আবার দক্ষিণদ্বারের দুপাশে দৃষ্টি আকর্ষণ করে অশ্বারোহী, সমরসাজে সজ্জিত কৃষ্ণ ও

[পূর্বানুবৃত্তি : শ্রাবণ সংখ্যার পর]।।২।। আবার দক্ষিণদ্বারের দুপাশে দৃষ্টি আকর্ষণ করে অশ্বারোহী, সমরসাজে সজ্জিত কৃষ্ণ ও বলরামের মূর্তি। সাম্প্রতিক কালের এই মূর্তি-দুটি কিন্তু সেযুগের কাঞ্চীজয়ের স্মৃতিতে তৈরি করা হয়েছে। বাহির প্রাঙ্গণের দক্ষিণ অঞ্চলে ষড়ভুজ গৌরাঙ্গের মন্দিরটি আকর্ষণীয়। পথের ডানদিকে থাকা এই মন্দিরে আছে ছয় হাতবিশিষ্ট শ্রীচৈতন্যের নিমকাঠের মূর্তি। শ্রীমন্দিরের একজন সেবায়েত স্বপ্নাদেশ পেয়ে রাজার সহায়তায় এই মূর্তি তৈরি করান। ডানদিকে আছে নৃসিংহ ও রামচন্দ্রের মন্দির। রামচন্দ্রের মন্দিরে রাম, লক্ষ্মণ, সীতার সাথে সুগ্রীব ও হনুমানেরও দর্শন মেলে। বামদিকের মন্দিরগুলিতে রয়েছেন বারো ভাই হনুমান, গুরুণ্ডী গোপাল, পুরাণ নৃসিংহ বা কল্কি অবতার নৃসিংহ, বুড়িমাপ্রমুখ। ভোজন ও উৎসবের ধাম বাহির প্রাঙ্গণের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে, মেঘনাদ প্রাচীরের কাছে ১৫০ ফুট × ১০০ ফুট মাপের প্রকাণ্ড রান্নাঘরটি আরেক বিস্ময়ের। ভগবান নারায়ণ পুরীধামে ভোজন করেন, তাই জগন্নাথদেবের মহাপ্রসাদকে অতীব পবিত্র বলে মান্য করা হয়। তুলনামূলকভাবে ক্ষুদ্রায়তন প্রধান রান্নাঘরটি এককালে সত্যনারায়ণ-মন্দিরের পিছনে ছিল।৯ রাজা দিব্যসিংহদেবের আমলে বর্তমানের বিখ্যাত রান্নাঘরটি তৈরি হয়। আবার বাহির প্রাঙ্গণেরই উত্তর-পূর্ব দিকে আছে আনন্দবাজার (২৬০ ফুট × ২০০ ফুট), যেখানে ভক্তদের জন্য মহাপ্রসাদ বিক্রয় হয়। আনন্দবাজারের পিছনে, মেঘনাদ প্রাচীরের কাছে বেশ উঁচু স্নানমণ্ডপ বা স্নানবেদি, যেখানে স্নানযাত্রার মূল প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। রাস্তা, পার্শ্ববর্তী বাড়ির ছাদ থেকে ভক্তরা এই পবিত্র অনুষ্ঠান চাক্ষুষ করে। আনন্দবাজারের দক্ষিণ-পূর্ব কোণের চাহনিমণ্ডপ থেকে দেবী লক্ষ্মী প্রভু জগন্নাথের বহুড়া যাত্রা প্রত্যক্ষ করেন। জগন্নাথের আঙিনা এবার শ্রীমন্দিরের চারপাশে থাকা মন্দিরগুলি দেখার পালা। পূর্বদিক থেকে কূর্ম বেড় পেরিয়ে ভিতর অঙ্গনে প্রবেশের আগে, বাঁদিকে আছে দেবী ঘণ্টেশ্বরী ও গর্বগঞ্জন মহাদেবের মন্দির। প্রাঙ্গণে ঢুকে বামদিকে ঘুরে পরিক্রমা শুরু করাই রীতি। শুরুতেই বামদিকে, মন্দিরের রান্নাঘরে যাওয়ার পথের আগে অগ্নীশ্বর মহাদেবের মন্দির। ইনি একাধারে কূর্ম বেড় এবং রান্নাঘরের অগ্নির রক্ষক। বলা হয়, যদি কোনো ভোগ সঠিকভাবে রান্না না হয়ে থাকে, তবে ভোগমণ্ডপে যাওয়ার পথে অগ্নীশ্বর মহাদেবের আশীর্বাদে তা সম্পূর্ণরূপে রান্না হয়ে যায়। ভিতর প্রাঙ্গণের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে ২৫ ফুট উচ্চতার...

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹120/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in