বাংলার রাঢ়ভূমিতে জন্মগ্রহণ করে শ্রীমা সারদাদেবী পবিত্র করেছিলেন এই ধরাভূমিকে। রাঢ়ভূমি বা রাঢ়বঙ্গ বলতে জঙ্গলমহল—বাঁকুড়ার মালভূমি, পুরুলিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল বোঝায়। বর্তমান যুগে রামকৃষ্ণ-ভাবধারায় রাঢ়বঙ্গের আশ্রমগুলির ভূমিকা সুচারুভাবে প্রকাশিত হয়েছে সদানন্দময়ী মা সারদা ও তাঁর রাঢ়বঙ্গের কৃপাধন্যরা পুস্তকটির মধ্যে। রাঢ়বঙ্গে শ্রীশ্রীমায়ের কৃপাধন্য ২৬ জন সন্ন্যাসী ও ব্রহ্মচারী এবং ১১২ জন গৃহী দীক্ষাপ্রাপকদের পরিচিতি লেখক আমাদের উপহার দিয়েছেন এই পুস্তকে। কামারপুকুর ও জয়রামবাটীর ধারাবাহিক অধ্যক্ষতালিকা-সহ সংঘের অধ্যক্ষ ও সহাধ্যক্ষের তালিকা যুক্ত করেছেন পাঠকদের কৌতূহল নিরসনে। পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলার কৃতী সন্ন্যাসী সন্তানদের সংক্ষিপ্ত জীবনকাহিনি যুক্ত করে পুস্তকটির মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণের অন্যতম গৃহী পার্ষদ, রাঢ়বঙ্গের অক্ষয়কুমার সেনের প্রতিবেশী অশোককুমার বিশ্বাস পূর্বসূরির শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ-পুঁথি ও বিদগ্ধ পণ্ডিত ব্রজেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের শ্রীমা সারদা পুঁথিকে সামনে রেখে ও রাঢ়বঙ্গ থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন সময়ের পত্র-পত্রিকা সহায়ে এই অমূল্য সম্ভারটি তৈরি করেছেন। শ্রীমা সারদাদেবীর পিতৃবংশের তালিকাটি অবশ্যই ভক্ত ও তথ্যসন্ধানী উৎসুকদের আনন্দ দেবে। সদানন্দময়ী মা সারদা ও তাঁর রাঢ়বঙ্গের কৃপাধন্যরা পুস্তকটি শ্রীশ্রীমায়ের আশীর্বাদরূপেই মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে—এই আমাদের বিশ্বাস।
অশোক কুমার বিশ্বাস
শিখা বিশ্বাস (ঘোষ)
ময়নাপুর, বাঁকুড়া
২০০.০০