ছোটদের নিয়ে আমি কিছু বলতে গেলেই হয়তো অনেকে হৈ-হৈ করে উঠতে পারেন—‘আপনার নিজের তো সংসার-সন্তানাদি নেই, আপনি আবার বাচ্চাদের বিষয়ে কথা বলার জন্য আদর্শ লোক হলেন কী করে, মহারাজ?’
আমরা প্রাপ্তবয়স্করা যেমন অধ্যাত্মচর্চা করছি, তার পাশাপাশি ছোটদের আমরা কীভাবে অধ্যাত্মপথে আসার জন্য প্রস্তুত করতে পারি? একদম ছোট বয়সের চঞ্চল মনকে আধ্যাত্মিকতা বোঝানো কি সম্ভব? ছোটদের নিয়ে আমি কিছু বলতে গেলেই হয়তো অনেকে হৈ-হৈ করে উঠতে পারেন—‘আপনার নিজের তো সংসার-সন্তানাদি নেই, আপনি আবার বাচ্চাদের বিষয়ে কথা বলার জন্য আদর্শ লোক হলেন কী করে, মহারাজ?’ কিন্তু মজার ব্যাপার কী জানেন, আমার সন্ন্যাসজীবনের বেশি সময়টাই কেটেছে ছোটদের সঙ্গে। সবে তখন সন্ন্যাসী হয়েছি। এমন একটা ধারণা নিয়ে বসে আছি যে, সন্ন্যাসজীবনে ধ্যান, জপ, শাস্ত্রপাঠ—এর বেশি আর কীই বা করতে বলা হবে আমায়! কিন্তু আমাকে প্রথম কোন কাজটা ধরানো হলো বলুন তো? একটা হোস্টেলে দশ বছর বয়সি চল্লিশটি ছেলের দেখভাল করা। চল্লিশ! কাজেই, ছোটদের সঙ্গে ঘর করার অভিজ্ঞতা আমার দীর্ঘদিনের। ওদের বিষয়ে একটা কথা খুব ভাল করে বুঝতে হবে আমাদের এবং খেয়াল রাখতে হবে—ছোটরা কিন্তু কথা শোনার চেয়ে বরং অনুকরণ করে বেশি। শিশুমনোবিদরাও বলেন, শৈশব থেকে কৈশোর অবধি বাচ্চারা যাকিছু শেখে, বেশিটাই অনুকরণের মাধ্যমে; তখন কথা মোটে শোনে না। কিশোরবয়সে এসেও অবশ্য শোনে না, সে অন্য প্রসঙ্গ। যাই হোক, যেটা বলছিলাম। প্রথম কথা হচ্ছে—ছোটরা যে পরিবারে, স্কুলে, সমাজে বড় হয়ে উঠছে, সেই পরিসরে আমরা বড়রা কী করছি? আমরা যা করব, ওরাও কিন্তু তাইই অনুকরণ করবে। সেই কারণে, পরিবারে একটা আধ্যাত্মিক পরিবেশ থাকলে বড় হওয়ার পথে বাচ্চারা সেই ভাবটাকে চট করে ধরে নেয়। ওদের অদ্বৈত নিয়ে বড় বড় লেকচার দেওয়ার বা শিক্ষা দেওয়ার দরকার নেই; হয় কিচ্ছুটি বুঝবে না, নয়তো একটা সাংঘাতিক বিতৃষ্ণা তৈরি হবে বিষয়টার প্রতি। মানসিকভাবে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত না থাকলে, কোনো জিনিস—সে যতই হিতকর হোক—আমাদের ওপর জোর করে চাপিয়ে দিলে সে-সম্বন্ধে একটা বিরক্তি চলে আসে অনেক সময়। আবার অনেক সময় দেখা যায়, গল্পচ্ছলে এসব কথা বললে ওরা কখনো কখনো উৎসাহ নিয়ে শোনে… যদি দেখেন, ওরা সত্যিই আগ্রহ পাচ্ছে বিষয়টায়, তাহলে অবশ্যই...
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹100/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in