মৃতির ভিড়ে এমন কোনো স্মৃতি কি জ্বলজ্বল করছে, যেটা বলছে—হ্যাঁ, আমি একজন লেখক। এবার আমি লিখবই? রাস্কিন বন্ড : বেশ, বেশ। আসলে আমি যখন স্কুলে পড়ি তখন থেকেই লেখালেখিতে খুব আগ্রহী। ছোট গল্পটল্পও লিখতাম। তবে মনে হয় স্কুলজীবন শেষ হতেই লেখক হওয়ার বাসনাটা দৃঢ় হয়। লেখালেখির ভাবনাটা আমাকে যেন পেয়ে বসেছিল, ধীরে ধীরেই বলা যেতে পারে। তা অন্যান্য লেখকের বইয়ের দৌলতেই হোক বা আমার বাবার একান্ত ইচ্ছেতেই হোক। স্কুলে ভরতি হওয়ার আগেই আমার বাবা আমাকে পড়তে ও লিখতে শিখিয়ে দিয়েছিলেন। এবিষয়ে তাঁর ভূমিকা মানতেই হবে। তারপর লিখতে শুরু করলাম—মূলত ভালবাসার টানেই। রোজগার-পাতি সেখান থেকে হচ্ছিল না, তাই আমার কেমন একটা...
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹120/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in
