স্বামী বিবেকানন্দ প্রবর্তিত বাংলা পত্রিকা উদ্বোধন ১২৫ বছরে পদার্পণ করেছে। নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রকাশিত উদ্বোধন এক অনন্য গৌরবের অধিকারী। উদ্বোধন শুধুমাত্র ধর্মীয় পত্রিকা নয়।

স্বামী বিবেকানন্দ প্রবর্তিত বাংলা পত্রিকা উদ্বোধন ১২৫ বছরে পদার্পণ করেছে। নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রকাশিত উদ্বোধন এক অনন্য গৌরবের অধিকারী। উদ্বোধন শুধুমাত্র ধর্মীয় পত্রিকা নয়। স্বামী বিবেকানন্দের নির্দেশে ধর্ম ছাড়াও দর্শন, ইতিহাস, সাহিত্য, সমাজতত্ত্ব, বিজ্ঞান, শিল্পকলা ও লোকসংস্কৃতি বিষয়ক ইতিবাচক আলোচনা নিয়মিতভাবে উদ্বোধন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে চলেছে। উদ্বোধন সংকীর্ণ ধর্মীয় মতবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে না। ভারতের জনজীবনে সম্মিলিত বহুত্ববাদ উদ্বোধন পত্রিকার প্রকাশনার ধারায় গতিবেগের সঞ্চার করেছে। শ্রীরামকৃষ্ণ আদি শক্তি। তিনি জগতের কল্যাণের জন্য আবির্ভূত হয়েছিলেন এবং মানবদেহ আশ্রয় করে লীলা করেছেন। ফলত শ্রীরামকৃষ্ণ যে সকল ধর্মমতের মধ্যে শক্তিসঞ্চার করে তাদের সমন্বয়ধর্মী করে তুলবেন তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। স্বামী বিবেকানন্দের ভাষায়—“The real thing is the Religion taught by Sri Ramakrishna; let the Hindus call it Hinduism, and others call it in their own way.” শ্রীরামকৃষ্ণ এই কঠিন কাজটি তাঁর শক্তি, জ্ঞান, প্রেম ও সেবার দ্বারা সম্পন্ন করেছেন। একইসঙ্গে তিনি তাঁর কর্মধারাকে তাঁর শিষ্য ও প্রশিষ্যের মাধ্যমে প্রসারিত করেছেন। স্বামী বিবেকানন্দ অবহিত ছিলেন যে, আগামী পৃথিবীর মানুষ যদি রামকৃষ্ণ-সংস্কৃতিকে স্বেচ্ছায় গ্রহণ করে তবে নিজেদের রক্ষা করার উপায় খুঁজে পেতে পারে। উদ্বোধন প্রকাশনার মধ্য দিয়ে স্বামী বিবেকানন্দ সেই সংস্কৃতির বিস্তার চেয়েছিলেন, যা আজও অব্যাহত আছে। ভারতীয় জীবনে স্বামী বিবেকানন্দ সার্বভৌমিক সম্পদ প্রত্যক্ষ করেছিলেন। তাঁর চেতনায় ধরা দিয়েছিল প্রকৃতির সঙ্গে যুগযুগান্তরব্যাপী সংগ্রামী ভারতবাসীর সংগৃহীত রাশীকৃত জয়পতাকা। স্বামী বিবেকানন্দের মতে, দেশকালের বাধা তুচ্ছ করে কোনো এক অনির্বচনীয় সূত্রে ভারতীয় চিন্তা-রুধির অন্য জাতির ধমনিতে প্রবাহিত হয়েছে এবং এখনো সে-ধারায় ছেদ পড়েনি। অতি প্রাচীনকালে ভারতীয় দর্শনের সঙ্গে গ্রিক উৎসাহের সম্মিলনে রোমক ও ইরানি মহাজাতিবর্গের অভ্যুদয় হয়েছিল। আলেকজান্ডারের দিগ্বিজয়ের পর যে সংঘর্ষ উপস্থিত হয়েছিল, তার ফলে উত্থিত যিশুখ্রিস্টের অধ্যাত্মতরঙ্গরাজি মানুষের মনোভূমিকে প্লাবিত করেছিল। পরবর্তী সময়ে আরবদের অভ্যুদয়ের সঙ্গে পুনরায় যে মিশ্রণ সংগঠিত হয় তা আধুনিক ইউরোপের সভ্যতার ভিত্তিস্থাপন করে। স্বামী বিবেকানন্দের প্রত্যাশায় বর্তমান সময়ে পুনরায় প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য নামের মহাজলপ্রপাতের সম্মিলনকাল...

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in