আমরা প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মাঝেই জীবনযাপন করি, কিন্তু সাধারণত তা
আমরা প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মাঝেই জীবনযাপন করি, কিন্তু সাধারণত তা স্বীকার করি না। কারণ, আমরা চাই না সচেতন মনে অনিশ্চয়তা জন্ম নিক। অথচ এই অনিশ্চয়তা—যেমন ভবিষ্যতে কোনো ভয়াবহ ঘটনার আশঙ্কা—আমাদের মনের উপরিতলের ঠিক নিচেই অবস্থান করে। যেন আমরা সমুদ্রে সঁাতার কাটছি আর অবচেতনে টের পাচ্ছি—নিচে হাঙর ঘুরে বেড়াচ্ছে! এই অস্পষ্ট অস্বস্তি ও অনিশ্চিত আশঙ্কাকে যখন আমরা স্বীকার করি না বা বিশ্লেষণ করে দেখি না, তখন উদ্বেগে ভুগি, কারণ আমরা সবকিছু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাই। অথচ বাস্তবে সেটি অসম্ভব। তবুও আমরা চেষ্টা করতে ছাড়ি না। আসল কথা হলো, জীবনে আমরা খুব সামান্যই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি—সম্ভবত আমাদের মন ছাড়া আর কিছুই নয়। বাস্তবতাকে আমরা জানি, তবু আমাদের অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা যখন ঘটে যেতে দেখি, তখন দারুণভাবে বিচলিত হয়ে পড়ি। আমরা কখনোই অনাকাঙ্ক্ষিত বাস্তবকে প্রত্যাশা করি না। কেউ বাড়ি থেকে কখনো বের হয় না এই ধারণা নিয়ে যে, আজই তার গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়বে। কেউ আশা করে না যে, হঠাৎ ফোনে শুনতে হবে—তার জীবনসঙ্গী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। কেউ চায় না যে, হঠাৎ পড়ে গিয়ে তার পা বা ঘাড় ভেঙে যাবে। কেউ চিকিৎসকের কাছে যায় না এই ধারণা নিয়ে যে, মারাত্মক রোগে সে আক্রান্ত হয়েছে। কেউ ভাবে না, তার বাড়িতে আগুন লেগে যেতে পারে বা হঠাৎ করে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হতে পারে। আমরা চাই না অথচ এমন ঘটনা তো ঘটতেই পারে—এটা জানার পরেও যখন তা ঘটে যেতে দেখি, তখন ভীষণ মর্মাহত হই। সবকিছুই অত্যন্ত অন্যায় বলে মনে হয়। কেন আমার সঙ্গেই এমন হলো?—এই প্রশ্ন ঘুরতে থাকে মনে। কখনো ভাবি না—আমার সঙ্গে হবে নাই বা কেন? যদিও জীবন মাত্রেই অনিশ্চয়তাময়, তবুও আমরা যেন চোখে অদৃশ্য কাপড় বেঁধে রাখি আর সানন্দে ধরে নিই—সবকিছু আগের মতোই ভালভাবে চলবে এবং চলা উচিত। এমন কঠিন বাস্তবতা প্রবলভাবে অনুভূত হয়েছিল সান্তা বারবারায়, যখন ২০১৮ সালে এক বিধ্বংসী দাবানলের...
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹120/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in
