সেখানে কিছুক্ষণ সময় কাটালে মনে সত্যিই এক অপূর্ব আধ্যাত্মিক অনুভূতি ও আনন্দলাভ
উদ্বোধন-এর গত আষাঢ়ের মতো শ্রাবণ ১৪৩২ সংখ্যাটিও পুরীর জগন্নাথকে নিয়ে আধারিত। স্বামী সংসেব্যানন্দের লেখা ‘পুরীতে সাধকবৃন্দ’ আলোচনাটি হৃদয়গ্রাহী। এই প্রবন্ধে নারদীয় ভক্তিসূত্র-এর কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে—ভক্তগণের সংস্পর্শে তীর্থ মর্যাদালাভ করে। লেখক তাঁর তথ্য-সম্বলিত মূল্যবান রচনায় একথার যথার্থতা প্রমাণ করেছেন। শঙ্করাচার্য যে কুপথগামীদের সংস্কারে প্রবৃত্ত হয়েছিলেন, সেকথা জানলাম। পুরীর শঙ্করাচার্য মঠে আমি গিয়েছি। সেখানে কিছুক্ষণ সময় কাটালে মনে সত্যিই এক অপূর্ব আধ্যাত্মিক অনুভূতি ও আনন্দলাভ হয়। সালবেগের স্বপ্নদর্শন ও জগন্নাথভক্তির কথা জানতে পেরেও সমৃদ্ধ হলাম। সালবেগের আকর্ষণে জগন্নাথের রথ তাঁর কুটিরের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে—এঘটনা আমাদের হৃদয়কে আপ্লুত করে। পুরীতে বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীর দরিদ্রভোজনের কথা আগে পড়েছি, কিন্তু এত বড় সেবাযজ্ঞ কীভাবে সংগঠিত করেছিলেন তা পড়ে বিস্ময় জাগে। প্রিয়ম মজুমদারের লেখাটিও মনোজ্ঞ। এটি যেকোনো তীর্থযাত্রীর পুরীদর্শনে কাজে লাগবে। তাঁর প্রবন্ধে পঞ্চসখার কথা খুবই আকর্ষণীয়। এটি আরো একটু বিস্তৃত হলে ভাল হতো। ‘গম্ভীরা’ শব্দটি আমরা ছোটবেলায় শুনেছি। বাঁকুড়া জেলার জগন্নাথপুরের বিখ্যাত রত্নেশ্বর শিবমন্দিরে সকলে জল ঢালতে যাওয়ার সময় বলত—‘গম্ভীরায় জল ঢালতে যাচ্ছি’। গম্ভীরা বলতে এখানকার অধিকাংশ মানুষজন রত্নেশ্বরকে বোঝেন। কিন্তু আসল অর্থ ছোট প্রকোষ্ঠ। লেখক এখানে সুন্দরভাবে সেটি বুঝিয়ে দিয়েছেন। যবন হরিদাসের সমাধিলাভের ঘটনাটি নতুনভাবে জানতে পারলাম। স্বামী পরাশরানন্দের ‘রথের সেকাল-একাল’ প্রবন্ধে কঠোপনিষদ-এ বিধৃত রথ-রথীর তত্ত্বটি ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে দেহ-মন, জীবাত্মা-পরমাত্মা নিয়ে আলোচনাটি খুবই মনোগ্রাহী। স্বামী প্রজ্ঞেশানন্দ ‘শ্রীক্ষেত্রে শক্তিক্ষেত্রে’ আলোচনায় দেবী কালী ও শ্রীক্ষেত্রের অঙ্গাঙ্গী সম্বন্ধের কথা বিশদভাবে বলেছেন। এসব লেখা নির্বাচনের জন্য সম্পাদক মহারাজকে অশেষ ধন্যবাদ। অশোকানন্দ রায়আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান-৭১৩৩২৬
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹120/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in
