উৎসব-অনুষ্ঠান

রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম, সরিষা : গত ৩—৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহাসমারোহে বর্ষব্যাপী শতবর্ষ-জয়ন্তী উৎসবের সমাপ্তিপর্ব উদ্‌যাপিত হয়। তিনদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দজী মহারাজ। ৫ তারিখ শতাব্দী-ভবনের দ্বারোদ্ঘাটন এবং সমাপ্তি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সহাধ্যক্ষ পূজনীয় শ্রীমৎ স্বামী গিরিশানন্দজী মহারাজ। এই উৎসবের অঙ্গ ছিল শোভাযাত্রা, জনসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সাধু ও নারায়ণ সেবা প্রভৃতি। এই উপল‌ক্ষে একটি স্মারকগ্রন্থও প্রকাশিত হয়। অনুষ্ঠানে শত শত সন্ন্যাসী ও ব্রহ্মচারী, ভক্ত, ছাত্র ও অনুরাগী অংশগ্রহণ করেন।

রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ, দেওঘর : গত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সদ্যসমাপ্ত শতাব্দী-জয়ন্তী উৎসব উপল‌ক্ষে দেওঘর বিদ্যাপীঠ পরিদর্শন করেন। শতবর্ষ যাবৎ অত্যন্ত প্রশংসনীয় সেবাকাজের জন্য তিনি বিদ্যাপীঠের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।
রামকৃষ্ণ মঠ, দ‌ক্ষিণেশ্বর : গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ মহাশিবরাত্রি তিথিতে বেলুড় মঠের অধীনস্থ উপকেন্দ্র দ‌ক্ষিেণশ্বর মঠে সাধুনিবাসের দ্বারোদ্ঘাটন করেন স্বামী সুবীরানন্দজী মহারাজ।

রামকৃষ্ণ মিশন, লামডাং : গত ১০ ও ১১ মার্চ ২০২৩ নতুনভাবে সম্প্রসারিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উদ্বোধন করেন রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের সহাধ্যক্ষ পূজনীয় শ্রীমৎ স্বামী গৌতমানন্দজী মহারাজ এবং অরুণাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় প্রেমা খাণ্ডু। এই অনুষ্ঠানে যোগদান করেন কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রী মাননীয় কিরেন রিজিজু এবং রাজ্যের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী মাননীয় মামা নাটুং, শি‌ক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রী তাবা টেডির, ৮ জন বিধায়ক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। প্রথম পর্বে একটি শি‌ক্ষাবিভাগ, একটি গবেষণাগার তথা কার্য বিভাগ ও প্রশাসনিক বিভাগ নির্মিত হয়েছে। এছাড়াও স্বামীজীর একটি মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

রামকৃষ্ণ মিশন, আলমবাজার : ঐতিহাসিক আলমবাজার মঠ বেলুড় মঠ কর্তৃক সম্প্রতি অধিগৃহীত হয়েছে। এই উপল‌ক্ষে গত ১৮ মার্চ ২০২৩ আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের পূজনীয় সহাধ্যক্ষগণ যথাক্রমে শ্রীমৎ স্বামী গৌতমানন্দজী মহারাজ, শ্রীমৎ স্বামী সুহিতানন্দজী মহারাজ, শ্রীমৎ স্বামী ভজনানন্দজী মহারাজ ও শ্রীমৎ স্বামী গিরিশানন্দজী মহারাজ এবং সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দজী মহারাজ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

রামকৃষ্ণ মিশন, বিজয়ওয়াড়া : গত ২২ মার্চ ২০২৩ তেলেগু নববর্ষে বিশেষ পূজা, জনসভা প্রভৃতির মাধ্যমে বিজয়ওয়াড়া কেন্দ্রের সীতানগরম-প্রাঙ্গণে নবনির্মিত শ্রীরামকৃষ্ণ-মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রায় ২,০০০ ভক্ত এবং ৫০ জন সন্ন্যাসী ও ব্রহ্মচারী যোগদান
করেন।

রামকৃষ্ণ মঠ, চেন্নাই : গত ২৪ মার্চ ২০২৩ আশ্রম থেকে তামিল ভাষায় প্রকাশিত শ্রীরামকৃষ্ণ বিজয়ম পত্রিকার শতবর্ষপূর্তি উৎসবের অন্তিম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এই উপল‌ক্ষে সারাদিনব্যাপী জনসভা, যুব ও মহিলা সম্মেলন, সংগীত প্রভৃতি অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২৫ ও ২৬ মার্চ দুদিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহাসমারোহে চেন্নাই মঠের ১২৫তম বর্ষপূর্তি উৎসব উদ্‌যাপিত হয়। পূজনীয় শ্রীমৎ স্বামী গৌতমানন্দজী মহারাজ, স্বামী সুবীরানন্দজী মহারাজ, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং সাধু-ব্রহ্মচারিবৃন্দ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। আয়োজিত বিশেষ সভায় শ্রীরামকৃষ্ণ, শ্রীমা, স্বামী বিবেকানন্দ, স্বামী রামকৃষ্ণানন্দ ও রামকৃষ্ণ সংঘ বিষয়ে আলোচনা হয়। সংগীত ও হরিকথা শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।
রামকৃষ্ণ মঠ, বেলুড় : গত ২৮ মার্চ ২০২৩ ভারতের রাষ্ট্রপতি মাননীয়া দ্রৌপদী মুর্মু বেলুড় মঠ পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল মাননীয় সি. ভি. আনন্দ বোস।

বহির্ভারত

বেদান্ত জেসেলস্‌চ্যাফ্ট (বেদান্ত সোসাইটি), বার্লিন : গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ কেন্দ্রটি বার্লিনের নতুন ঠিকানায় স্থানান্তরিত হয়েছে। এই কেন্দ্রের বর্তমান ঠিকানা : Vedanta Gesellschaft, Marienfelder Allee 73, 12277 Berlin, Germany.

রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, ঢাকা, বাংলাদেশ : গত ২১—২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শ্রীরামকৃষ্ণদেবের আবির্ভাব-উৎসবে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাননীয় আসাদুজ্জামান খান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মাননীয় ডঃ হাসান মাহমুদ ও কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি।

দেহত্যাগ

স্বামী তৃপ্ত্যানন্দ (নির্মল মহারাজ) গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সকাল ৭‌টা ১০ মিনিটে কলকাতার সেবাপ্রতিষ্ঠানে দেহত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। কয়েক বছর যাবৎ তিনি পার্কিনসন, থাইরয়েড, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন।

মহারাজ ছিলেন শ্রীমৎ স্বামী শঙ্করানন্দজী মহারাজের মন্ত্রশিষ্য। ১৯৫৬ সালে বিশাখাপত্তনম কেন্দ্রে তিনি যোগদান করেন এবং ১৯৭০ সালে শ্রীমৎ স্বামী বীরেশ্বরানন্দজী মহারাজের কাছ থেকে সন্ন্যাসলাভ করেন। তিনি বেলুড় মঠের চিকিৎসালয় এবং বিশাখাপত্তনম, চেন্নাই মঠ, কাশীপুর, বাগবাজার, শিলং, জলপাইগুড়ি, মুম্বাই ও দেওঘর কেন্দ্রে সেবাকাজ করেন। ২০০৭ সাল থেকে তিনি বেলুড় মঠে অবসরজীবন যাপন করছিলেন। তিনি ছিলেন তপস্বী ও মিশুকে স্বভাবের। এছাড়াও তিনি তরুণ বয়সে সুগায়ক
ছিলেন।