গ্রন্থটি মোট ছয়টি অধ্যায়ে বিভক্ত। অধ্যাত্মজগতের প্রতি নরেন্দ্রনাথের আকর্ষণ বাল্যকাল থেকে হলেও যৌবনে শ্রীরামকৃষ্ণের সান্নিধ্য লাভ করে তা যে বিকশিত হওয়ার মুখ দেখেছিল তার ধারাবিবরণ আছে গ্রন্থটির প্রথম অধ্যায়ে। ধীরে ধীরে নরেন্দ্রনাথ কীভাবে পূর্ণতা পেলেন, সেই আলোচনাই উঠে এসেছে দ্বিতীয় অধ্যায়ে।
নরেন্দ্রনাথ ‘স্বামী বিবেকানন্দ’ হয়ে ঠাকুরের বাণী প্রচারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। তৈরি হয়েছিল রামকৃষ্ণ সংঘ। তৃতীয় অধ্যায়ে এই বর্ণনা রয়েছে। চতুর্থ অধ্যায়ে লেখিকা আলোচনা করেছেন শ্রীরামকৃষ্ণ কীভাবে কাছে টেনে নিয়েছিলেন নরেন্দ্রনাথকে। পঞ্চম অধ্যায়ে আলোচনা করেছেন স্বামীজী যে প্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুিনক ভাবধারার সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন তাঁর ওপর। ষষ্ঠ বা অন্তিম অধ্যায়ে লেখিকা উদাহরণ দিয়েছেন স্বামী বিবেকানন্দের কিছু আধ্যাত্মিক শক্তি সম্পর্কে।
স্বামী বিবেকানন্দের বিভিন্ন গ্রন্থের পাঠ যে লেখিকাকে সমৃদ্ধ করেছে তা অত্যন্ত স্পষ্ট। ভাল হতো যদি তথ্যসূত্র এবং গ্রন্থপঞ্জির তালিকা থাকত। কিছু স্থানে ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে (‘Axiom’, পৃঃ ৪৭), সেখানে যথাযথ বাংলা শব্দ প্রয়োগ হলে ভাল হতো। গ্রন্থটি যখন চলিত ভাষায় রচিত, তখন অধ্যায়ের নামে ‘কতিপয়’ শব্দটি (ষষ্ঠ অধ্যায়) ব্যবহার করা কি ঠিক হয়েছে? মুদ্রণপ্রমাদ প্রায় নেই বললেই চলে। প্রচ্ছদটিও উপযোগী। লেখিকার কলমকে এবং বাঁধুনিকে কুর্নিশ।