নিজেদের মধ্যে একটা অসম্পূর্ণতার ভাব রহিয়াছে বলিয়াই আমরা এক সম্পূর্ণ, আদর্শ

নিজেদের মধ্যে একটা অসম্পূর্ণতার ভাব রহিয়াছে বলিয়াই আমরা এক সম্পূর্ণ, আদর্শ সত্তার চিত্র নিজেদের সম্মুখে রাখিতে চাহি। আমরা যথার্থ কে, কী করিতেছি, কেন করিতেছি, তাহার পরিণামই বা কী, জীবনে তাহার কোনো তাৎপর্য আছে কি না—এসকল স্পষ্ট বোঝা যেহেতু সহজ নহে, তাই জীবনে যাহা হইতে চাহি তাহার একটি আদর্শ চিত্র অঙ্কন যত্ন সহকারে করা প্রয়োজন। কিন্তু এই পদক্ষেপে অনেক সময় আমরা ভুল করিয়া থাকি। এমন এক অলীক সত্তার কল্পনা করিয়া নিজেদের সম্মুখে ধরিয়া রাখি, যাহা আমাদের নাগালের বাহিরে! এমনকী আমরা কল্পনায় নিজেদের এমন একটি আদর্শ সত্তায় উত্তোলিত করি, যাহা মনের মধ্যে আশা ও অনুপ্রেরণার জন্ম দেয়। কারণ এই কল্পনায় সবকিছুই আমরা একটু অতিরিক্ত আকারে ভাবিতে পছন্দ করি। যেমন অর্থ, সম্পদ, দক্ষতা, বন্ধুত্ব, জনপ্রিয়তা—যে-ভাবেই আদর্শকে কল্পনা করিতে চাহি, তাহা হইয়া পড়ে বাস্তব হইতে অতিরিক্ত। আদতেও বাস্তবের সহিত তাহার কোনো সম্পর্ক থাকে না। আমরা কল্পনায় জীবনের প্রতিটি দিককে নিখুঁত করিয়া তুলিতে চাহি বলিয়াই বাস্তব আর আদর্শ সত্তার মধ্যে তৈরি হয় এক বিস্তর ব্যবধান—যে-ব্যবধান আমাদের মনের মধ্যে একসময় তৈরি করে আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হওয়ার হতাশা ও নেতিবাচক ভাবনা। তখন আদর্শ চরিত্রের কল্পনাই আমাদের মধ্যে তৈরি করে একধরনের মানসিক চাপ। আর অপূরণীয় প্রত্যাশা হইতে উদ্রেক হয় বিরক্তি। আসলে আশার পাহাড় তখন এতই বৃহৎ থাকে যে, আমাদের সীমাবদ্ধতাকে মন হইতে মানিতে পারি না। তাহা হইলে আদর্শ ও বাস্তব সত্তার মধ্যে যে ব্যবধান এবং সেখান হইতে উদ্ভূত সমস্যার নিরসন কীভাবে সম্ভব? এক্ষেত্রে আমরা দুইটি পন্থার আশ্রয় লইতে পারি—প্রথম, বাস্তবোচিত সিদ্ধান্তগ্রহণ এবং দ্বিতীয়, ধারাবাহিক এক প্রচেষ্টার অনুশীলন। আমরা বুঝিতে চাহি না—আদর্শ সত্তার মাপকাঠিতে যাহা আমরা প্রত্যাশা করি, তাহার সহিত বাস্তব জীবনের সামঞ্জস্য থাকা একান্ত প্রয়োজন। একারণেই সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ জরুরি। এখানেই বাস্তবতার সহিত লক্ষ্যের সম্পর্ক। যে-লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য আমাদের বাস্তব হইতে বিচ্যুত করিয়া থাকে, তাহা কাম্য হইতে পারে না। তাহা হইলে ভাবিতে হয়—সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ কীভাবে করিব? বিশিষ্ট...

Read the Digital Edition of Udbodhan online!

Subscribe Now to continue reading

₹100/year

Start Digital Subscription

Already Subscribed? Sign in