যা পূর্ণ, তাকে আর ভরিয়ে তোলা যায় না, তাকে প্লাবিত করা চলে। বর্ষার সঘন অভিসার ভরা আষাঢ়কে ভাসিয়ে নিয়ে চলে নদীর কূলে কূলে। জলভারক্লান্ত মেঘেরা দুরুদুরু আলাপে নিজেদের বাঁধন ভেঙে নেমে আসে মাটির বুকেতে।
যা পূর্ণ, তাকে আর ভরিয়ে তোলা যায় না, তাকে প্লাবিত করা চলে। বর্ষার সঘন অভিসার ভরা আষাঢ়কে ভাসিয়ে নিয়ে চলে নদীর কূলে কূলে। জলভারক্লান্ত মেঘেরা দুরুদুরু আলাপে নিজেদের বাঁধন ভেঙে নেমে আসে মাটির বুকেতে। পুকুর-দিঘিরা সীমারেখাকে মিশিয়ে দেয় দিগন্তের কানায় কানায়। বর্ষা তাই সব ছাপানোর প্রতীক। ধরা জুড়ে যেমন সবুজ তৃণ হাসতে হাসতে গালিচা বুনে চলে, তেমনই নববর্ষার পরশ পেয়ে কবি-সাহিত্যিকদের হৃদয়ে শ্যামলিমা অঙ্কুরিত হয়ে ওঠে। তাই অতি প্রাচীন কাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত কালিদাস, বিদ্যাপতিদের হাত ধরে নব নব বিভঙ্গে সাহিত্যে বর্ষা ধারা ঝরিয়েছে। মেঘ ও বৃষ্টি কখনো বিরহের শূন্যতায় ধূসর হয়ে পড়েছে তো কখনো প্রেমের রমণীয়তায় বর্ণিল হয়ে উঠেছে। আবেগকে মথিত করে জীবনের ভাবনায় বেগ এনে দিয়েছে আষাঢ়-শ্রাবণ। বর্ষার ভাস্কর্য যেভাবে পাথরের কোলে শুকিয়ে আসা সোঁতাকে উচ্ছল-যৌবনা স্রোতস্বিনী করে তোলে, তাতে জীবনের দ্রুতি ব্যক্ত হয়। তখন খেতে খেতে শস্যের জন্ম হয়; শাখায় শাখায় ফুলেরা শোভা-বিস্তার করে; প্রাণে প্রাণে সচ্ছলতার আশা ফুটে ওঠে। আর সাহিত্যসেবীদের ভাবুক মনে নতুন কল্পলতা আকাশের পানে চেয়ে থাকে নতুন মেঘবার্তা শুনবে বলে।
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹100/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in