রাত নেমেছে নদীপাড়-জুড়ে। নীলচে গাঢ় ঘোমটায় মুখ ঢেকে রেখেছে আদিগন্ত বালুচর। নদী

রাত নেমেছে নদীপাড়-জুড়ে। নীলচে গাঢ় ঘোমটায় মুখ ঢেকে রেখেছে আদিগন্ত বালুচর। নদী আপন মনে বুনে চলেছে নিঝুম রাত-কথা। তার কতক বেজে বেজে উঠছে কলকল জল-নূপুরের সুরে ও ছন্দে। দৈনিক ক্লান্তির কলরবকে রাত্রি তার আদুরে মোহজালে বেঁধে রাখে। আদরে ঘুম এসে যায়, তাই রাতের স্নেহকে আর বুঝে ওঠা হয় না। কেবল কিছু কবি আছেন, যাঁরা রাতের সৌন্দর্যেই নৌকা ভাসান নদীবুকে; নিস্তব্ধ গাম্ভীর্যে খুঁজে পান অন্তরের অনুরণন। সেখানে তাঁর প্রাণের আরোহণ-গান সুর তোলে অবিরাম, ফেনায়িত হয়ে ওঠে মননের সুখ-জাগরণ। বেদে ঋষিকে ‘কবি’ বলা হয়েছে। সমস্ত জগৎ জীবনধারণে যখন দিনের আলোকেই কর্মপ্রেরণা বলে মনে করে, উদাসীন ঋষিরা তখন নিবৃত্ত থাকেন। দিনগত কর্মক্লান্তি যখন রাতের ঘুমঘুম চাদরের নিচে আশ্রয় পায়, তখন সংযতচিত্ত সেই ঋষিদের আপন চারণভূমি অবারিত হয়। নিশামণির শীতলতায় তাঁরা খুঁজে পান হৃদয়ের উষ্ণতা। তাঁর তরীর অভিমুখিত উত্তরণ তাই সেই রাত-জাগা ধ্যানমন্দিরে—অন্তর্লোকে। 

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in