মানুষটি কী যেন খোঁজে, ভূত যেন সঙ্গী চায়,
কাউকে সেরকম বুঝলে ‘সন্দেশটুকুন খাও’,
মানুষটি কী যেন খোঁজে, ভূত যেন সঙ্গী চায়,কাউকে সেরকম বুঝলে ‘সন্দেশটুকুন খাও’, বলেতা প্রায় তার মুখে পুরে দেয় আরগপ্পো করে—বুঝে নেয় জমিনটা কেমন!মিষ্টি কথায় ‘আবার এসো’ বলতে ভোলে না।এমন মিঠে ডাক, যেন টানে—না গিয়েপারা যায় না। এরপর কাঠামোয় খড় বিছোয়,একেক করে এক-মাটি দো-মাটি,খড়ি রং—এই সব। সব নিজের হাতেএকলা করে—পাছে অন্যেরা গুলিয়ে দেয়!মাঝে মাঝে জিজ্ঞাসা করে—‘আর কোথাও যাও?’‘না’ বললে নিশ্চিন্তি। কেউ বলে ফেলে, ‘অমুকবাবুরলেকচারে যাব’। রাখঢাক না করে স্পষ্টই বলে দেয়‘আর ওখানে যেওনি।’ ভয়—ভাবভঙ্গ ছন্দপতনের ভয়!তারা যে নিখাদ তৈরি হবে!একান্ত আপনার হয়ে অতলে ডুবে যেতে হবেশুক্তি জলের গভীরে মুক্তো হয়ে যায়মথ প্রজাপতি হয়ে ডানা মেলে ফুলে ফুলে উড়ে বেড়ায়।শিল্পী মন তার। চিত্রকর তুলি হাতে কত ঢঙে গড়ে—শুধু তার কাছে নিজেকে ছেড়ে দিতে হবেএ দরজা দিয়ে ঢুকে ও দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাবেএক এক করে—কেউই আগের মানুষটি আর থাকে নাযেন অন্য মানুষ! কারিগর শুধু চেয়ে দেখে—‘আর কেউ কি এলো?’ একে-ওকে দেখতেবলে, ‘আর কেউ কি এলো?’ তার প্রত্যয়,জগদম্বা পাঠান, তবু ব্যস্ত, গোনা দিন যে বয়ে যায়…
Read the Digital Edition of Udbodhan online!
Subscribe Now to continue reading
₹100/year
Start Digital SubscriptionAlready Subscribed? Sign in