নদী এসে হারিয়ে যায় পারাবারে। আর সাধনার নানা মত ও পথ মিলেমিশে তৈরি হয়
নদী এসে হারিয়ে যায় পারাবারে। আর সাধনার নানা মত ও পথ মিলেমিশে তৈরি হয় শ্রীরামকৃষ্ণ-ভাবসাগর। সে-মহামিলনে সাধনার ধারা কিন্তু ফুরিয়ে যায় না; বরং আপন স্বকীয়তায় সমুজ্জ্বল থাকে। সে-সমাবেশে সিদ্ধি আছে; সমাপ্তি নেই। শ্রীরামকৃষ্ণ তাই সমন্বয়মূর্তি। রামকৃষ্ণ সংঘ অবতারবরিষ্ঠের ভাগবতী তনু। যুগাচার্য স্বামী বিবেকানন্দ সেই সংঘ স্থাপন করে তার প্রতীকে এঁকে দিলেন সমন্বয়ের বর্ণ। আর তাঁর অনুসারীদের জন্য স্থাপিত হলো চতুর্যোগের একীভূত সাধনা। সেখানে নব-কুসুমিত কমলের কোমলতায় ভক্তির হিল্লোল, রবিকরের দীপ্ত প্রকাশে জ্ঞানোন্মেষের সূচনা, ফেনায়িত তরঙ্গরাশিতে কর্মের চলমানতা আর কুণ্ডলায়িত সর্পে রাজযোগের সাধনা চিহ্নিত। হংসরূপী পরমাত্মা জীবকে তাঁর পথে প্রেরিত করে পরমহংস-পদবিতে উন্নীত করেন। যুগাবতার শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছেন : “যে সমন্বয় করেছে, সে-ই লোক।” স্বামীজীর এই পথ যিনি আপন করে নিয়েছেন, তিনি এযুগের প্রকৃত সাধক—শ্রীরামকৃষ্ণের অনুগামী। পরমহংসের শুভ্রতায় তাঁর জীবন আলোকিত।
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹100/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in